Ajker Patrika

যাঁরা ভোট দেননি, তাঁদের কাছে টাকা ফেরত চান পরাজিত প্রার্থী

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২২, ১৩: ৪৬
যাঁরা ভোট দেননি, তাঁদের কাছে টাকা ফেরত চান পরাজিত প্রার্থী

নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ভোটারদের কাছে ঘুরে টাকা ফেরত চাইছেন এক ইউপি সদস্য প্রার্থী। গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্যপদে প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৃতীয় হয়েছেন।

ইউপি সদস্য প্রার্থীর নাম মো. বশির উল্লাহ পাটোয়ারী। ভোটারদের কাছে টাকা ফেরত চাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ওই প্রার্থী।

পরাজিত সদস্য পদপ্রার্থী বশির উল্লাহ জানান, পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের (রামদাসেরবাগ, ইছাপুরা, চৌমুখা গ্রাম) সাধারণ সদস্যপদে প্রার্থী (প্রতীক মোরগ) হয়েছিলেন বশির উল্লাহ। তাঁর সঙ্গে ওই ওয়ার্ডে আরও তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হওয়ার জন্য ৬০০ ভোটারকে জনপ্রতি ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকা দেন। কিন্তু নির্বাচনে তিনি মাত্র ৩৩৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। নির্বাচনী ফলাফল মেনে নিতে না পেরে ভোটের কয়েক দিন পর তিনি যেসব ভোটারকে টাকা প্রদান করে ভোট প্রদানের প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন, তাঁদের কাছে টাকা ফেরত চাওয়া শুরু করেন।

টাকা ফেরত চেয়ে দুই গ্রামে ইতিমধ্যে এই নিয়ে বৈঠক বসিয়েছেন তিনি। বৈঠকে কিছু ভোটার টাকা ফেরত দিয়েছেন আর কিছু ভোটার তাঁর টাকা ফেরত দিতে চাইছেন না বলে জানিয়েছেন বশির উল্লাহ।

ওই এলাকার কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁরা ওই প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু বশির উল্লাহ পাটওয়ারী টাকা ফেরত পেতে আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন ভোটার দাবি করেন, তাঁদের কাছ থেকে ভোটের বিপরীতে বিভিন্ন সেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বশির উল্লাহ পাটোয়ারী। ভোট দেওয়ার কথা নিশ্চিত করার পরও অনিচ্ছা সত্ত্বে তাদের টাকা দেওয়া হয়েছে। এখন নির্বাচনে হেরে টাকা আদায়ের মিশনে নেমেছেন। 

টাকা ফেরত চাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে মো. বশির উল্লাহ পাটওয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যারা আমাকে ভোট দেয়নি। তাদের কাছ থেকে আমি টাকা ফেরত চাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনে ২ হাজার ৮৭৮ জন ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ৭০৬টি ভোট পড়ে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম (ফুটবল প্রতীক) ৬১৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. রুহুল আমিন খান গাজী (আপেল প্রতীক) পেয়েছেন ৫১২ ভোট। বশির উল্লাহ পাটওয়ারী (মোরগ প্রতীক) পেয়েছেন ৩৩৪ ভোট। আরেকজন প্রার্থী আতিকুল ইসলাম তালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৪২ ভোট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: তিন দফা দাবিতে সোমবার মাঠে নামছেন শিক্ষার্থীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত