Ajker Patrika

ভাতা-চাকরি দেওয়ার নামে কয়েক লাখ টাকা নেন টিকটকার নারী, বাড়ি ঘেরাও 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
ভাতা-চাকরি দেওয়ার নামে কয়েক লাখ টাকা নেন টিকটকার নারী, বাড়ি ঘেরাও 

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সমাজসেবা অধিদপ্তরে চাকরি দেওয়ার নামে অন্তত ১৫-২০ জনের কাছ থেকে ১ থেকে ৫ লাখ করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে টিকটকার গৃহবধূ ফুলেরা বেগমের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন সরকারি ভাতা ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার নামে অর্ধশত নারীর কাছ থেকে ২ থেকে ৭ হাজার করে টাকা নিয়েছেন। কিন্তু টাকা নিয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি পূরণ না করায় আজ শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফুলেরা বেগমের বাড়ি ঘেরাও করেন কয়েকজন ভুক্তভোগী নারী। 

টিকটকার গৃহবধূ ফুলেরা বেগম টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে আজকের পত্রিকার এই প্রতিনিধিকে বলেছেন, ‘কোনো সার্কুলার দেখার প্রয়োজন নেই। অফিসের সঙ্গে আমার সরাসরি সম্পর্ক। পদ ভেদে এক থেকে পাঁচ লাখ টাকা অগ্রিম লাগবে। চাকরির নিয়োগপত্র পাওয়ার আগেই নেওয়া টাকার বিনিময়ে আমি দেব একটি ফাঁকা চেক।’ 

শুক্রবার ভুক্তভোগী নারীরা বাড়িতে গেলে দরজা লাগিয়ে দেন ফুলেরা বেগম। এতে ভুক্তভোগীরা উত্তেজিত হয়ে বাড়ি ঘেরাও দেন। তখন ফুলেরা বেগম উল্টো ভুক্তভোগীদের নানারকম ভয়ভীতি ও হুমকি দেন। সেখানে সংবাদ সংগ্রহে গেলে স্থানীয় সাংবাদিক জাহিদ হাসানের ওপর হামলা করে ফুলেরা বেগমের ছেলে-মেয়েরা। এ সময় গুরুতর আহত হন জাহিদ হাসান। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ সময় দুটি দেশীয় অস্ত্র হাতুড়ি ও শাবল উদ্ধার করা হয়। 

ফুলেরা বেগম চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বারোঘরিয়া বাগানপাড়া গ্রামের মো. বাবুর স্ত্রী। তিনি সমাজসেবা অধিদপ্তরে পিয়ন পদে চাকরি করেন বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। তবে সমাজসেবা অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে ফুলেরা নামের কেউ চাকরি করেন না। তবে তাঁকে নিয়মিত টিকটক ভিডিও করতে দেখা যায়। তাঁর স্বামী কি করেন তাও বলতে পারেন না কেউ। ফুলেরা বয়স্ক, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, প্রতিবন্ধী, মাতৃত্বকালীন ভাতা, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর ও সমাজসেবায় বিভিন্ন সরকারি প্রশিক্ষণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কয়েকশ নারীর কাছ থেকে ২ হাজার থেকে ৭ হাজার করে টাকা নিয়েছেন। 

সরেজমিনে জানা গেছে, কয়েকজন নারী-পুরুষকে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ভাতার কার্ডও করে দিয়েছেন তিনি। এমনকি ১৫-২০ জনকে কার্ড করে দিতে না পেরে টাকা ফেরত দিয়েছেন। তবে এখনো অনেকেই এ বাবদ টাকা পাবেন তাঁর কাছে। টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন ফুলেরা বেগম। 

সমাজসেবা অধিদপ্তরে চাকরি আশ্বাসে যাঁদের কাছ থেকে ফুলেরা বেগম টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তাঁরা হলেন—বারোঘরিয়া গ্রামের মাসুদ আলীর স্ত্রী মোসা. সায়েমা বেগম (৫ লাখ টাকা), নুরুন্নাহার (৩ লাখ টাকা), আব্দুল করিমের স্ত্রী খাতিজা খাতুন (২ লাখ টাকা), শফিকুল ইসলামের স্ত্রী শিরিন খাতুনসহ (১ লাখ টাকা) এলাকার আরও অনেকে। গ্রামের বিভিন্ন নারীদের সমাজসেবা অধিদপ্তরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে অগ্রিম টাকা নেওয়ার পর দীর্ঘ দুই বছর পেরিয়ে গেলে টাকা ফেরত নেওয়ার দাবি জানান চাকরি প্রার্থীরা। 

চাকরি প্রত্যাশী, স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে জানা গেছে, টাকা আদান-প্রদানের বিষয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে ইউনিয়ন পরিষদে সালিসে বসলেও সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন ফুলেরা বেগম। পরে থানায় অভিযোগ করলেও কোনো সমাধান পাননি ভুক্তভোগীরা। এ নিয়ে বারোঘরিয়া গ্রামের মাসুদ আলীর স্ত্রী মোসা. সায়েমা বেগম বাদী হয়ে আদালতে একটি চেক জালিয়াতির মামলা দায়ের করেছেন। 

চাকরি প্রত্যাশী সায়েমা বেগম বলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তরে কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে গত বছরের নভেম্বর মাসে ৫ লাখ টাকা নেয় ফুলেরা বেগম। দুইবারে ২ ও ৩ লাখ মিলে মোট ৫ লাখ টাকা নেয়। বিনিময়ে অগ্রণী ব্যাংকের একটি ফাঁকা চেক দিয়েছে। টাকা নেওয়ার সময় ফুলেরা বেগম বলেছিলেন, ‘এর আগে কয়েকজনকে চাকরি নিয়ে দিয়েছি, আপনারটাও করে দেব।’ 

সায়েমা আরও বলেন, ‘সে (ফুলেরা বেগম) সমাজসেবা অধিদপ্তরে পিয়ন পদে চাকরি করে বলে পরিচয় দেয়। টাকা নেওয়ার পর দেব, দিচ্ছি করে করে দুই বছর পেরিয়ে গেলে সবাই মিলে তাঁকে টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য ধরি। কিন্তু কাকে টাকা দিয়েছে, কখন ফেরত দিবে, কিছুই বলছে না। আমি ঋণ করে টাকা দিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ ও থানায় অভিযোগ দিয়েও কোনো সুরাহা না পেয়ে আদালতে চেক জালিয়াতির মামলা দায়ের করেছি।’ 

২ লাখ টাকা দেওয়া আব্দুল করিমের স্ত্রী খাতিজা খাতুন বলেন, ‘পাড়ার মানুষ বলে বিশ্বাস করে টাকা দিয়েছি। টাকা নেওয়ার পর রাজশাহী ও গোদাগাড়ীতে প্রশিক্ষণ করাব বলে দীর্ঘদিন ঘুরিয়েছে। কিন্তু শুধু আমাকেই না, অনেককেই এভাবে মিথ্যা বলেছে। চাকরি প্রত্যাশীরা সবাই মিলে চাপ দিলে পরে স্বীকার করে ও টাকা ফেরত দিবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। সবার কাছে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য সময় নিয়েছে, কিন্তু তাও দিচ্ছে না।’ 

ফুলেরা বেগমের বাড়ির সামনে প্রতারণার শিকার নারীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকাএকই এলাকার শিরিন খাতুন বলেন, ‘টাকা লেনদেনের বিষয়ে তাঁর স্বামী-শ্বশুরকে অভিযোগ দিতে গেলে তাঁরা বলে, টাকা দেওয়ার সময় আমাদের বলে দেননি। অতএব, এসব বিষয়ে আমাদের বলে লাভ নাই। আমার নিজের চাকরির টাকা ছাড়াও এলাকার আরও কয়েকজনের কাছ থেকে বয়স্ক, বিধবা ভাতার কার্ড বাবদ ১২ হাজার টাকা ফুলেরাকে দিয়েছি। কার্ড না হওয়ায় এসব টাকাও আমাকে শোধ করতে হয়েছে।’ 

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক জানান, ‘এলাকার অনেকের কাছ থেকেই বিভিন্ন ভাতার কার্ড করে দেব বলে ফুলেরা টাকা নিয়েছে। কয়েকজনের ফেরত দিয়েছে, এখনো আরও অনেকেই টাকা পাবে। প্রায় প্রতিদিনই কিছু না কিছু মানুষজন তার বাসার সামনে এসে বসে থাকে টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য।’ 

অভিযুক্ত ফুলেরা বেগম সমাজসেবা অধিদপ্তরে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, ‘এর আগেও এলাকার অনেকের বিভিন্ন ভাতার কার্ড করে দিয়েছি। আরও করে দেওয়ার জন্য কাগজপত্র ও টাকা নিয়েছিলাম। কিন্তু যাদের হয়নি, তাঁদের টাকা ফেরত দিয়েছি।’ 

চাকরি দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সমাজসেবা অধিদপ্তরের এক ম্যাডামের মাধ্যমে এসব টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু চাকরি হয়নি, টাকাগুলো ফেরত দেব। তবে একটু সময় লাগবে।’ ম্যাডামের পরিচয় জানতে চাইলে এ বিষয়ে কথা বলবেন না বলে জানান তিনি। 

বারোঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল খায়ের জানান, ফুলেরার বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সালিস আহ্বান করা হলেও তিনি উপস্থিত হননি। পরে এ নিয়ে আদালতে একটি মামলা হয়। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব জানান, ‘উত্তেজনাকর পরিস্থিতির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ভুক্তভোগীদের আগামীকাল শনিবার দুপুর ১২টায় থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

এদিকে ভুক্তভোগীদের দাবি, গত কয়েক দিন আগেই ফুলেরা বেগমের নামে থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে এ নিয়ে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এ ছাড়া আদালতে চেক জালিয়াতির একটি মামলা চলমান রয়েছে। 

সমাজসেবা অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক উম্মে কুলসুম মোবাইল ফোনে বলেন, ‘ফুলেরা নামের কোনো মহিলা সমাজসেবা অধিদপ্তরে চাকরি করে না। এমনকি এই নামের কোনো মহিলাকে চিনি না। এ ছাড়া ভাতার কার্ডে টাকা লেনদেনের কোনো সুযোগ নেই। এমনকি চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আদায়ের পর প্রতারণার বিষয়ে কিছু জানা নেই। আমাদের অফিসের কেউ জড়িত থাকলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

লিটনদের ‘ফাইনাল’ ম্যাচ দিনের আলোয়

ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, আটক দুই

আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া, প্রার্থী হচ্ছেন কোন আসনে

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের মেসেজ পেয়ে আবেগে ভেসে যাবেন, কর্মক্ষেত্রে প্রশংসিত হবেন

বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের দামামা: সমরাস্ত্র শিল্পের মুনাফা বেড়ে ৬৭৮ বিলিয়ন ডলার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গুরুদাসপুরে মাদক কারবারি অভিযোগে দম্পতিসহ আটক ৩

গুরুদাসপুর(নাটোর)প্রতিনিধি
মাদকসহ আটক শহিদুল ইসলা ভম্বু (বাঁয়ে) ও তাঁর সহযোগী রুবেল আলী। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাদকসহ আটক শহিদুল ইসলা ভম্বু (বাঁয়ে) ও তাঁর সহযোগী রুবেল আলী। ছবি: আজকের পত্রিকা

নাটোরের গুরুদাসপুরে মাদক কারবারি অভিযোগে দম্পতি ও তাঁদের এক সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলেন শহিদুল ইসলাম ওরফে ভম্বু (৪৫), তাঁর স্ত্রী তানিয়া আক্তার এবং সহযোগী রুবেল আলী (২৯)। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের আটক করা হয়।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন বলেন, দম্পতিটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক কারবার করে আসছিল। শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২১টি এবং তাঁর স্ত্রী তানিয়ার বিরুদ্ধে ৯টি মামলা রয়েছে। মামলাগুলোতে তাঁরা জামিনে ছিলেন। সহযোগী রুবেল আলী তাঁদের মাদক কারবারে সহায়তা করতেন।

ওসি জানান, পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাঁদের কাছ থেকে ১০৭টি ইয়াবা, ২৪৫ পুরিয়া হেরোইন এবং মাদক কারবারের ৫৬ হাজার ৫৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়। আজ সোমবার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেন, এক দশকের বেশি সময় ধরে পরিবারটি মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ও কিছু প্রশাসনিক কর্মকর্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে বহুবার আটক হলেও তাঁরা জামিনে মুক্ত হয়ে আবার মাদক কারবারে ফেরেন। এলাকায় মাদক ছড়িয়ে পড়লেও ভয়ের কারণে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পেত না। আবারও মাদকসহ দম্পতিকে আটক করায় স্থানীয়রা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

ওসি দুলাল হোসেন আরও বলেন, ‘আগে যেভাবেই রক্ষা পেয়ে থাকুক, এখন মাদক ও সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

লিটনদের ‘ফাইনাল’ ম্যাচ দিনের আলোয়

ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, আটক দুই

আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া, প্রার্থী হচ্ছেন কোন আসনে

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের মেসেজ পেয়ে আবেগে ভেসে যাবেন, কর্মক্ষেত্রে প্রশংসিত হবেন

বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের দামামা: সমরাস্ত্র শিল্পের মুনাফা বেড়ে ৬৭৮ বিলিয়ন ডলার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সেন্ট মার্টিন-টেকনাফ রুটে স্পিডবোট উল্টে মা-মেয়ের মৃত্যু

 টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের কারণে বোটটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের কারণে বোটটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফ ফেরার পথে শাহপরীর দ্বীপের ঘোলারচর এলাকায় স্পিডবোট উল্টে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন সেন্ট মার্টিন পূর্বপাড়া এলাকার মরিয়ম খাতুন (৩৫) ও তাঁর মেয়ে মহিমা (৫)। রোববার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্পিডবোটটিতে নারী, পুরুষ, শিশুসহ মোট সাতজন যাত্রী ছিলেন। সাগরের ঢেউয়ের কারণে বোটটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। পরে পাশের অন্য একটি স্পিডবোট দ্রুত পৌঁছে যাত্রীদের উদ্ধার করে।

স্পিডবোটের চালক মো. আরিফ জানান, সাগর প্রচণ্ড উত্তাল থাকায় বোটটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশিফ আলভী জানান, দুজনকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছে। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

লিটনদের ‘ফাইনাল’ ম্যাচ দিনের আলোয়

ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, আটক দুই

আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া, প্রার্থী হচ্ছেন কোন আসনে

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের মেসেজ পেয়ে আবেগে ভেসে যাবেন, কর্মক্ষেত্রে প্রশংসিত হবেন

বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের দামামা: সমরাস্ত্র শিল্পের মুনাফা বেড়ে ৬৭৮ বিলিয়ন ডলার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাগেরহাটে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় পথচারী নিহত

ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি  
আহত ব্যক্তিকে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহত ব্যক্তিকে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাগেরহাটে রাস্তার পার হওয়ার সময় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মো. আফসার শেখ (৭০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। খুলনা-মোংলা মহাসড়কের সদর উপজেলার চুলকাঠির সোনাডাঙ্গা এলাকায় আজ বেলা ১১টা দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আফসার শেখ ঝালকাঠির সোনাডাঙ্গা এলাকার মৃত মো. রয়েজ শেখের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আফসার শেখ বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। চুলকাঠির সোনাডাঙ্গা এসে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নোমান রাসেল জানান, ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে।

কাটাখালী হাইওয়ে থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) এ কে এম হাসনুজ্জামান দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক ও সহযোগী পালিয়ে গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

লিটনদের ‘ফাইনাল’ ম্যাচ দিনের আলোয়

ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, আটক দুই

আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া, প্রার্থী হচ্ছেন কোন আসনে

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের মেসেজ পেয়ে আবেগে ভেসে যাবেন, কর্মক্ষেত্রে প্রশংসিত হবেন

বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের দামামা: সমরাস্ত্র শিল্পের মুনাফা বেড়ে ৬৭৮ বিলিয়ন ডলার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গোপালগঞ্জে তুলার কারখানার হলারে গামছা পেঁচিয়ে শ্রমিকের মৃত্যু

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গোপালগঞ্জে তুলার কারখানায় মেশিনের হলারে গলায় থাকা গামছা পেঁচিয়ে মো. ফয়সাল (২০) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া এলাকার শহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন তুলার কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফয়সাল গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া ইউনিয়নের চর ভূঁইয়াপাড়া গ্রামের মো. এসকেন্দারের ছেলে।

গোপীনাথপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক মমিনুল ইসলাম জানান, চন্দ্রদিঘলিয়া এলাকার একটি তুলার মিলে ঝুট থেকে তুলা তৈরির কাজ করতেন ফয়সাল। সকালে তুলা তৈরি করার সময় গলায় থাকা গামছা মেশিনের হলারে পেঁচিয়ে গেলে গলায় ফাঁস লেগে মারাত্মক আহত হন তিনি। পরে তাঁকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

লিটনদের ‘ফাইনাল’ ম্যাচ দিনের আলোয়

ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, আটক দুই

আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া, প্রার্থী হচ্ছেন কোন আসনে

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের মেসেজ পেয়ে আবেগে ভেসে যাবেন, কর্মক্ষেত্রে প্রশংসিত হবেন

বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের দামামা: সমরাস্ত্র শিল্পের মুনাফা বেড়ে ৬৭৮ বিলিয়ন ডলার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত