Ajker Patrika

নাঙ্গলকোট স্টেশনে যাত্রী না নিয়ে চলে গেল ট্রেন, সাময়িক বরখাস্ত ৪ কর্মকর্তা

 কুমিল্লা প্রতিনিধি 
কুমিল্লার একটি রেলস্টেশন। ছবি: সংগৃহীত
কুমিল্লার একটি রেলস্টেশন। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রী না নিয়ে ট্রেন চলে যাওয়ায় স্টেশনমাস্টারসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। আজ সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে রেলওয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ম্যানেজার কামরুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

কামরুজ্জামান জানান, গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী নাঙ্গলকোট স্টেশনে থামার কথা থাকলেও ভুল সিগন্যালের কারণে সেটি সেখানে না থেমে চলে যায়।

ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান, ট্রেনটি না থেমে পরবর্তী হাসানপুর স্টেশনে গিয়ে দাঁড়ালে তাঁরা ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন। পরে তাঁদের সুবর্ণ এক্সপ্রেসে করে নাঙ্গলকোটে ফিরিয়ে আনা হয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার রূপন চন্দ্র শীল, ট্রেনচালক আবির হোসেন, সহকারী চালক ও ট্রেনের গার্ডকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁদের চট্টগ্রামের পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে কার্যালয়ে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে ঊর্ধ্বতন উপসহকারী লোকো সাইফুল ইসলামকে। তাঁর নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট দল ঘটনাটি তদন্ত করবে।

স্টেশনমাস্টার রূপন চন্দ্র শীল বলেন, ‘আমি লাকসাম কেবিনে দায়িত্বে থাকা মাস্টারকে ট্রেন চালানোর জন্য বলেছিলাম। কিন্তু তিনি ভুলবশত চট্টলার বদলে সুবর্ণ ট্রেন হিসেবে সিগন্যাল দিয়েছেন। এতে এই বিভ্রাট ঘটে।’

অপরদিকে লাকসাম রেলওয়ের কেবিন মাস্টার শিমুল মজুমদার বলেন, ‘আমি ৮০২ নম্বর চট্টলা ট্রেনের কাগজ দিয়েছি, ৭০২ নম্বর সুবর্ণ এক্সপ্রেসের নাম দিইনি। আমাদের মধ্যে ভুল হতে পারে, তবে চালক ও গার্ডেরও দায়িত্ব ছিল ট্রেনটি নির্ধারিত স্টপেজে থামানো।’

রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী মজুমদার জানান, প্রাথমিক তদন্তে গাফিলতির প্রমাণ পাওয়ায় চারজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত