উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের তুমব্রু জিরো পয়েন্টের অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দারা মর্টারশেল হামলার নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
গতকাল সোমবার বিকেলে অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে সেখানে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের অংশগ্রহণে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে মর্টারশেল হামলায় রোহিঙ্গা কিশোর ইকবাল হত্যার প্রতিবাদ জানানো হয়।
এ সময় বক্তব্যে রোহিঙ্গা নেতারা বলেন, শুরুর দিকে মিয়ানমার নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) গোলাগুলি-সংঘর্ষ শুরু হলেও এখন তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী পুলিশ (বিজিপি) গোলাগুলি করে পরিস্থিতি অশান্ত করছে। এই অবস্থায় আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে ৬২১টি পরিবারের ৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে, যারা গত পাঁচ বছর ধরে সেখানে বসবাস করছে।
সমাবেশের বক্তব্যে রোহিঙ্গা নেতা আব্দুর রহিম বলেন, ‘গত শুক্রবার রাতে শূন্যরেখায় পরিকল্পিতভাবে মর্টার হামলা চালিয়েছে মিয়ানমারের মিলেটারিরা। তারা চায় আমরা এখান থেকে সরে যাই। কিন্তু আমরা যাব না।’
যদি যেতেই হয়, শূন্যরেখার রোহিঙ্গারা হেঁটে পাহাড়ের অপর প্রান্তে রাখাইনে নিজেদের ভিটায় ফিরবে বলে উল্লেখ করেন আব্দুর রহিম।
সমাবেশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘকে আহ্বান জানিয়ে লেখা চিঠি পাঠ করেন শূন্যরেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মুখপাত্র দিল মোহাম্মদ।
দিল মোহাম্মদ চিঠি প্রসঙ্গে সোমবার রাতে মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০১৭ সালে সামরিক জান্তা ৮ লাখ রোহিঙ্গাকে তাদের জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত করেছে। আমরা চিঠিতে জাতিসংঘকে জানিয়েছি, সামরিক জান্তা বাহিনী যেকোনো মুহূর্তে আমাদের ওপর আরও বড় আক্রমণ করতে পারে।’
চিঠিতে এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় জাতিসংঘকে শূন্যরেখার আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান করা হয়েছে বলে জানান দিল মোহাম্মদ।
এই চিঠি জাতিসংঘ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে পাঠানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা রোহিঙ্গা ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কিন মং আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শূন্যরেখায় বাস করা রোহিঙ্গাদের নিয়ে চিন্তিত, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর উসকানিমূলক আচরণে তারা ভয়ে ও আতঙ্কে আছে। তারা ইতিমধ্যে জাতিসংঘকে চিঠি দিয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত নীরবতা ভেঙে এ বিষয়ে সরব হওয়া।’
প্রসঙ্গত, গত জুলাই থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সে দেশের বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির মধ্যে চলা সংঘাতে অস্থির হয়ে উঠেছে রাখাইন রাজ্য।
সংঘাতের প্রভাবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চলে, তিন দফায় মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপিত মর্টারশেল পতিত হয়েছে ঘুমধুমে।
সর্বশেষ এক রোহিঙ্গা নিহত ও ছয়জন আহত হওয়ার ঘটনা উৎকণ্ঠা বাড়িয়েছে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের তুমব্রু জিরো পয়েন্টের অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দারা মর্টারশেল হামলার নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
গতকাল সোমবার বিকেলে অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে সেখানে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের অংশগ্রহণে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে মর্টারশেল হামলায় রোহিঙ্গা কিশোর ইকবাল হত্যার প্রতিবাদ জানানো হয়।
এ সময় বক্তব্যে রোহিঙ্গা নেতারা বলেন, শুরুর দিকে মিয়ানমার নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) গোলাগুলি-সংঘর্ষ শুরু হলেও এখন তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী পুলিশ (বিজিপি) গোলাগুলি করে পরিস্থিতি অশান্ত করছে। এই অবস্থায় আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে ৬২১টি পরিবারের ৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে, যারা গত পাঁচ বছর ধরে সেখানে বসবাস করছে।
সমাবেশের বক্তব্যে রোহিঙ্গা নেতা আব্দুর রহিম বলেন, ‘গত শুক্রবার রাতে শূন্যরেখায় পরিকল্পিতভাবে মর্টার হামলা চালিয়েছে মিয়ানমারের মিলেটারিরা। তারা চায় আমরা এখান থেকে সরে যাই। কিন্তু আমরা যাব না।’
যদি যেতেই হয়, শূন্যরেখার রোহিঙ্গারা হেঁটে পাহাড়ের অপর প্রান্তে রাখাইনে নিজেদের ভিটায় ফিরবে বলে উল্লেখ করেন আব্দুর রহিম।
সমাবেশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘকে আহ্বান জানিয়ে লেখা চিঠি পাঠ করেন শূন্যরেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মুখপাত্র দিল মোহাম্মদ।
দিল মোহাম্মদ চিঠি প্রসঙ্গে সোমবার রাতে মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০১৭ সালে সামরিক জান্তা ৮ লাখ রোহিঙ্গাকে তাদের জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত করেছে। আমরা চিঠিতে জাতিসংঘকে জানিয়েছি, সামরিক জান্তা বাহিনী যেকোনো মুহূর্তে আমাদের ওপর আরও বড় আক্রমণ করতে পারে।’
চিঠিতে এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় জাতিসংঘকে শূন্যরেখার আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান করা হয়েছে বলে জানান দিল মোহাম্মদ।
এই চিঠি জাতিসংঘ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে পাঠানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা রোহিঙ্গা ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কিন মং আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শূন্যরেখায় বাস করা রোহিঙ্গাদের নিয়ে চিন্তিত, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর উসকানিমূলক আচরণে তারা ভয়ে ও আতঙ্কে আছে। তারা ইতিমধ্যে জাতিসংঘকে চিঠি দিয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত নীরবতা ভেঙে এ বিষয়ে সরব হওয়া।’
প্রসঙ্গত, গত জুলাই থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সে দেশের বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির মধ্যে চলা সংঘাতে অস্থির হয়ে উঠেছে রাখাইন রাজ্য।
সংঘাতের প্রভাবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চলে, তিন দফায় মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপিত মর্টারশেল পতিত হয়েছে ঘুমধুমে।
সর্বশেষ এক রোহিঙ্গা নিহত ও ছয়জন আহত হওয়ার ঘটনা উৎকণ্ঠা বাড়িয়েছে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের।
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের পাঁচুয়া গ্রামের শাপলা বিলে বেড়াতে গিয়ে দুজন নিহত হয়েছেন। নৌকায় চড়ে ঘুরতে গিয়ে নৌকা ডুবে তারা মারা যান। এ ঘটনায় আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। প্রাথমিক অবস্থায় নিহত ও আহতদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
১১ মিনিট আগেনেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার কৈলং শেখবাড়ী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ তুলেছেন প্রতিষ্ঠানটির এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। তাদের দাবি, সরকারি বেতন কাঠামোর আওতায় নির্ধারিত এরিয়া বিল (বকেয়া) অনুমোদন পেলেও প্রধান শিক্ষক স্বাক্ষরের বিনিময়ে অর্ধেক টাকা দাবি করছেন।
৩৮ মিনিট আগেচট্টগ্রামে পতেঙ্গায় শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাতে নগরীর পতেঙ্গার স্টিল মিল বাজারে এই ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর তাঁকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পতেঙ্গা থানা-পুলিশ। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলার অভিযুক্ত ওই...
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালী হাতিয়ায় আওয়ামী লীগের এক নেতাকে নিজ বাড়িতে পালিয়ে থাকার সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে বহিষ্কার হয়েছেন তাঁতি দলের সভাপতি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জেলা তাঁতি দলের আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগে