Ajker Patrika

মির্জাগঞ্জে মনির মল্লিকের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
মির্জাগঞ্জে মনির মল্লিকের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে মনির মল্লিকের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীরা। আজ বুধবার সকালে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের ভরপাশা গ্রামের মনির মল্লিককে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে গত ২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মির্জাগঞ্জের চৈতা চাকরখালি বাজারে একা পেয়ে একই বাড়ির হায়দার মল্লিক ও কামাল মল্লিকসহ ১০-১২ জন কুপিয়ে জখম করেন। পরে আহত মনিরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিমে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে গত ৪ জানুয়ারি তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। 

এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ থানায় নিহতের ভাই আ. রাজ্জাক বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

নিহতের স্ত্রী আসমা আক্তার (২৫) বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একই এলাকার হায়দার মল্লিক, কামাল মল্লিক, মুর্তজা মল্লিক, ওমর ফারুক মল্লিক, মামুন মল্লিক, জসিম মল্লিক, আলতাফ মল্লিক হাশেম মল্লিক ও ভাড়াটে খুনি মান্নান আমার স্বামীকে চাকরখালি বাজারে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। আমার স্বামীকে কেন ওরা মারল? কেন আমাকে বিধবা করল? আমার বাচ্চা দুটোকে কেন এতিম করল? পুলিশ কেন এখনো আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না? প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি বিচার চাই। 

নিহতের মা শাকেরা বেগম বলেন, আমার বাবারে মাইররা হালাইছে বাজারে বইসসা কোপাইয়া। খুনিরা বাবার সমস্ত শরীরে কোপাইয়া কিছু তোয় নায়। দুইডা বাচ্চা তুইয়া আমার বাবারে মাইররা হালাইছে। আমার নাতি ও পুতের বউরে কি জবাব দিমু। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে মোর ছেলে হত্যার বিচার চাই। 

মনির মল্লিকের ভাই নেছার মল্লিক বলেন, ওই দিন আমার ভাই মনির মল্লিক চাকরখালি বাজারে সেলুনে শেভ করতে গিয়েছিল। খুনিরা সেলুনে গিয়ে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা করেন। পরে তিনি সেলুন থেকে বের হয়ে দৌড় গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় হেলালের চায়ের দোকানে ওঠেন। এ সময় দোকানে গিয়েও খুনিরা পুনরায় আমার ভাইকে নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করেন। আমার ভাইয়ের হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত সকলকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি। 

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। 

দুই ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন-নিহতের ৯ বছরের ছেলে সিহাব মল্লিক, ৩ বছরের মেয়ে সোহানা আক্তার, ভাই শামিম মল্লিক, রাজ্জাক মল্লিক, বাদল মল্লিক ও কুদ্দুস মল্লিক। এ সময় নিহতের দুই সন্তান প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে বাবার হত্যার বিচার চায়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত