Ajker Patrika

আইনজীবী সাইফুল হত্যা: চন্দনের ৭ দিন, রিপনের ৫ দিনের রিমান্ড

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮: ২২
Thumbnail image
গ্রেপ্তার চন্দন বর্মন ও রিপন দাস (বাঁ থেকে)। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামিসহ দুজনকে সাত ও পাঁচ দিনের করে রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার চট্টগ্রাম ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আসামিদের পৃথক এই রিমান্ডের আদেশ দেন।

আসামিরা হলে—চন্দন (৩৫) ও রিপন দাস (২৭)। এদের মধ্যে চন্দন আলিফ হত্যা মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামি। অন্যদিকে নগরের চকবাজারে একটি ফার্মেসি দোকানের কর্মচারি রিপন এই মামলার তদন্তেপ্রাপ্ত আসামি।

চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, সাইফুল হত্যা মামলার দুই আসামিকে আজ শুক্রবার আদালতে তোলা হয়। এ সময় তাঁদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে আসামি চন্দনকে সাতদিনের এবং রিপনকে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

গত বুধবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার সময় ভৈরব রেলস্টেশন থেকে চন্দনকে এবং পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা থেকে রিপনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পাওয়া সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ বলেছে, ঘটনার দিন হেলমেট পরে চন্দন কিরিচ দিয়ে আইনজীবী আলিফকে কোপান। অন্যদিকে রিপন দাস হাতে বটি নিয়ে তাড়া করছিল। তিনিও হেলমেট পরেছিলেন।

এর আগে অভিযুক্ত দুই আসামিকে আদালতে তোলার সময় আদালত এলাকায় পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা জোরদার করে। আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুরের পর হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে আইনজীবীরা বিক্ষোভ করলেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। পরে আসামিকে প্রিজন ভ্যানে কারাগারে নেওয়ার সময় তাঁর অনুসারীরা প্রিজন ভ্যান আটকে বিক্ষোভ ও পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের সঙ্গে সংঘর্ষ ও ভাঙচুর চালায়।

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যায় চট্টগ্রাম মহানগর আদালতে গ্রেপ্তার দুজনকে হাজির করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যায় চট্টগ্রাম মহানগর আদালতে গ্রেপ্তার দুজনকে হাজির করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ সময় আদালত এলাকায় ভাঙচুরের প্রতিবাদে একদল বিক্ষোভকারীকে আদালত সংলগ্ন মেথরপট্টি এলাকায় ধাওয়া দেয় আইনজীবীদের একটি অংশ। সেখান থেকে পাল্টা ধাওয়া খেয়ে একা পেয়ে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

চট্টগ্রাম আদালতে ওইদিনের সংঘর্ষ ও হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের হওয়ার তিনটি মামলার বাদী হচ্ছে পুলিশ। গত ২৭ নভেম্বর কোতোয়ালী থানায় মামলাগুলো দায়ের হয়।

এরপর ২৯ নভেম্বর দিবাগত রাত ১২টার পর (মামলা রেকর্ডের তারিখ ৩০ নভেম্বর) আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০–১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করে নিহতের বাবা। একই সময় আদালতে আইনজীবীদের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও বিস্ফোরক আইনে ১১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৪০০–৫০০শ জনকে আসামি করে আরও একটি মামলা করেন আলিফের বড়ভাই খানে আলম।

সর্বশেষ গত ৪ ডিসেম্বর ঘটনার দিন আহত এক ব্যবসায়ী কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ২৯ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ৪০–৫০ জনকে আসামি করে কোতোয়ালী থানায় আরও একটি মামলা করেন। পুলিশ জানায়, আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় এই পর্যন্ত ১১ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারীদের খেলায় আর নাক গলাবে না, দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা চাইল ভাঙচুরকারীরা

বিয়ে করলেন সারজিস আলম

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়ছে শ্রীলঙ্কা, ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ কোথায় দেখবেন

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় ফরিদপুরের ২ জনকে গুলি করে হত্যা

সাবেক শিক্ষার্থীর প্রাইভেট কারে ধাক্কা, জাবিতে ১২ বাস আটকে ক্ষতিপূরণ আদায় ছাত্রদলের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত