বান্দরবান প্রতিনিধি
অবশেষে কড়া নিরাপত্তায় বান্দরবানে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও শান্তি কমিটির সঙ্গে প্রাথমিক সমঝোতা হয়েছে। আজ রুমা উপজেলার মুনলাই পাড়ায় মুখোমুখি বৈঠকে এ সমঝোতা স্মারক সম্পন্ন হয়।
শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে আট সদস্য এবং কেএনএফের প্রতিষ্ঠাতা নাথান বমের প্রধান উপদেষ্টা এন্ডার লাল এং লিয়ানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্য বৈঠকে অংশ নেয়। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ্ আলমসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
শান্তি কমিটির মুখপাত্র কাঞ্চন জয় তংচঙ্গ্যা বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২২ জুন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে শান্তি প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে ১৮ সদস্যের শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করা হয়। পরে ১৯ জুলাই, ৪ আগস্ট ও ২১ সেপ্টেম্বর পৃথক স্থান থেকে ভার্চ্যুয়ালি কমিটির ১০ সদস্য ও কেএনএফের চার সদস্য আলোচনা করেন। আর মুখোমুখি এটিই প্রথম বৈঠক।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ক্যা শৈ হ্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেএনএফের সঙ্গে মুখোমুখি প্রথম বৈঠক খুবই আন্তরিক ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসে আরও একটি বৈঠক হবে। এই বৈঠকের মাধ্যমে চলমান সমস্যা নিরসন হবে।’
বৈঠকে আলোচনার চার বিষয় হলো (ক) শান্তি প্রতিষ্ঠা কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে কেএনএফ কোনো সশস্ত্র তৎপরতায় লিপ্ত হবে না, আঞ্চলিক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে চেষ্টার পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীলতা রক্ষায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা মূলক সম্পর্ক রাখা। (খ) কুকি সম্প্রদায়ভুক্তদের নিজ আবাসস্থলে ফেরার ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। (গ) কেএনএফ এর পক্ষ থেকে কুকি চিন সম্প্রদায়ের ভাগ্যোন্নয়নে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য সহায়তা এবং কর্মসংস্থানের বিষয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করবে, যা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নের জন্য বিবেচনা করা হবে। (ঘ) পরবর্তী সংলাপ আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে, বৈঠকের তারিখ উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ হবে।
এদিকে শান্তি আলোচনার বৈঠককে ঘিরে মুনলাই পাড়ায় নেওয়া হয় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ বিজিবিসহ মোতায়েন ছিল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য।
এই বিষয়ে রুমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শৈবং মারমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈঠকটি ইতিবাচক, এর মাধ্যমে এলাকায় আগের মতো শান্তি ফিরে আসবে বলে আমি আশাবাদী।’
জানা গেছে, সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের গোলযোগের কারণে গত বছরের ১৭ অক্টোবর থেকে জেলায় পর্যটক প্রবেশে দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয় প্রশাসন। ওই বছরের ১৫ নভেম্বরের পর ১৩২টি পরিবারের ৫৪৮ জন ভারতের মিজোরামে আশ্রয় নেয়। এর আগে ২৮ জানুয়ারি রুমা সদরে ১৪০ মারমা নারী-পুরুষ ও শিশু আশ্রয় নিলেও ৫ ফেব্রুয়ারি তারা নিজ বাসায় ফিরে যায়। ১০ মার্চ রাঙামাটির বিলাইছড়ির ৪ নম্বর বড়থলি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের তিনটি পাড়া থেকে ৫৬ পরিবারের ২২০ জন তংচঙ্গ্যা রেইছা ও রোয়াংছড়ি সদরে আশ্রয় নেয়। এই ঘটনায় পাঁচজন সেনা সদস্য ও ১৬ জন কেএনএফ সদস্যসহ নিহত হয়, অপহরণের শিকার হয় অন্তত ২০ জন। ফলে জেলার ব্যবসা-বাণিজ্য ধস ও জনজীবনে অস্থিরতা দেখা দেয়।
অন্যদিকে কেএনএফের সঙ্গে জঙ্গিদের যোগসাজশ আছে দাবি করে যৌথ বাহিনী জানায়, এই সময়ে পাহাড়ে অভিযানে জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৬৮ জন জঙ্গি ও কেএনএফের কয়েকজনকে আটক করা হয়। এ সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
অবশেষে কড়া নিরাপত্তায় বান্দরবানে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও শান্তি কমিটির সঙ্গে প্রাথমিক সমঝোতা হয়েছে। আজ রুমা উপজেলার মুনলাই পাড়ায় মুখোমুখি বৈঠকে এ সমঝোতা স্মারক সম্পন্ন হয়।
শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে আট সদস্য এবং কেএনএফের প্রতিষ্ঠাতা নাথান বমের প্রধান উপদেষ্টা এন্ডার লাল এং লিয়ানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্য বৈঠকে অংশ নেয়। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ্ আলমসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
শান্তি কমিটির মুখপাত্র কাঞ্চন জয় তংচঙ্গ্যা বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২২ জুন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে শান্তি প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে ১৮ সদস্যের শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করা হয়। পরে ১৯ জুলাই, ৪ আগস্ট ও ২১ সেপ্টেম্বর পৃথক স্থান থেকে ভার্চ্যুয়ালি কমিটির ১০ সদস্য ও কেএনএফের চার সদস্য আলোচনা করেন। আর মুখোমুখি এটিই প্রথম বৈঠক।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ক্যা শৈ হ্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেএনএফের সঙ্গে মুখোমুখি প্রথম বৈঠক খুবই আন্তরিক ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসে আরও একটি বৈঠক হবে। এই বৈঠকের মাধ্যমে চলমান সমস্যা নিরসন হবে।’
বৈঠকে আলোচনার চার বিষয় হলো (ক) শান্তি প্রতিষ্ঠা কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে কেএনএফ কোনো সশস্ত্র তৎপরতায় লিপ্ত হবে না, আঞ্চলিক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে চেষ্টার পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীলতা রক্ষায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা মূলক সম্পর্ক রাখা। (খ) কুকি সম্প্রদায়ভুক্তদের নিজ আবাসস্থলে ফেরার ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। (গ) কেএনএফ এর পক্ষ থেকে কুকি চিন সম্প্রদায়ের ভাগ্যোন্নয়নে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য সহায়তা এবং কর্মসংস্থানের বিষয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করবে, যা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নের জন্য বিবেচনা করা হবে। (ঘ) পরবর্তী সংলাপ আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে, বৈঠকের তারিখ উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ হবে।
এদিকে শান্তি আলোচনার বৈঠককে ঘিরে মুনলাই পাড়ায় নেওয়া হয় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ বিজিবিসহ মোতায়েন ছিল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য।
এই বিষয়ে রুমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শৈবং মারমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈঠকটি ইতিবাচক, এর মাধ্যমে এলাকায় আগের মতো শান্তি ফিরে আসবে বলে আমি আশাবাদী।’
জানা গেছে, সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের গোলযোগের কারণে গত বছরের ১৭ অক্টোবর থেকে জেলায় পর্যটক প্রবেশে দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয় প্রশাসন। ওই বছরের ১৫ নভেম্বরের পর ১৩২টি পরিবারের ৫৪৮ জন ভারতের মিজোরামে আশ্রয় নেয়। এর আগে ২৮ জানুয়ারি রুমা সদরে ১৪০ মারমা নারী-পুরুষ ও শিশু আশ্রয় নিলেও ৫ ফেব্রুয়ারি তারা নিজ বাসায় ফিরে যায়। ১০ মার্চ রাঙামাটির বিলাইছড়ির ৪ নম্বর বড়থলি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের তিনটি পাড়া থেকে ৫৬ পরিবারের ২২০ জন তংচঙ্গ্যা রেইছা ও রোয়াংছড়ি সদরে আশ্রয় নেয়। এই ঘটনায় পাঁচজন সেনা সদস্য ও ১৬ জন কেএনএফ সদস্যসহ নিহত হয়, অপহরণের শিকার হয় অন্তত ২০ জন। ফলে জেলার ব্যবসা-বাণিজ্য ধস ও জনজীবনে অস্থিরতা দেখা দেয়।
অন্যদিকে কেএনএফের সঙ্গে জঙ্গিদের যোগসাজশ আছে দাবি করে যৌথ বাহিনী জানায়, এই সময়ে পাহাড়ে অভিযানে জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৬৮ জন জঙ্গি ও কেএনএফের কয়েকজনকে আটক করা হয়। এ সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মিনিবাসচাপায় কাজলী (৪৫) নামের এক হিজড়া নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০ টায় উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বার আউলিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত কাজলী কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের মধ্যম সোনাইছড়ি এলাকায় বসবাস করতেন।
৩ মিনিট আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মাসুদপুর সীমান্ত দিয়ে ২০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ বুধবার (১৮ জুন) ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে ওই সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ৪/৫ এর ১ এস এলাকা দিয়ে তাদের পুশইন করে বিএসএফ। পরে তাদের আটক করে বার্ডার গার্ড বাংলাদেশ..
৫ মিনিট আগেকায়েমপুর ইউনিয়নের জগদিসপুর মোজায় ৩০-৪০ জনের ১৮০ বিঘা জমি রয়েছে। তবে এসব জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলে আসছে স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের সঙ্গে বেগপুর গ্রামের আজগর আলীসহ কয়েকজন ব্যক্তির। গত ০১ মে সকালে এসব জমিতে যন্ত্র দিয়ে ধান কাটছিলেন। এসময় এলাকায় নারীরা যন্ত্র দিয়ে কিভাবে ধান...
১১ মিনিট আগেমঙ্গলবার দিবাগত রাতে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর মোহাম্মদিয়া হোটেলের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত টিপু সুলতান বেগমগঞ্জ উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগে