Ajker Patrika

বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ওয়ার্ড সভাপতির হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন

বোরহানউদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ভোলার বোরহানউদ্দিনে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আনিসুর রহমান মাস্টারের বাঁ হাতের কবজি কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় কমপক্ষে আরও ৮-১০ জন আহত হয়েছেন। রোববার বিকেলে উপজেলার দেউলা ইউনিয়নের মজম বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহত আনিসুর রহমানকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি বোরহানউদ্দিনের দেউলা ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। এতে আমির হোসেন ব্যাপারীকে সভাপতি এবং জাবেদ ইকবাল সোহেলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। কমিটি গঠনের আগেই সভাপতি ও সম্পাদক পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। পরে সেই দ্বন্দ্ব সংঘর্ষে রূপ নেয়।

দেউলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ ইকবাল সোহেল জানান, ইউনিয়ন পরিষদের অপারেটর সজীব চাল বিতরণে অনিয়ম করছিলেন—এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে সভাপতির পক্ষের লোকজন তাঁদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। রোববার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের হওয়ার সময় সভাপতি আমির হোসেন ব্যাপারী ও তাঁর অনুসারীরা তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আনিসুর রহমানের বাঁ হাতের কবজি কেটে ফেলা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দেউলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমির হোসেন ব্যাপারী বলেন, ‘ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমাদের লোকজন আহত হয়েছে। আমরা হামলা করিনি।’

একই অভিযোগ করেছেন আমির ব্যাপারীর ছেলে খোকন ব্যাপারীও।

বোরহানউদ্দিন থানার ওসি ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘মারামারির ঘটনায় একজনের হাতে কোপ দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ বা জিডি করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত