Ajker Patrika

টানা বৃষ্টিতে পানির নিচে আমনের বীজতলা, উৎপাদনে বড় ক্ষতির শঙ্কা

মো. বেল্লাল হোসেন, দশমিনা (পটুয়াখালী)
ভারী বৃষ্টিতে পানির নিচে তলিয়ে গেছে পটুয়াখালীর দশমিনার আমন ধানের বীজতলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভারী বৃষ্টিতে পানির নিচে তলিয়ে গেছে পটুয়াখালীর দশমিনার আমন ধানের বীজতলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

টানা ভারী বৃষ্টিতে পানির নিচে তলিয়ে গেছে পটুয়াখালীর দশমিনার আমন ধানের বীজতলা। এতে হুমকির মুখে পড়েছে উপজেলার আমন ধান উৎপাদন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা পড়েছেন গভীর সংকটে। নতুন করে চারা উৎপাদন করতে হলে তাঁদের বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৮ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে কৃষকেরা ইতিমধ্যে প্রায় ১ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করেছেন। কিন্তু গত প্রায় এক সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিপাতে অধিকাংশ বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে।

জুলাইয়ের শুরুতেই হওয়া ভারী বর্ষণ এখনো থামেনি। অপরিকল্পিত ঘরবাড়ি নির্মাণ এবং পানি নিষ্কাশনের কালভার্টগুলোর মুখ বন্ধ থাকায় পানি বের হতে পারছে না। ফলে জমে থাকা পানিতে তলিয়ে গেছে বীজতলা। মাঝেমধ্যে সামান্য সময় বৃষ্টি থামলেও তা প্রয়োজনীয় পানি সরাতে যথেষ্ট হয়নি।

উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে, ১০০ হেক্টর জমির বীজতলা নিমজ্জিত হয়েছে। তবে কৃষকদের দাবি, এর বাইরেও অন্তত ২০০ হেক্টরের বেশি জমির বীজতলা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। আরও শতাধিক হেক্টর বীজতলা হয়েছে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত।

দশমিনার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী কালাম বলেন, ‘গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে আমাদের ইউনিয়নের অধিকাংশ কৃষকের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে।’

ওই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গছানী গ্রামের কৃষক কাজী নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘সাড়ে পাঁচ একর জমিতে আমনের জন্য বীজতলা তৈরি করেছিলাম, সবই তলিয়ে গেছে।’

৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গছানী গ্রামের কৃষক সোহেল সিকদার বলেন, ‘আট একর জমির জন্য বীজতলা করেছিলাম। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সব নষ্ট হয়েছে। প্রায় ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি হলো।’

সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক জালাল উদ্দিন বলেন, ‘প্রতি বছরই বৃষ্টি হয়, কিন্তু এবার একটানা বৃষ্টিতে বীজতলা আর টেকেনি। সব পানির নিচে।’

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দাবি, সরকারি সহযোগিতা ছাড়া নতুন করে বীজ সংগ্রহ করে আবার বীজতলা তৈরি করা তাঁদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়বে।

এদিকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন স্থানীয় প্রশাসনকে বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে জলাবদ্ধতা নিরসন ও কৃষিকাজে সহায়ক পদক্ষেপ নিতে প্রশাসন ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাফর আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টানা বৃষ্টির কারণে অনেক বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যা মামলার আসামি দুই ভাই নেত্রকোনায় গ্রেপ্তার

‘নৌকা আউট, শাপলা ইন’, সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে এনসিপির চাওয়া

পারটেক্স এমডি রুবেল আজিজের ১১৬ কোটি টাকার সম্পত্তি নিলামে তুলছে ব্যাংক এশিয়া

যশোরে কেন্দ্রের ভুলে বিজ্ঞানের ৪৮ জন ফেল, সংশোধনে জিপিএ-৫ পেল সবাই

জরুরি অবস্থা ঘোষণায় লাগবে মন্ত্রিসভার অনুমোদন, প্রস্তাবে একমত রাজনৈতিক দলগুলো

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত