Ajker Patrika

পদত্যাগের দাবিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ

কুমিল্লা প্রতিনিধি  
মসজিদের ভেতরে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মসজিদের ভেতরে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

অধ্যক্ষের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ। সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুর থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কলেজ অধ্যক্ষকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ করে রাখেন। শুরুতে পরীক্ষা ভবনে এবং পরে কলেজ মসজিদের ভেতরে তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অধ্যক্ষ মসজিদে অবরুদ্ধ ছিলেন।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীরা বেলা ৩টার দিকে ক্যাম্পাসে জমায়েত হয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন। কিন্তু আশ্বাসমূলক কোনো বক্তব্য বা সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না পেয়ে তাঁরা সংলাপ থেকে বের হয়ে আসেন। পরে ‘এক দফা এক দাবি—অধ্যক্ষের পদত্যাগ চাই’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন এবং কলেজ প্রশাসনকে তা বাস্তবায়নের জন্য দুই কার্যদিবস সময় বেঁধে দেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় সোমবার আবারও আন্দোলনে নামেন তাঁরা।

শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি ছিল—গণতান্ত্রিক ধারায় ছাত্র সংসদ নির্বাচন, ডিগ্রি শাখার জন্য পৃথক আধুনিক ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাসে সিসিটিভি ও পর্যাপ্ত লাইটিং, মাদক ও বহিরাগত ঠেকাতে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন, শিক্ষার্থীদের জন্য বাস-মাইক্রোবাস সার্ভিস, আবাসিক ও আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসন, সুপেয় পানি, আধুনিক ওয়াশরুম ও মানসম্পন্ন শিক্ষা পরিবেশ, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য আলাদা তহবিল, কলেজের আয়-ব্যয়ের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মফিদুল হাসান পল্লব বলেন, ‘অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতেও অনুমতি নিতে হয়। এমন অগণতান্ত্রিক পরিবেশে কীভাবে পড়াশোনা করব?’

উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘হলে ছাত্রীদের মানসিকভাবে হেনস্তা করা হয়। শিক্ষকেরা ফেসবুক গ্রুপ অ্যাডমিন হয়ে ছাত্রীদের পর্যবেক্ষণ করছেন। সামান্য কথা বললেও শোকজ, অভিভাবক ডাকা, এমনকি বহিষ্কারের ভয় দেখানো হয়।’

জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘তামিমের ওপর ছাত্রলীগের হামলার এক বছর পার হলেও প্রশাসন তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। এটা সবার সামনে ঘটেছে, মিডিয়ায় এসেছে। তাহলে এত গোপনীয়তা কেন?’

নবাব ফয়জুন্নিসা হলের শিক্ষার্থী সাবরিনা সুলতানা বলেন, ‘হলে পানি নেই। তামিম নির্যাতনের বিচার হয়নি। আমরা বলার পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অথচ আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বহিষ্কারের। তাই আমরা অধ্যক্ষকে আর চাই না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ আবুল বাসার ভূঁইয়া কেবল বলেন, বিষয়টি তিনি দেখছেন। তবে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত