সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে বিচারকের সিলমোহর বানানোর পর জাল স্বাক্ষর করে ভুয়া হলফনামা তৈরির অভিযোগ উঠেছে ফরহাদ উদ্দিন (৪২) নামের এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে। এ জন্য প্রতিটি হলফনামার জন্য প্রত্যাশী ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি ৫ হাজার টাকা করে নিয়ে থাকেন। চট্টগ্রামে বিচারকের সিল ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া হলফনামা তৈরির একটি মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ওই আইনজীবীর সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ।
গতকাল রোববার নগরের হালিশহর এ-ব্লক আবাসিকের বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। আজ সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের একটি আদালতে তোলার পর আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
১৮ মার্চ চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ারের সিল ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া হলফনামা তৈরির অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়। চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ওই মামলায় রোজী আক্তার নামের এক নারীর নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা চার–পাঁচজনকে আসামি করা হয়। জালিয়াতির মাধ্যমে যে ভুয়া হলফনামা তৈরি করা হয়, সেটা অভিযুক্ত আসামি রোজী আক্তারের ওয়ারিশসংক্রান্ত হলফনামা।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৩ মার্চ এক আইনজীবীর মোবাইল থেকে পাওয়া একটি ভুয়া হলফনামা দেখতে পান আদালতের নাজির আবুল কালাম আজাদ। ১৩৮০/২৫ ক্রমিক নম্বরের ওই হলফনামার হলফকারী হিসেবে ছিলেন অভিযুক্ত রোজী আক্তার। তিনি হলফনামাটি আদালতের রেজিস্টার খাতার সঙ্গে মিলিয়ে দেখেন। কিন্তু রেজিস্টার খাতায় ওই ক্রমিক নম্বরে ইয়ামিন রহমান নামের ভিন্ন এক ব্যক্তি নথিভুক্ত রয়েছেন বলে দেখতে পান কর্মচারীরা। রোজী আক্তার নামের হলফনামাটি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কোনো একটি কাজে ইতিমধ্যে দাখিলও করা হয়েছে।
এরপর নেজারত শাখার নাজির ওই ভুয়া হলফনামাটি বিচারক সরকার হাসান শাহরিয়ারকে দেখালে তিনি জানান, হলফনামার সিল ও স্বাক্ষর তাঁর নয়।
আসামি রোজী আক্তার ও অজ্ঞাতনামা আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের বিভিন্ন আদালতের পাঁচটি ভুয়া সিল, ৩টি ভুয়া স্বাক্ষর ও ক্রমিক নম্বর ব্যবহার করে জাল হলফনামা তৈরি করেছেন বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক শরীফ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আসামি অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন ও আসামি নয়ন দে মূলত ভুয়া হলফনামা তৈরি চক্রের হোতা বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। এই ঘটনায় সম্পৃক্ততা পেয়ে তাঁদের গ্রেপ্তারের পর আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে আরও একজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাঁকে ধরার চেষ্টা চলছে।
দুই আসামিকে রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতে একটি আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান এই তদন্ত কর্মকর্তা।
তদন্ত সূত্রে জানা যায়, মামলার পর ২২ মার্চ প্রথমে রোজী আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রোজী আক্তার পুলিশকে জানান, ওয়ারিশসংক্রান্ত হলফনামা সম্পাদনের জন্য তিনি তাঁর এক খালাতো ভাইয়ের মাধ্যমে আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিনের দ্বারস্থ হন। এ সময় ফরহাদ হলফনামার জন্য ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। ২৫ মার্চ টাকাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ওই আইনজীবীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। ২–৩ দিন পর ফরহাদ তাঁদের হাতে ভুয়া হলফনামাটি তুলে দেন।
এ ঘটনায় ফরহাদকে গ্রেপ্তারের পর তিনি পুলিশকে জানান, তাঁদের প্রয়োজনীয় কাগজ পাওয়ার পর তিনি সুমন দে নামের একজনের কম্পিউটার দোকানে গিয়ে তাঁর সহযোগিতায় ৩০০ টাকা নন–জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে হলফনামা প্রিন্ট করেন। এর আগে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ারের নামে পাঁচটি ভুয়া সিলমোহর বানিয়ে ওই বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে হলফনামাটি তৈরি করেন। হলফনামাটি তৈরি করা হয়েছিল ২৬ ফেব্রুয়ারি। পরে পুলিশ ঘটনায় জড়িত সুমন দেকে গ্রেপ্তার করে।
চট্টগ্রাম আদালতে দীর্ঘদিন ধরে বিচারকের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া হলফনামা তৈরির অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনায় আদালতে সক্রিয় একটি সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
চট্টগ্রামে বিচারকের সিলমোহর বানানোর পর জাল স্বাক্ষর করে ভুয়া হলফনামা তৈরির অভিযোগ উঠেছে ফরহাদ উদ্দিন (৪২) নামের এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে। এ জন্য প্রতিটি হলফনামার জন্য প্রত্যাশী ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি ৫ হাজার টাকা করে নিয়ে থাকেন। চট্টগ্রামে বিচারকের সিল ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া হলফনামা তৈরির একটি মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ওই আইনজীবীর সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ।
গতকাল রোববার নগরের হালিশহর এ-ব্লক আবাসিকের বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। আজ সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের একটি আদালতে তোলার পর আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
১৮ মার্চ চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ারের সিল ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া হলফনামা তৈরির অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়। চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ওই মামলায় রোজী আক্তার নামের এক নারীর নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা চার–পাঁচজনকে আসামি করা হয়। জালিয়াতির মাধ্যমে যে ভুয়া হলফনামা তৈরি করা হয়, সেটা অভিযুক্ত আসামি রোজী আক্তারের ওয়ারিশসংক্রান্ত হলফনামা।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৩ মার্চ এক আইনজীবীর মোবাইল থেকে পাওয়া একটি ভুয়া হলফনামা দেখতে পান আদালতের নাজির আবুল কালাম আজাদ। ১৩৮০/২৫ ক্রমিক নম্বরের ওই হলফনামার হলফকারী হিসেবে ছিলেন অভিযুক্ত রোজী আক্তার। তিনি হলফনামাটি আদালতের রেজিস্টার খাতার সঙ্গে মিলিয়ে দেখেন। কিন্তু রেজিস্টার খাতায় ওই ক্রমিক নম্বরে ইয়ামিন রহমান নামের ভিন্ন এক ব্যক্তি নথিভুক্ত রয়েছেন বলে দেখতে পান কর্মচারীরা। রোজী আক্তার নামের হলফনামাটি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কোনো একটি কাজে ইতিমধ্যে দাখিলও করা হয়েছে।
এরপর নেজারত শাখার নাজির ওই ভুয়া হলফনামাটি বিচারক সরকার হাসান শাহরিয়ারকে দেখালে তিনি জানান, হলফনামার সিল ও স্বাক্ষর তাঁর নয়।
আসামি রোজী আক্তার ও অজ্ঞাতনামা আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের বিভিন্ন আদালতের পাঁচটি ভুয়া সিল, ৩টি ভুয়া স্বাক্ষর ও ক্রমিক নম্বর ব্যবহার করে জাল হলফনামা তৈরি করেছেন বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক শরীফ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আসামি অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন ও আসামি নয়ন দে মূলত ভুয়া হলফনামা তৈরি চক্রের হোতা বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। এই ঘটনায় সম্পৃক্ততা পেয়ে তাঁদের গ্রেপ্তারের পর আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে আরও একজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাঁকে ধরার চেষ্টা চলছে।
দুই আসামিকে রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতে একটি আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান এই তদন্ত কর্মকর্তা।
তদন্ত সূত্রে জানা যায়, মামলার পর ২২ মার্চ প্রথমে রোজী আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রোজী আক্তার পুলিশকে জানান, ওয়ারিশসংক্রান্ত হলফনামা সম্পাদনের জন্য তিনি তাঁর এক খালাতো ভাইয়ের মাধ্যমে আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিনের দ্বারস্থ হন। এ সময় ফরহাদ হলফনামার জন্য ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। ২৫ মার্চ টাকাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ওই আইনজীবীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। ২–৩ দিন পর ফরহাদ তাঁদের হাতে ভুয়া হলফনামাটি তুলে দেন।
এ ঘটনায় ফরহাদকে গ্রেপ্তারের পর তিনি পুলিশকে জানান, তাঁদের প্রয়োজনীয় কাগজ পাওয়ার পর তিনি সুমন দে নামের একজনের কম্পিউটার দোকানে গিয়ে তাঁর সহযোগিতায় ৩০০ টাকা নন–জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে হলফনামা প্রিন্ট করেন। এর আগে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ারের নামে পাঁচটি ভুয়া সিলমোহর বানিয়ে ওই বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে হলফনামাটি তৈরি করেন। হলফনামাটি তৈরি করা হয়েছিল ২৬ ফেব্রুয়ারি। পরে পুলিশ ঘটনায় জড়িত সুমন দেকে গ্রেপ্তার করে।
চট্টগ্রাম আদালতে দীর্ঘদিন ধরে বিচারকের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া হলফনামা তৈরির অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনায় আদালতে সক্রিয় একটি সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন
২৮ মিনিট আগেরাজশাহীর একটি সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত এক ছাত্রীর করা মামলায় মুন্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বছরের ১১ জুলাই অভিযুক্ত মুন্না ইমেইলে ওই ছাত্রীর কাছে তাঁর একটি সম্পাদিত (এডিট) নগ্ন ছবি পাঠিয়ে হুমকি দিয়েছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাহে আলম মুরাদকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি।
২ ঘণ্টা আগেকাজ শেষ না করেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি বিল পরিশোধ করা এবং এক হাজার ১০১ কোটি টাকা ব্যয়ে গরমিল পায় তদন্ত কমিটি। সর্বশেষ দুদক বিষয়টি তদন্ত করে এর সত্যতা পেয়ে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করে। পিরোজপুর এলজিইডি কার্যালয় ও জেলা হিসাব রক্ষণ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের...
২ ঘণ্টা আগে