Ajker Patrika

চট্টগ্রামের টেম্পো রুট: হাতবদল হলেও বন্ধ হয়নি চাঁদাবাজি

  • নতুন ব্রিজ মোড় থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে সাড়ে ৩ শ অটোটেম্পো চলাচল করে
  • আগে অটোটেম্পো শ্রমিক ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রণ করত আওয়ামী লীগ
সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮: ৩৬
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরের নতুন ব্রিজ মোড় থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত ১৭ নম্বর রুটে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে সাড়ে ৩ শ অটোটেম্পো চলাচল করে। দীর্ঘ সময় ধরে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে চট্টগ্রাম অটোটেম্পো শ্রমিক ইউনিয়ন। বিভিন্ন সময় সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠলেও ৫ আগস্ট পর্যন্ত তাঁদের কিছুই হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিক্ষোভের মুখে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক বিতাড়িত হন। তবে এখনো বহাল-তবিয়তে রয়েছেন সভাপতি। আর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক দাবি করছেন আরেক শ্রমিকনেতা।

এদিকে ইউনিয়নের নেতৃত্বে আংশিক বদল হলেও চাঁদাবাজির জিম্মিদশা থেকে টেম্পোচালক ও শ্রমিকেরা এখনো মুক্ত হননি। দক্ষিণ চট্টগ্রামের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই রুটে প্রশাসন, পুলিশসহ ব্যক্তি ও সংগঠনের নামে এখনো মাসে অন্তত ২০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

টেম্পোচালক-মালিক সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্টের পর এই রুটের টেম্পোসহ শ্রমিক ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রণ নিতে একটি পক্ষ বিক্ষোভ শুরু করে। সেপ্টেম্বর নাগাদ ওই পক্ষ ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রণে নেয়। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জানে আলমকে বিতাড়িত করে নিজেকে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক দাবি করেন আলী ইমাম নামের এক শ্রমিকনেতা। তবে বহাল তবিয়তে থাকেন সভাপতি মো. জাহেদ।

টেম্পোমালিকদের অভিযোগ, সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর বর্তমানে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে সভাপতি-ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের নেতৃত্বে ইউনিয়নের পক্ষে চালকদের পরিচয়পত্র, লাইনে গাড়ি চালানোসহ নানা অজুহাতে মালিকপ্রতি ৩০-৫০ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে।

চালক-মালিকদের অন্তত পাঁচজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পরিচয়পত্র বাবদ ১০ হাজার, দৈনিক ২০০ ও মাসে ২ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে এই লাইনে গাড়ি চালাতে হচ্ছে প্রত্যেককে।

ভুক্তভোগী চালকদের একজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লাইন খরচের নামে দৈনিক যে ২০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে, সেটা দিতে দেরি হলে শারীরিকভাবে হেনস্তারও শিকার হতে হয়। অনেক সময় গাড়িভাড়া না মারার আগেই তাঁদের লোকজন টাকা দাবি করে থাকেন, চালকেরা ভাড়া মেরে টাকা দেবেন বললে তাঁরা চালকের পকেট চেক করাসহ গাড়ির চলাচল বন্ধ রাখেন। এভাবে প্রতিনিয়ত আমরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছি।’

চালক-মালিকদের ভাষ্য, এই রুটে গাড়ি নামানোর জন্য পারমিটবিহীন অটোটেম্পোর ক্ষেত্রে এন্ট্রি ফি বাবদ মালিকদের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে। আর পারমিট থাকা টেম্পোর জন্য দিতে হয় ১০-১৫ হাজার টাকা।

ওই রুটের চালকদের একটি অংশ চাঁদাবাজির প্রতিবাদ জানিয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সিএমপি কমিশনারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগও দিয়েছেন। তবে চট্টগ্রাম অটোটেম্পো শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জাহেদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এভাবে কেউ চাঁদা আদায় করে থাকলে তাঁকে ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হোক। এটা আমার দাবি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইতিহাস দরজায় কড়া নেড়ে বলছে, ১৯৭১ থেকে পাকিস্তান কি শেখেনি কিছুই

‘আমাদের মরদেহ বাড়িতে নিয়ো না’

কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের খামারবাড়ি অবরোধের ঘোষণা

মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীর পিঠে পাড়া দিয়ে অটোরিকশায় শহর ঘোরাল ছাত্রদল, সঙ্গে উচ্চ স্বরে গান

যশোরে আত্মগোপনে থাকা আ.লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বাড়িতে পুলিশের অভিযান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত