Ajker Patrika

যাত্রীছাউনি ভেঙে লুট, কোথাও ইট-বালুর স্তূপ

  • ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন করার সময় যাত্রীছাউনি নির্মিত হয়।
  • বর্তমানে অধিকাংশ ছাউনির ধাতব কাঠামো খুলে নেওয়া হয়েছে।
  • দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
মো. আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা)
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে নির্মাণ করা ছাত্রীছাউনির  খুলে নেওয়া কাঠামো । ছবি: আজকের পত্রিকা
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে নির্মাণ করা ছাত্রীছাউনির খুলে নেওয়া কাঠামো । ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের যাত্রীদের যানবাহনে ওঠানামার সুবিধার্থে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে নির্মাণ করা ১২টি যাত্রীছাউনি বেহাল হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ ছাউনির ধাতব কাঠামো খুলে নেওয়া হয়েছে। কোনো কোনোটিতে চলছে ইট-বালুর ব্যবসা। কোথাও আবার মাইক্রোস্ট্যান্ড ও দোকান বানানো হয়েছে। সরেজমিনে এমন চিত্রই দেখা গেছে। ফলে যাত্রীরা ইচ্ছা করলেও আর এখন এগুলো ব্যবহার করতে পারছেন না।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের কুমিল্লা অঞ্চলের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার সময় যাত্রীদের গণপরিবহনে ওঠানামার জন্য দুই পাশে যাত্রীছাউনি নির্মাণ করা হয়। কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে চৌদ্দগ্রাম পর্যন্ত ৯১ কিলোমিটার মহাসড়কের মধ্যে চৌদ্দগ্রামে রয়েছে ৪৪ কিলোমিটার। এখানে ঢাকা এবং চট্টগ্রামমুখী লেনে ১২টি ছাউনি নির্মাণ করা হয়। এগুলো বানানো হয় লালবাগ রাস্তার মাথা, মিয়ার বাজার, নোয়া বাজার, ছুপুয়া, দোলবাড়ী, সৈয়দপুর, নাটাপাড়া, চৌদ্দগ্রাম সরকারি হাসপাতালের সামনে, বাতিসা বাজার, বাতিসা নতুন সড়ক, চিওড়া, ফকির বাজার ও জগন্নাথদিঘী এলাকায়।

বর্তমানে ছাউনিগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। একশ্রেণির অসাধু ব্যক্তি এগুলো দখল করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। কোথাও আবার দেয়াল এবং ওপরের ছাদ খুলে নিয়ে গেছে। এ ছাড়া ছাউনিগুলো স্থানীয় বাজার থেকে কিছুটা দূরে হওয়ায় যাত্রীরা এগুলো ব্যবহার করতে অনেকটা অনীহা প্রকাশ করেন।

সরেজমিনে মিয়া বাজার ছাউনিতে দেখা যায়, মাইক্রোবাসের স্থানীয় চালকেরা সেখানে অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে তুলেছেন; যার কারণে ছাউনিটি যাত্রীরা ইচ্ছা করলেও ব্যবহার করতে পারছেন না। চৌদ্দগ্রাম হাসপাতালের সামনের ছাউনিটি ইট-বালু ব্যবসায়ীদের দখলে। এর পেছনের অংশ খুলে নেওয়া হয়েছে। বাতিসা নতুন সড়কের ছাউনি দখল করে রেখেছেন এক মুদিদোকানি আর বাজারের ছাউনিটি হোটেল ব্যবসায়ীদের দখলে। চিওড়া ছাউনিটি অসাধু ব্যবসায়ীরা দখল করে পান-সিগারেটের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এভাবে প্রতিটি ছাউনি বেদখল হয়ে আছে।

মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যাত্রীছাউনিগুলো কর্তৃপক্ষ বাসস্ট্যান্ড থেকে আলাদা করে অনেকটা দূরে তৈরি করেছে। তাই যাত্রীরা এগুলো ব্যবহার না করার কারণে অসাধু ব্যক্তিরা তা দখল করে নিয়েছে। আবার অনেকে ছাউনির কাঠামো খুলে নিয়ে গেছে।

ফেনী-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের বাসচালক খোকন মিয়া বলেন, ‘আমরা ইচ্ছা করলেই যাত্রীছাউনির সামনে গাড়ি দাঁড় করাতে পারি না। কারণ, এগুলো লোকাল বাস। যাত্রীদের পছন্দের জায়গায় নামিয়ে দিতে হয়। অন্যথায় তাঁরা আমাদের সঙ্গে ঝামেলা করে। সে জন্য ইচ্ছা থাকলেও ছাউনি ব্যবহার করতে পারছি না।’

ছাউনি দখলের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সওজের কুমিল্লা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘যাত্রীছাউনিগুলো সম্পর্কে আপনাদের মাধ্যমে জেনেছি। খোঁজ নিয়ে এগুলো পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জামাল হোসেন বলেন, ‘বেহাল যাত্রীছাউনিগুলো আমার নজরে এসেছে। সওজের সঙ্গে কথা বলে ছাউনিগুলো ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিন বাহিনীর প্রধান

১৭ বছর খাইনি, এবার খাব—টেন্ডার জমা দেওয়া ঠিকাদারকে বললেন বিএনপি নেতা

দেশে এল স্টারলিংক: কতগুলো ডিভাইস যুক্ত করা যাবে, কীভাবে করবেন

যৌথ পরিবারে কোরবানি কার ওপর ওয়াজিব

মধ্যরাতে হাক্কানীর মালিকের বাসায় মবের হানা, আটক তিন সমন্বয়ককে ছাড়িয়ে নিলেন হান্নান মাসউদ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত