আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার তৈরি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার ডলি বিশ্বাস। বাড়িতে বসেই গোবর ও কেঁচো ব্যবহার করে জৈব সার উৎপাদন করছেন তিনি। পরিবেশবান্ধব ও মাটির উর্বরতা বাড়ায় এই সারের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। দামেও সাশ্রয়ী হওয়ায় কৃষকেরাও আগ্রহ দেখাচ্ছেন এই সারে।
উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রামানন্দেরআঁক গ্রামের বাসিন্দা ডলি বিশ্বাস একসময় সংসারের অভাব-অনটনের মধ্যে দিন কাটাতেন। পরে কারিতাসের ‘ধরিত্রী প্রকল্প’-এর আর্থিক সহায়তায় ভার্মি কম্পোস্টের একটি প্রদর্শনী শেড তৈরি করেন। শুরু করেন কেঁচো সার উৎপাদন ও বাজারজাত।
ডলি প্রথমে তিনটি রিং ব্যবহার করে সার উৎপাদন শুরু করেন। এখন তাঁর ১৩টি রিং রয়েছে। খুচরা ও পাইকারি—দুইভাবে সার বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন তিনি। কারিতাসের সহায়তায় তাঁর মতো আরও ৪৬২ জন নারী ও পুরুষ ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন বলে জানায় প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।
ডলি বিশ্বাস বলেন, ‘সার তৈরির জন্য ১৫ দিনের পুরোনো গোবর লাগে। কেঁচো সেই গোবর খেয়ে যে মল ত্যাগ করে, তা থেকেই ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি হয়। এখন এই সার বিক্রি করে সংসার চালাতে পারছি।’
স্থানীয় কৃষক আবু মিয়া বলেন, ‘বাজারের রাসায়নিক সারের চেয়ে এই জৈব সারের দাম কম। জমির উর্বরতা বাড়ে, ফলনও ভালো হয়। তাই এখন আমরা জমিতে কেঁচো সার ব্যবহার শুরু করেছি।’
একই এলাকার কৃষক হারু মিয়া বলেন, ‘আমার সবজি বাগানে আগে অনেক রাসায়নিক সার ব্যবহার করতাম। এখন কেঁচো সার ব্যবহার করছি। খরচ কমছে, আবার ফলনও হচ্ছে ভালো।’
কারিতাসের ধরিত্রী প্রকল্পের উপজেলা ইনচার্জ এডওয়ার্ড অন্তু রায় বলেন, ‘কৃষকেরা এখন কেঁচো সার ব্যবহার করে বিষমুক্ত শাকসবজি চাষ করছেন। ভাসমান ও জৈব পদ্ধতিতে চাষ করে নিজেরাই ব্যবহার করছেন, আবার বাজারেও বিক্রি করছেন। এতে তাঁরা পরিবেশবান্ধব কাজের মাধ্যমে নিজের পরিবার ও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছেন।’
বরিশালের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. রেজাউল হাসান বলেন, ‘কেঁচো কম্পোস্ট সার ফলন ও গুণগত মান বাড়ায়। সব মৌসুমেই সব ধরনের ফসলে ব্যবহার করা যায়। এটি বীজের অঙ্কুরোদ্গমে সহায়তা করে, মাটির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং উপকারী অণুজীবের কার্যকারিতা বাড়ায়। তাই কৃষকেরাও স্বচ্ছন্দে এই সার ব্যবহার করছেন।’
ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার তৈরি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার ডলি বিশ্বাস। বাড়িতে বসেই গোবর ও কেঁচো ব্যবহার করে জৈব সার উৎপাদন করছেন তিনি। পরিবেশবান্ধব ও মাটির উর্বরতা বাড়ায় এই সারের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। দামেও সাশ্রয়ী হওয়ায় কৃষকেরাও আগ্রহ দেখাচ্ছেন এই সারে।
উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রামানন্দেরআঁক গ্রামের বাসিন্দা ডলি বিশ্বাস একসময় সংসারের অভাব-অনটনের মধ্যে দিন কাটাতেন। পরে কারিতাসের ‘ধরিত্রী প্রকল্প’-এর আর্থিক সহায়তায় ভার্মি কম্পোস্টের একটি প্রদর্শনী শেড তৈরি করেন। শুরু করেন কেঁচো সার উৎপাদন ও বাজারজাত।
ডলি প্রথমে তিনটি রিং ব্যবহার করে সার উৎপাদন শুরু করেন। এখন তাঁর ১৩টি রিং রয়েছে। খুচরা ও পাইকারি—দুইভাবে সার বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন তিনি। কারিতাসের সহায়তায় তাঁর মতো আরও ৪৬২ জন নারী ও পুরুষ ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন বলে জানায় প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।
ডলি বিশ্বাস বলেন, ‘সার তৈরির জন্য ১৫ দিনের পুরোনো গোবর লাগে। কেঁচো সেই গোবর খেয়ে যে মল ত্যাগ করে, তা থেকেই ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি হয়। এখন এই সার বিক্রি করে সংসার চালাতে পারছি।’
স্থানীয় কৃষক আবু মিয়া বলেন, ‘বাজারের রাসায়নিক সারের চেয়ে এই জৈব সারের দাম কম। জমির উর্বরতা বাড়ে, ফলনও ভালো হয়। তাই এখন আমরা জমিতে কেঁচো সার ব্যবহার শুরু করেছি।’
একই এলাকার কৃষক হারু মিয়া বলেন, ‘আমার সবজি বাগানে আগে অনেক রাসায়নিক সার ব্যবহার করতাম। এখন কেঁচো সার ব্যবহার করছি। খরচ কমছে, আবার ফলনও হচ্ছে ভালো।’
কারিতাসের ধরিত্রী প্রকল্পের উপজেলা ইনচার্জ এডওয়ার্ড অন্তু রায় বলেন, ‘কৃষকেরা এখন কেঁচো সার ব্যবহার করে বিষমুক্ত শাকসবজি চাষ করছেন। ভাসমান ও জৈব পদ্ধতিতে চাষ করে নিজেরাই ব্যবহার করছেন, আবার বাজারেও বিক্রি করছেন। এতে তাঁরা পরিবেশবান্ধব কাজের মাধ্যমে নিজের পরিবার ও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছেন।’
বরিশালের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. রেজাউল হাসান বলেন, ‘কেঁচো কম্পোস্ট সার ফলন ও গুণগত মান বাড়ায়। সব মৌসুমেই সব ধরনের ফসলে ব্যবহার করা যায়। এটি বীজের অঙ্কুরোদ্গমে সহায়তা করে, মাটির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং উপকারী অণুজীবের কার্যকারিতা বাড়ায়। তাই কৃষকেরাও স্বচ্ছন্দে এই সার ব্যবহার করছেন।’
ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) চলছে চরম শিক্ষক-সংকট। প্রয়োজনীয় শিক্ষকের অর্ধেকও সেখানে কর্মরত নেই। যাঁরা আছেন তাঁদের মধ্যে আবার অনেকে গেছেন শিক্ষাছুটিতে। ফলে পাঠদান, গবেষণাসহ অন্যান্য কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে বাড়ির ছাদে খেলতে গিয়ে আসিম বিন সাইফ (১৩) নামের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশু মারা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউসুফ মোহাম্মদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু স্থানীয় মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের পুত্র। দুই ভাই ও এক বোনের ম
৮ ঘণ্টা আগেযশোরে নারী-শিশুসহ একই পরিবারের তিনজনের ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে দগ্ধ তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আজ রাত সাড়ে ৮টার দিকে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালীতে এ ঘটনা ঘটে।
৮ ঘণ্টা আগেরাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে দুই নারীর ওপর হামলার ঘটনায় যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা মনির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
৮ ঘণ্টা আগে