মো. হোসাইন আলী কাজী, আমতলী (বরগুনা)
বরগুনার আমতলীতে আড়পাঙ্গাশিয়া নদীতে ৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণ পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি। ২০২০ সালের এপ্রিলে কাজ শুরু করে ২০২১ সালের ৩০ মার্চ কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রস্তাবিত সেতুর স্থানে দুটি গার্ডার (খুঁটি) নির্মাণ করেই কাজ ফেলে রেখেছে।
এরই মধ্যে ঠিকাদার ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৩৭ হাজার টাকা প্রাক্কলনের মধ্যে প্রায় তিন কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন। সেতুটির কাজ শেষ না হওয়ায় আমতলী থেকে তালতলী উপজেলায় সড়কপথ ব্যবহারকারী লক্ষাধিক মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে।
জানা গেছে, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার টিএনএএসআই জেডি নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটির কাজ পায়। পরে বরগুনা-১ (সদর-আমতলী-তালতলী) আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর প্রভাব খাটিয়ে সাব ঠিকাদার মো. সগির হোসেন প্রকল্পটির কাজ কিনে নেন। সগির বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য এবং জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। তিনি ২০২১ সালের এপ্রিলে কাজ শুরু করেছিলেন।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, আড়পাঙ্গাশিয়া নদীর দুই পাড়ে দুটি গার্ডার নির্মাণ করা হয়েছে। সেতু নির্মাণ বলতে শুধু এতটুকুই। গার্ডার দুটিতে ময়লা-আবর্জনা আটকে আছে।
আড়পাঙ্গাশিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. হুমায়ূন কবির হাওলাদার বলেন, ‘ঠিকাদার সেতুর কাজ না করে বছরের পর বছর ফেলে রেখেছেন। এতে দুর্ভোগে পড়েছে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। সেতুটির কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানাই।’
ছোটবগী গ্রামের মো. নজরুল বিশ্বাস বলেন, কয়েক বছর ধরেই সেতুর দুটি গার্ডার নির্মাণ করে ফেলে রাখা হয়েছে। নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে বেইলি সেতু দিয়ে চলাচল করছে। ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতু দিয়ে চলাচল করার সময় অনেক আতঙ্কে থাকতে হয়। আমরা দ্রুত সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করার দাবি জানাই।
মো. মজিবুর রহমান নামের এক বাসচালক বলেন, ‘সেতু নির্মাণ না করায় খুবই ভোগান্তির মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতু দিয়ে বাস চালানোর সময় ভয় লাগে, কখন যেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ি।’
সাব ঠিকাদার মো. সগির হোসেন বলেন, ‘সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করেছি। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।’
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, ঠিকাদার সগির হোসেনকে দ্রুত সেতু নির্মাণের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। তিনি দ্রুত কাজ শেষ না করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঠিকাদার প্রকল্পের বেশির ভাগ টাকা তুলে নিয়েছেন। টাকার বিষয়টি বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় ভালো জানে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘সেতুর মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ না হওয়ার বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত কাজ শেষ করতে নির্দেশ
দেওয়া হয়েছে।’
বরগুনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘দীর্ঘদিন আড়পাঙ্গাশিয়া নদীর গার্ডার সেতুর কাজ বন্ধ ছিল। তবে বর্তমানে ঠিকাদার আবার কাজ শুরু করেছেন। আশা করি, এবার সেতুর কাজ শেষ হবে।’
বরগুনার আমতলীতে আড়পাঙ্গাশিয়া নদীতে ৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণ পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি। ২০২০ সালের এপ্রিলে কাজ শুরু করে ২০২১ সালের ৩০ মার্চ কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রস্তাবিত সেতুর স্থানে দুটি গার্ডার (খুঁটি) নির্মাণ করেই কাজ ফেলে রেখেছে।
এরই মধ্যে ঠিকাদার ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৩৭ হাজার টাকা প্রাক্কলনের মধ্যে প্রায় তিন কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন। সেতুটির কাজ শেষ না হওয়ায় আমতলী থেকে তালতলী উপজেলায় সড়কপথ ব্যবহারকারী লক্ষাধিক মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে।
জানা গেছে, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার টিএনএএসআই জেডি নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটির কাজ পায়। পরে বরগুনা-১ (সদর-আমতলী-তালতলী) আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর প্রভাব খাটিয়ে সাব ঠিকাদার মো. সগির হোসেন প্রকল্পটির কাজ কিনে নেন। সগির বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য এবং জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। তিনি ২০২১ সালের এপ্রিলে কাজ শুরু করেছিলেন।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, আড়পাঙ্গাশিয়া নদীর দুই পাড়ে দুটি গার্ডার নির্মাণ করা হয়েছে। সেতু নির্মাণ বলতে শুধু এতটুকুই। গার্ডার দুটিতে ময়লা-আবর্জনা আটকে আছে।
আড়পাঙ্গাশিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. হুমায়ূন কবির হাওলাদার বলেন, ‘ঠিকাদার সেতুর কাজ না করে বছরের পর বছর ফেলে রেখেছেন। এতে দুর্ভোগে পড়েছে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। সেতুটির কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানাই।’
ছোটবগী গ্রামের মো. নজরুল বিশ্বাস বলেন, কয়েক বছর ধরেই সেতুর দুটি গার্ডার নির্মাণ করে ফেলে রাখা হয়েছে। নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে বেইলি সেতু দিয়ে চলাচল করছে। ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতু দিয়ে চলাচল করার সময় অনেক আতঙ্কে থাকতে হয়। আমরা দ্রুত সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করার দাবি জানাই।
মো. মজিবুর রহমান নামের এক বাসচালক বলেন, ‘সেতু নির্মাণ না করায় খুবই ভোগান্তির মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতু দিয়ে বাস চালানোর সময় ভয় লাগে, কখন যেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ি।’
সাব ঠিকাদার মো. সগির হোসেন বলেন, ‘সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করেছি। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।’
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, ঠিকাদার সগির হোসেনকে দ্রুত সেতু নির্মাণের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। তিনি দ্রুত কাজ শেষ না করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঠিকাদার প্রকল্পের বেশির ভাগ টাকা তুলে নিয়েছেন। টাকার বিষয়টি বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় ভালো জানে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘সেতুর মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ না হওয়ার বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত কাজ শেষ করতে নির্দেশ
দেওয়া হয়েছে।’
বরগুনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘দীর্ঘদিন আড়পাঙ্গাশিয়া নদীর গার্ডার সেতুর কাজ বন্ধ ছিল। তবে বর্তমানে ঠিকাদার আবার কাজ শুরু করেছেন। আশা করি, এবার সেতুর কাজ শেষ হবে।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ পরিবারের সদস্য এবং জাতীয় চার নেতার একজনের নামে থাকা সব স্থাপনার নামফলক, গ্রাফিতি ও দেয়াললিখন মুছে দিতে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বর থেকে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তাঁরা মিছিল নিয়ে চারটি আবাসিক
৩ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনার ভাষণের ঘোষণার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষার্থীদের জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে ক্যাম্পাসের মুজিব মুরালে শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি ঝুলিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে জুতা নিক্ষেপ করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেবেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নামে গড়া স্থাপনার নাম মুছে দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৪০ মিনিটে বেরোবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম মুছে ফেলে’ বিজয়-২৪’ লিখে দেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে জড়ো..
৩ ঘণ্টা আগেমাঠে-মাঠে, গ্রামে-গ্রামে শত শত সরকারি খাসপুকুর। তিন বছরের জন্য এসব পুকুর ইজারা দেয় সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন। নীতিমালা অনুযায়ী, পুকুর ইজারা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির। তাই এই পুকুর ইজারা নিতে সৃষ্টি হয়েছে ভুয়া মৎস্যজীবী সমিতি। একজনও মৎস্যজীবী নেই—এমন বেশ কিছু সমবায় সমিতি আছে রা
৩ ঘণ্টা আগে