Ajker Patrika

লক্ষ্মীপুরে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ, শয্যার সংকটে মেঝেতেই চিকিৎসা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ, শয্যার সংকটে মেঝেতেই চিকিৎসা

লক্ষ্মীপুরে কয়েক দিনের তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বেড়েছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ। হাসপাতালগুলোতে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। ১০০ শয্যার লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে প্রতিদিনই গড়ে ৩৫-৪০ রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এদের মধ্যে শিশু সংখ্যাই বেশি। পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। 

সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় ১ হাজারের বেশি রোগী। গড়ে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। অথচ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শয্যা রয়েছে ১৫ টি। যেখানে প্রতি শয্যায় এক শিশু চিকিৎসা নেওয়ার কথা থাকলেও সেখানে প্রতি শয্যায় চিকিৎসা নিচ্ছে ৩-৪ শিশু। 

এ ছাড়া মেডিসিন, সার্জারি ও গাইনিসহ প্রতিটি ওয়ার্ডের চিত্র একই। শয্যা সংকুলান না হওয়ায় হাসপাতালের বারান্দায়, মেঝেতে গাদাগাদি করে চিকিৎসা দেওয়া। অতিরিক্ত রোগীর চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। একই অবস্থায় কমলনগর, রামগতি, রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর। 

রোগীর স্বজন আবুল কালাম ও ইউসুফ হোসেন জানান, হাসপাতালের প্রতি শয্যায় এক শিশুকে চিকিৎসা দেওয়ার কথা থাকলেও ২-৩ শিশুকে এক শয্যা থেকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে হাঁটা চলা যায় না। বারান্দায় ও শিশু ওয়ার্ডের মেঝেতে শিশুদের রাখা হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। 

সদর হাসপাতালের বাসিন্দা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘পর্যাপ্ত চিকিৎসা না পাওয়ায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছি। শয্যার তুলনায় রোগী ভর্তি রয়েছে ১০ গুনের বেশি। একদিকে তীব্র শীত। অন্যদিকে শয্যা না থাকায় মেঝেতে চিকিৎসা নিতে গিয়ে শিশুরা আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। হাসপাতালের টয়লেট ও আশপাশের জায়গায় নোংরা পরিবেশ থাকায় ঠিকমতো থাকা যাচ্ছে না। দ্রুত এসব বিষয় সমাধান করার দাবি জানাই।’ 

সদর হাসপাতালের শিশু কনসালট্যান্ট মো. ইছমাইল হাসান বলেন, ঠান্ডাজনিত কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এটি সামনে আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স না থাকায় এসব রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। এরপরও সাধ্য মতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

জেলা সিভিল সার্জন ডা. আহাম্মদ কবীর বলেন, এখন প্রচুর ঠান্ডা পড়ছে। এ সময় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ নানা রোগ বালাই বাড়ে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পর্যাপ্ত ওষুধ ও স্যালাইন সরবরাহ রয়েছে। এ সময়ে শিশুদের গরম কাপড় পরাসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত