Ajker Patrika

ব্যবসায়ী অপহরণ মামলার রায়: ডিবির ৭ সদস্যের ৭ বছরের কারাদণ্ড

কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪: ২৬
Thumbnail image

কক্সবাজারের টেকনাফের ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনার মামলায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বহিষ্কৃত সাত সদস্যের প্রত্যেককে সাত বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে বিচারক তাঁদের ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন। এই অর্থ অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি ফরিদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় সাত আসামিকে জেলা কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। আদালতের বিচারক বেলা ১১টায় রায় পড়া শুরু করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর কক্সবাজার সদর থানার পেছনের রোড থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কয়েক ব্যক্তি টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। তাঁরা ব্যবসায়ীকে ‘ক্রসফায়ারে’ মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে স্বজনদের কাছে ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এরপর ব্যবসায়ীর পরিবার ১৭ লাখ টাকা দিতে রাজি হয়।

রায় ঘোষণার পর আসামিদের কারাগারে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশএই টাকা হাতে পাওয়ার পরদিন ভোরে আবদুল গফুরকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুরে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি গফুরের স্বজনেরা সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা চৌকিতে অবহিত করেন। এরপর ডিবি পুলিশের সদস্যদের বহন করা মাইক্রোবাসটি ওই সড়কের সেনা চৌকিতে দায়িত্বরত সেনাসদস্যরা তল্লাশি করে তাতে ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার করেন।

এ সময় এসআই আবুল কালাম আজাদ, এএসআই ফিরোজ, গোলাম মোস্তফা ও আলাউদ্দিন এবং দুই কনস্টেবল আল আমিন ও মোস্তফা আজমকে আটক করা হয়।

এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আবদুল গফুর বাদী হয়ে ডিবি পুলিশের সাত সদস্যের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রায় ১০ মাস তদন্ত শেষে পুলিশ ব্যুরো অব
ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ২০১৮ সালের আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলায় ডিবির সাত সদস্যকে অভিযুক্ত করা হয়। 

কক্সবাজার জেলা দায়রা ও জজ আদালত থেকে আসামিদের কারাগারে নেওয়া হচ্ছেমামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক ৩৬৫ ধারায় পাঁচ বছর এবং ৩৮৬ ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। উভয় সাজা একসঙ্গে ভোগ করতে হবে। ফলে সাজা সাত বছর বলে গণ্য হবে।

শারীরিক অসুস্থতার কারণে রায় ঘোষণার সময় মামলার বাদী আবদুল গফুর উপস্থিত ছিলেন না। তবে তাঁর বড় ভাই টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় সেটি প্রমাণিত হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত