পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার পাথরঘাটায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় প্রার্থীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দফায় দফায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাঠিপেটা করে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে হামলায় আহত ১০ জনকে পাথরঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোস্তফা গোলাম কবির (কাপ-পিরিচ) ও এনামুল হোসাইনের (দোয়াত-কলম) সমর্থকদের মধ্যে প্রথমে কাকচিড়া ইউনিয়নের কাটাখালী এলাকায় সংঘর্ষ হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় পাথরঘাটা হাসপাতালে সংঘর্ষ হয়।
হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলেন দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হোসাইন, ফয়সাল আহম্মেদ, মো. সোলাইমান, শাহ আলী, সবুজ গাজী, তানভীর আহম্মেদ, মো. আহাদ, মো. রাকিব, রুবেল মিয়া ও হাসান রাব্বি।
এ ঘটনায় নাঈমুল ইসলাম (২৯), মনির হোসেন (৩০), মো. মিজান (২৫), মো. ইব্রাহীম (২৫), শাহাদাৎ (২৪), আবু সুমা (২৬), মো. হাবিবুর রহমান (২৫), মো. শান্ত (২৩) ও মো. খোকনকে (৩০) আটক করেছে পাথরঘাটা থানার পুলিশ।
চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এনামুল হোসাইন অভিযোগ করেন, ‘নির্বাচনের শুরু থেকেই কাকচিড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টুর ছেলে রাজন আহম্মেদ কাপ-পিরিচ মার্কার পক্ষ নিয়ে আমার লোকজনকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। গতকাল মোটরসাইকেলের মহড়া দিয়ে আমার কাকচিড়া ইউনিয়নের নির্বাচনী প্রচার অফিসে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে আমি কিছু কর্মী নিয়ে সেখানে গেলে আমার ওপর হামলা চালায়। পরে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।’
তবে অপর প্রার্থী মোস্তফা গোলাম কবির বলেন, ‘গতকাল বিকেলে কাকচিড়া ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামে তাঁর এবং এনামুলের সমর্থকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা মিটমাট করে দেয়। তার পরও সন্ধ্যায় এনামুল লোকজন নিয়ে ওই এলাকায় আমার লোকজনকে মারধর করে। তাদের মধ্যে শাহ আলী ও রাকিবকে পাথরঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে আমার লোকজন দেখতে যায়। এ সময় এনামুলের সমর্থকেরা সশস্ত্র হামলা চালায়। তাতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়। আমার পক্ষে গণজোয়ার দেখে এনামুল নির্বাচন বানচাল করার জন্য এসব করছে।’
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, আহতদের দেখতে উভয় পক্ষের লোকজন হাসপাতালে জড়ো হয়। এ সময় হাসপাতালে সংঘর্ষ হয়। তাতে অনেকেই আহত হয়। ৩০ মিনিট ধরে সংঘর্ষ চলার পর পুলিশ এসে লাঠিপেটা করে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, মারামারির ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। প্রার্থীরা অভিযোগ দিলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২৯ মে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে তা স্থগিত হয়। পরে নির্বাচন কমিশন আগামী ৯ জুন ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করে।
বরগুনার পাথরঘাটায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় প্রার্থীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দফায় দফায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাঠিপেটা করে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে হামলায় আহত ১০ জনকে পাথরঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোস্তফা গোলাম কবির (কাপ-পিরিচ) ও এনামুল হোসাইনের (দোয়াত-কলম) সমর্থকদের মধ্যে প্রথমে কাকচিড়া ইউনিয়নের কাটাখালী এলাকায় সংঘর্ষ হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় পাথরঘাটা হাসপাতালে সংঘর্ষ হয়।
হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলেন দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হোসাইন, ফয়সাল আহম্মেদ, মো. সোলাইমান, শাহ আলী, সবুজ গাজী, তানভীর আহম্মেদ, মো. আহাদ, মো. রাকিব, রুবেল মিয়া ও হাসান রাব্বি।
এ ঘটনায় নাঈমুল ইসলাম (২৯), মনির হোসেন (৩০), মো. মিজান (২৫), মো. ইব্রাহীম (২৫), শাহাদাৎ (২৪), আবু সুমা (২৬), মো. হাবিবুর রহমান (২৫), মো. শান্ত (২৩) ও মো. খোকনকে (৩০) আটক করেছে পাথরঘাটা থানার পুলিশ।
চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এনামুল হোসাইন অভিযোগ করেন, ‘নির্বাচনের শুরু থেকেই কাকচিড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টুর ছেলে রাজন আহম্মেদ কাপ-পিরিচ মার্কার পক্ষ নিয়ে আমার লোকজনকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। গতকাল মোটরসাইকেলের মহড়া দিয়ে আমার কাকচিড়া ইউনিয়নের নির্বাচনী প্রচার অফিসে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে আমি কিছু কর্মী নিয়ে সেখানে গেলে আমার ওপর হামলা চালায়। পরে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।’
তবে অপর প্রার্থী মোস্তফা গোলাম কবির বলেন, ‘গতকাল বিকেলে কাকচিড়া ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামে তাঁর এবং এনামুলের সমর্থকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা মিটমাট করে দেয়। তার পরও সন্ধ্যায় এনামুল লোকজন নিয়ে ওই এলাকায় আমার লোকজনকে মারধর করে। তাদের মধ্যে শাহ আলী ও রাকিবকে পাথরঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে আমার লোকজন দেখতে যায়। এ সময় এনামুলের সমর্থকেরা সশস্ত্র হামলা চালায়। তাতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়। আমার পক্ষে গণজোয়ার দেখে এনামুল নির্বাচন বানচাল করার জন্য এসব করছে।’
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, আহতদের দেখতে উভয় পক্ষের লোকজন হাসপাতালে জড়ো হয়। এ সময় হাসপাতালে সংঘর্ষ হয়। তাতে অনেকেই আহত হয়। ৩০ মিনিট ধরে সংঘর্ষ চলার পর পুলিশ এসে লাঠিপেটা করে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, মারামারির ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। প্রার্থীরা অভিযোগ দিলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২৯ মে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে তা স্থগিত হয়। পরে নির্বাচন কমিশন আগামী ৯ জুন ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করে।
ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুই পথের উভয় প্রান্তে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাসসহ দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
২৫ মিনিট আগেরংপুরে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই স্থানে একে একে ছয়টি পরিবহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা না ঘটলেও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলোর মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী বাসসহ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে...
২৭ মিনিট আগেচট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে বাসে-ট্রাকে করে মানুষ মাহফিলে আসতে থাকে। বিকেল ৪টা নাগাদ প্যারেড ময়দানের আশপাশের রাস্তাঘাট লোকারণ্য হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। প্যারেড ময়দানসংলগ্ন চকবাজার তেলিপট্টি মোড় থেকে এক্সেস রোড, অলিখাঁ মোড় থেকে গণি বেকারির মোড় পর্যন্ত যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।
৪২ মিনিট আগেমাঝনদীতে আটকা পড়া এসব ফেরিতে ১৫টির মতো যাত্রীবাহী বাস আছে। এসব বাসের যাত্রীরা কনকনে শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে পাটুরিয়া ঘাটে ৩০টির মতো যাত্রীবাহী বাস এবং শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে।
২ ঘণ্টা আগে