Ajker Patrika

সেন্টমার্টিনের ভাঙা জেটি দ্রুত সংস্কার চান পর্যটন ব্যবসায়ীরা

প্রতিনিধি, কক্সবাজার
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৮: ৩০
Thumbnail image

দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন। টেকনাফ উপজেলা সদর থেকে দ্বীপটি সাগর পথে প্রায় ৩৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পর্যটন মৌসুমে নারিকেল জিঞ্জিরা খ্যাত এ দ্বীপ দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণীয় স্থান। বছরে অন্তত পাঁচ মাস দ্বীপটি পর্যটকদের সরব উপস্থিতিতে মুখর থাকে। কিন্তু এখানকার যোগাযোগের মাধ্যম নৌপথের জেটি ঘাটটি সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। এতে এ ঘাটে পর্যটকবাহী জাহাজ ভিড়ানো নিয়ে দু: চিন্তায় পড়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। 

করোনা সংক্রমণ রোধে দীর্ঘ সাড়ে চার মাস বন্ধ থাকার পর গত ১৯ আগস্ট সরকার দেশের পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্র উন্মুক্ত করেছে। তবে সাগর উত্তাল থাকায় এখনো সেন্টমার্টিনে পর্যটকের আসা যাওয়া নেই। এ মাসের শেষে বা আগামী মাসের শুরুর দিকে দ্বীপে পর্যটকদের জন্য জাহাজ চলাচল শুরু হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

পর্যটন মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই সেন্টমার্টিনের জেটিটি সংস্কারের উদ্যোগ নিতে দাবি করেছেন পর্যটন উদ্যোক্তারা। গত শনিবার শহরের একটি আবাসিক হোটেলের সম্মেলন কক্ষে পদক্ষেপ বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার সভাপতি তোফায়েল আহমেদ জেটিটি অবিলম্বে সংস্কারে দাবি তুলে ধরেন। 

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সেন্টমার্টিন নির্ভর পর্যটনশিল্প মুখ থুবড়ে পড়বে। শিগগিরই বিধ্বস্ত জেটিটি সংস্কার করা না গেলে এখানকার পর্যটন খাতে জড়িত অন্তত ৫০ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা ও কর্মসংস্থান ঝুঁকিতে পড়বে। এতে পর্যটন শিল্পের ক্ষতির পাশাপাশি সরকারও বিপুল রাজস্ব হারাবে।’ 

পর্যটন উদ্যোক্তা তৌহিদুল ইসলাম তোহা বলেন, ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপের পর্যটনকে ঘিরে সাত-আটটি জাহাজ, ২০০-৩০০ বাস-মিনিবাস, ১০০ মাইক্রোবাস, ২০০ ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান, ৪০০ টুরিস্ট গাইড, দেড় শতাধিক হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণিপেশার কয়েক হাজার মানুষ জড়িত। জেটির কারণে এখানে পর্যটক আসতে না পারলে এসব প্রতিষ্ঠান ও মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ 

সংবাদ সম্মেলনে পর্যটন উদ্যোক্তা এমএ হাসিব বাদল, এসএম কিবরিয়া খান, ইফতিকার আহমদ চৌধুরী, এসএ কাজল, নুরুল আলম রনি, মো. আল আমীন ও বিশ্বাস তুষার সেন্টমার্টিন দ্বীপে উদ্যোক্তাদের নানা খাতের বিনিয়োগের তথ্য তুলে ধরেন। তাঁদের মতে, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ দ্বীপের পর্যটন ব্যবসায় জড়িত উদ্যোক্তা রয়েছে। করোনায় এমনিতেই এ খাতটি বিধ্বস্ত। সেখানে জেটিটি সংস্কার না হলে পর্যটক না পেয়ে সবাই ক্ষতির মুখে পড়বে। 

এ দ্বীপে জনসংখ্যা ১০ হাজারের একটু বেশি। পুলিশ, বিজিবি, কোস্ট গার্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে অন্তত আরও ৩০০ ব্যক্তি নিয়মিত এখানকার বাসিন্দা। পর্যটন মৌসুমে হোটেল-মোটেল, কটেস ও রেস্তোরাঁ এবং বিভিন্ন পেশার মানুষ বাড়ে দ্বিগুণ। 

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান ক্ষতিগ্রস্ত জেটিটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘জেটিটি সর্বশেষ গত ২৭ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসের ধাক্কায় জেটির অনেকাংশে ভেঙে পড়েছে।’ 

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত জেটি দিয়ে চলাচলে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। এটি দ্রুত সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত