Ajker Patrika

চাঁদপুরে ইলিশের মূল্য নির্ধারণ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে জেলা প্রশাসনের চিঠি

চাঁদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ জুন ২০২৫, ১৮: ৫৪
চাঁদপুরে আড়তে ইলিশ বেচাকেনা। ছবি: সংগৃহীত
চাঁদপুরে আড়তে ইলিশ বেচাকেনা। ছবি: সংগৃহীত

অসাধু ব্যবসায়ী চক্রের (সিন্ডিকেট) কারণে চাঁদপুরে ইলিশ চড়া দামে বিক্রি হয়ে আসছে। ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা ইচ্ছেমতো মূল্য হাঁকানোয় ইলিশ অনেক ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে ইলিশের মূল্য নির্ধারণের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক।

আজ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত চিঠি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, প্রাচীনকাল থেকে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীর ইলিশ অত্যন্ত সুস্বাদু ও মানের দিক থেকেও অতুলনীয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশের প্রথম জেলা ব্র্যান্ডিং হিসেবে চাঁদপুর জেলাকে ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর’ হিসেবে সরকার স্বীকৃতি দেয়। ইলিশের সুস্বাদুতার সুযোগ নিয়ে চাঁদপুর ও আশপাশের জেলার কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী ও আড়তদার নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাচ্ছেন; যা একেবারেই ক্রেতার নাগালের বাইরে। এমনকি চাঁদপুরের স্থায়ী বাসিন্দাদেরও অভিযোগ, ইলিশ চড়া মূল্যের কারণে তাঁদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।

মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে আরও বলা হয়, ইলিশ চাঁদপুরসহ অন্যান্য জেলাতেও ধরা পড়ে। এতে জেলা প্রশাসন চাঁদপুর ইলিশের মূল্য নির্ধারণের উদ্যোগ নিলেও এর ফলপ্রসূ প্রভাব পড়বে না। চাঁদপুরের পাশাপাশি বরিশাল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, নোয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠিসহ আরও অনেক সাগরের তীরবর্তী জেলায় ইলিশ ধরা পড়ে। নদী কিংবা সাগরে উৎপাদিত ইলিশে জেলেদের কোনো উৎপাদন খরচ লাগে না। এরপরও ইলিশের দাম অসাধু ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত থাকে। যেহেতু ইলিশ প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদন হয়, তাই ইলিশ আহরণ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয়ের প্রতি লক্ষ রেখে ইলিশের মূল্য নির্ধারণ প্রয়োজন।

চাঁদপুর মৎস্য ও বণিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক সবেবরাত সরকার বলেন, চাঁদপুর মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে যে পরিমাণ ইলিশের চাহিদা, সেই পরিমাণ সরবরাহ হয় না। অল্প কিছু ইলিশ আসে, যে কারণে দাম বেড়ে যায়। সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই। স্থানীয় পদ্মা-মেঘনায় আগের মতো ইলিশ নেই। দিনে পাঁচ থেকে ১০ কেজি ইলিশ আসে আড়তে। কারও দাম নিয়ে মন্তব্য করতে হলে বাস্তবে এসে দেখতে হবে।

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুক বলেন, মৎস্য বিভাগ বছরজুড়েই ইলিশ সরবরাহের তথ্য সংরক্ষণ করে। যদি কোনো সংস্থা মূল্য জানতে চায়, তখন ওই সময়ের বাজারদর জানিয়ে দেওয়া হয়। মূলত মৎস্য বিভাগ ইলিশের দর নিয়ে কাজ করে না, কাজ করে সরবরাহ নিয়ে।

জানতে চাইলে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, জাতীয় মাছ ইলিশের মূল্য নির্ধারণের জন্য বাস্তব চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেয়াদের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় চালুর পরিকল্পনা সরকারের

নারীর সঙ্গে এনসিপি নেতা তুষারের কথোপকথন ফাঁস নিয়ে যা বললেন সহযোদ্ধা ইমি

ঐকমত্য কমিশনের মঙ্গলবারের সংলাপ ‘বয়কট’ করল জামায়াত

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করা সম্ভব নয়, স্বীকার করল ইসরায়েল

বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধে আইন পরিবর্তন করায় জাতিসংঘের উদ্বেগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত