আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার আমতলী উপজেলার বাসিন্দা শ্যাম কর্মকার। পরিবার নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে চলতো তাঁর সংসার। প্রথমে বড় ছেলে পরে ছোট ছেলে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ছেলের চিকিৎসায় সর্বস্ব হারিয়ে ফেলেন তিনি। শুরু হয় মানবেতর জীবন। আশি ঊর্ধ্বে এই বৃদ্ধ সবকিছু হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এমন অবস্থায় তাঁর দুই পুত্রবধূ ঢাল হয়ে দাঁড়ান। কাঁধে তুলে নেন সংসারের ভার। শ্বশুর ও স্বামীর গড়া কামারের ব্যবসা শুরু করেন। সংগ্রামী দুই নারী কামার কাজ করে জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
২০১০ সালে পৌর শহরের সদর রোডের শ্যাম কর্মকারের বড় ছেলে আশীষ কর্মকার মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হন। দুই বছর ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে ২০১২ সালে মারা যান। বিধবা ঝুমা কর্মকার স্বামীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে বৃদ্ধ শ্বশুর ও দেবর অসীম কর্মকারের পাশাপাশি কামারের কাজ করেন। কিছুদিন পরই ফুসফুস ক্যানসারের আক্রান্ত হন অসীম কর্মকার। পাঁচ বছর ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর তিনিও মারা যান। বিধবা হন পুতুল রানী কর্মকার।
এদিকে দুই ছেলে হারানোর শোকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন শ্যাম কর্মকার। প্রায় বন্ধ হয়ে যায় তাঁদের কামার শিল্প। এমন মুহূর্তে দুই পুত্রবধূ ঝুমা রানী কর্মকার ও পুতুল রানী কর্মকার স্বামীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে কামার শিল্পের হাল ধরেন। দিন-রাত অদম্য পরিশ্রম করে চালিয়ে যার কর্মযজ্ঞ। যুদ্ধ করেন আগুন ও লোহার সঙ্গে। প্রতিদিন দা, বটি, কুঠার, হাতুড়ি, চাকুসহ লোহার জিনিসপত্র তৈরি করেন। বলতে গেলে আগুন ও লোহার সঙ্গে গড়ে উঠেছে গভীর মিতালি।
ঝুমা কর্মকার ও পুতুল রানী কর্মকার জানান, আগুন ও লোহার মিতালিতে কামারশালায় মত্ত তাঁরা। এ কাজ করেই তাঁদের পরিবারের সাত সদস্যের সংসার চলে। বয়সের ভারে শ্বশুর চোখে কম দেখেন। তাঁর সারা শরীরের ফোসকা পড়ে চামড়া উঠে যাচ্ছে। বৃদ্ধ শ্বশুর ও শাশুড়ির চিকিৎসা ভরন-পোষণ, তাঁদের দুই সন্তান অন্তু কর্মকার ও অন্তরা কর্মকারের লেখাপড়া এমনকি ননদের দেখভাল চলে এ কাজের অর্জিত অর্থ দিয়ে। বর্তমানে কোরবানি উপলক্ষে এখন ব্যস্ত তাঁরা। পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি তারাও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন। সরকারি সহযোগিতা পেলে তারা আরও এগিয়ে যেতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন এই দুই নারী কামার।
পুতুল রানী ও ঝুমা রানী কর্মকার বলেন, আমার শ্বশুরের দুই ছেলে মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। স্বামীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমরা কাজে লেগে পড়ি। দিন রাত লোহা ও আগুনের সঙ্গে যুদ্ধ করে যাচ্ছি।
তারা আক্ষেপ করে বলেন, কী আর করা সংসার তো চালাতে হবে। বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ি তাদের চিকিৎসাসহ ও দুই সন্তানের লেখাপড়া। যতই কষ্ট হোক স্বামীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে চেষ্টা করব। আমরা মিলে মিশে কাজ করি। স্বামী ছাড়া কষ্ট হলেও জীবনতো চালাতে হবে।
ঝুমা রানী কর্মকার বলেন, ‘যত দিন শক্তি, সামর্থ্য আছে তত দিন স্বামীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে অদম্য চেষ্টা চালিয়ে যাব। এখান থেকে সরে যাব না। কষ্টের জীবনে সরকারি সহযোগিতা পেলে কামার শিল্পটাকে আরও বেগবান করা যেত।’
বৃদ্ধ শ্যাম কর্মকার কান্নাজনিত কণ্ঠে বলেন, ‘চোহে দেহি না। হারা শরীরে ফোসকা পইরা চামড়া ওডে। দুই বিধবা পোলার বউ লোয়ার (লোহা) কাম হরে সংসার চালায়। কাম কম, সংসার চালাইতে কষ্ট অয়। সরকারি সাহায্য পাইলে ভালো অইতো।’
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, দুই নারী কামারকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হবে।
বরগুনার আমতলী উপজেলার বাসিন্দা শ্যাম কর্মকার। পরিবার নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে চলতো তাঁর সংসার। প্রথমে বড় ছেলে পরে ছোট ছেলে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ছেলের চিকিৎসায় সর্বস্ব হারিয়ে ফেলেন তিনি। শুরু হয় মানবেতর জীবন। আশি ঊর্ধ্বে এই বৃদ্ধ সবকিছু হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এমন অবস্থায় তাঁর দুই পুত্রবধূ ঢাল হয়ে দাঁড়ান। কাঁধে তুলে নেন সংসারের ভার। শ্বশুর ও স্বামীর গড়া কামারের ব্যবসা শুরু করেন। সংগ্রামী দুই নারী কামার কাজ করে জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
২০১০ সালে পৌর শহরের সদর রোডের শ্যাম কর্মকারের বড় ছেলে আশীষ কর্মকার মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হন। দুই বছর ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে ২০১২ সালে মারা যান। বিধবা ঝুমা কর্মকার স্বামীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে বৃদ্ধ শ্বশুর ও দেবর অসীম কর্মকারের পাশাপাশি কামারের কাজ করেন। কিছুদিন পরই ফুসফুস ক্যানসারের আক্রান্ত হন অসীম কর্মকার। পাঁচ বছর ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর তিনিও মারা যান। বিধবা হন পুতুল রানী কর্মকার।
এদিকে দুই ছেলে হারানোর শোকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন শ্যাম কর্মকার। প্রায় বন্ধ হয়ে যায় তাঁদের কামার শিল্প। এমন মুহূর্তে দুই পুত্রবধূ ঝুমা রানী কর্মকার ও পুতুল রানী কর্মকার স্বামীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে কামার শিল্পের হাল ধরেন। দিন-রাত অদম্য পরিশ্রম করে চালিয়ে যার কর্মযজ্ঞ। যুদ্ধ করেন আগুন ও লোহার সঙ্গে। প্রতিদিন দা, বটি, কুঠার, হাতুড়ি, চাকুসহ লোহার জিনিসপত্র তৈরি করেন। বলতে গেলে আগুন ও লোহার সঙ্গে গড়ে উঠেছে গভীর মিতালি।
ঝুমা কর্মকার ও পুতুল রানী কর্মকার জানান, আগুন ও লোহার মিতালিতে কামারশালায় মত্ত তাঁরা। এ কাজ করেই তাঁদের পরিবারের সাত সদস্যের সংসার চলে। বয়সের ভারে শ্বশুর চোখে কম দেখেন। তাঁর সারা শরীরের ফোসকা পড়ে চামড়া উঠে যাচ্ছে। বৃদ্ধ শ্বশুর ও শাশুড়ির চিকিৎসা ভরন-পোষণ, তাঁদের দুই সন্তান অন্তু কর্মকার ও অন্তরা কর্মকারের লেখাপড়া এমনকি ননদের দেখভাল চলে এ কাজের অর্জিত অর্থ দিয়ে। বর্তমানে কোরবানি উপলক্ষে এখন ব্যস্ত তাঁরা। পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি তারাও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন। সরকারি সহযোগিতা পেলে তারা আরও এগিয়ে যেতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন এই দুই নারী কামার।
পুতুল রানী ও ঝুমা রানী কর্মকার বলেন, আমার শ্বশুরের দুই ছেলে মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। স্বামীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমরা কাজে লেগে পড়ি। দিন রাত লোহা ও আগুনের সঙ্গে যুদ্ধ করে যাচ্ছি।
তারা আক্ষেপ করে বলেন, কী আর করা সংসার তো চালাতে হবে। বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ি তাদের চিকিৎসাসহ ও দুই সন্তানের লেখাপড়া। যতই কষ্ট হোক স্বামীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে চেষ্টা করব। আমরা মিলে মিশে কাজ করি। স্বামী ছাড়া কষ্ট হলেও জীবনতো চালাতে হবে।
ঝুমা রানী কর্মকার বলেন, ‘যত দিন শক্তি, সামর্থ্য আছে তত দিন স্বামীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে অদম্য চেষ্টা চালিয়ে যাব। এখান থেকে সরে যাব না। কষ্টের জীবনে সরকারি সহযোগিতা পেলে কামার শিল্পটাকে আরও বেগবান করা যেত।’
বৃদ্ধ শ্যাম কর্মকার কান্নাজনিত কণ্ঠে বলেন, ‘চোহে দেহি না। হারা শরীরে ফোসকা পইরা চামড়া ওডে। দুই বিধবা পোলার বউ লোয়ার (লোহা) কাম হরে সংসার চালায়। কাম কম, সংসার চালাইতে কষ্ট অয়। সরকারি সাহায্য পাইলে ভালো অইতো।’
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, দুই নারী কামারকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হবে।
মাঝনদীতে আটকা পড়া এসব ফেরিতে ১৫টির মতো যাত্রীবাহী বাস আছে। এসব বাসের যাত্রীরা কনকনে শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে পাটুরিয়া ঘাটে ৩০টির মতো যাত্রীবাহী বাস এবং শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে।
৪২ মিনিট আগেটঙ্গীতে প্রথম ধাপের বিশ্ব ইজতেমায় ইয়াকুব আলী (৬০) নামের আরেক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইজতেমা ময়দানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। ইয়াকুব আলী হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার রাধবপুর গ্রামের নওয়াব উল্লাহ ছেলে।
৪৪ মিনিট আগেরাজধানীর আদাবরে গত বৃহস্পতিবার দিনদুপুরে ছিনতাইকারীদের চাপাতির কোপে সুমন শেখ (২৬) নামে এক যুবকের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাঁর কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। ভুক্তভোগী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
১ ঘণ্টা আগেঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা থেকে এই পথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আজ শনিবার সকাল ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
২ ঘণ্টা আগে