খান রফিক, বরিশাল
বর্ষাকাল শেষ। মধ্য ভাদ্রেও কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা মেলেনি বরিশালে। জুলাই-আগস্টের সেই অঝোর ধারার বৃষ্টি আর নেই। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বরিশালে তিন বছরের মধ্যে চলতি বছরে বৃষ্টিপাত প্রায় অর্ধেক কমেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় পানির ওপরের স্তরের মাছের বিচরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাপমাত্রা বেড়ে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় সাগর মোহনা থেকে ইলিশ আসতে পারছে না। এবার ভরা মৌসুমেও বরিশালে ইলিশ কম ধরা পড়ার এটি একটি অন্যতম কারণ। এমন চলতে থাকলে ইলিশের প্রজনন ও উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বরিশাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২০ সালের জুলাই মাসে মোট বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল ৩১২ মিলিমিটার। ২০২১ সালে এ সময় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৩৭৯ মিলিমিটার। কিন্তু চলতি বছরের জুলাইয়ে বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ১৯৪ মিলিমিটার। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় অর্ধেক।
একইভাবে ২০২২ সালের মধ্য আগস্ট (১২ আগস্ট) পর্যন্ত বরিশালে বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৭৩ মিলিমিটার এবং ২০২১ সালের মধ্য আগস্ট (১২ আগস্ট) পর্যন্ত বরিশালে বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৭৮ মিলিমিটার। অপরদিকে চলতি মাসের ১২ আগস্ট পর্যন্ত মোট বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৭৫ দশমিক ১ মিলিমিটার।
এ প্রসঙ্গে বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আব্দুস কুদ্দুস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গেল বছরের তুলনায় এ বছর কম বৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় বৃষ্টিপাতের বছরওয়ারি এ পার্থক্য অনেক বেশি। এ মাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’
এদিকে গরমের কারণে নদীতে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। গরমে নদীতে বেশিক্ষণ টিকতেও পারছেন না জেলেরা। কালাবদর নদীতে মাছ ধরেন সদর উপজেলার চন্দ্রমোহনের টুমচরের জেলে রিয়াজ হোসেন ও আব্দুস সালাম। তাঁরা বলেন, এই ভরা মৌসুমেও নদীতে ইলিশ নেই। বৃষ্টি না থাকায় গরমে নদীতে বেশিক্ষণ থাকাও যায় না। শায়েস্তাবাদের কীর্তনখোলা নদীর জেলে আব্দুল জলিলও জানান, স্রোত না থাকায় মাছের দেখা মিলছে না। বরিশাল মৎস্য মোকাম পোর্ট রোডের ইলিশ ব্যবসায়ী ইয়ার উদ্দিন আজ শুক্রবার জানান, নদীতে মাছ নেই। সাগর থেকেও বোট আসছে না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় অবশ্যই এ অঞ্চলের মৎস্য সেক্টরে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বৃষ্টি না থাকায় আর তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় পানির ওপরের স্তরের মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে এই ধরনের মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। প্রজননের জন্য ইলিশ সাগর থেকে নদীতে মাইগ্রেশন করে আসার কথা, কিন্তু আসছে না। আগুনমুখা, তেঁতুলিয়া, মেঘনার সাগর মোহনায় চর পরায় ইলিশের বিচরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’
মৎস্য কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র আরও বলেন, ‘গরমের কারণে আমরা সাগরের নিচে যে লেভেলে ইলিশ আহরণ করি তারও নিচে ইলিশ চলে গেছে। যে কারণে সাগরের গভীরে প্রচুর ইলিশ থাকলেও মৌসুমে জালে ধরা পড়ছে না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান হাফিজ আশরাফুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভরা বর্ষার এই মাসগুলোতে অনেক বৃষ্টি হতো। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বৃষ্টি কমেছে। ঋতু এখন দুটো—গ্রীষ্ম ও শীত। এই বৃষ্টি সরে গিয়ে পড়ে আবার যখন হবে তখন বন্যা দেখা দেবে। এতে মৎস্য খাতে মারাত্মক প্রভাব পড়বে। চ্যানেলে পানির পরিমাণ কমে যাওয়ায় ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ নদীতে কম আসবে।’
তিনি বলেন, ‘ইলিশ সমুদ্র থেকে নদীতে প্রবেশে করতে গেলে যত দৌড়াতে পারবে তত বৃদ্ধি পাবে এবং স্বাদ বাড়বে। কিন্তু নাব্য সংকট ও বৃষ্টি না থাকায় পানির অভাবে ইলিশ নদীতে ঢুকছে না। এর ফলে ইলিশের উৎপাদন কমে যাবে। সাধু পানির ইলিশও একটা সময় হারিয়ে যাবে। ভরা এ মৌসুমেও নদীতে ইলিশের হাহাকারই এমনটা প্রমাণ করে।’
এ অঞ্চলের সাগর নদীর মোহনা বিশেষ করে মেঘনা, তেঁতুলিয়া, আন্ধারমানিক, বিষখালী নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানান মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক মো. আনিছুর রহমান তালুকদার। তিনি বলেন, ‘পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এতে ইলিশ বিচরণ করতে পারছে না। গত বিভাগীয় সভাও এ সমস্যা উত্থাপন করেছি।’ উপপরিচালক আনিছুর বলেন, ‘বৃষ্টি হলে ইলিশ বাড়ত। ইলিশের চলাচলে মেঘলা আকাশ, স্রোত, আকাশের গর্জন দরকার। এটা কম হলে মাছের প্রজননেও প্রভাব পড়ে।’
বর্ষাকাল শেষ। মধ্য ভাদ্রেও কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা মেলেনি বরিশালে। জুলাই-আগস্টের সেই অঝোর ধারার বৃষ্টি আর নেই। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বরিশালে তিন বছরের মধ্যে চলতি বছরে বৃষ্টিপাত প্রায় অর্ধেক কমেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় পানির ওপরের স্তরের মাছের বিচরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাপমাত্রা বেড়ে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় সাগর মোহনা থেকে ইলিশ আসতে পারছে না। এবার ভরা মৌসুমেও বরিশালে ইলিশ কম ধরা পড়ার এটি একটি অন্যতম কারণ। এমন চলতে থাকলে ইলিশের প্রজনন ও উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বরিশাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২০ সালের জুলাই মাসে মোট বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল ৩১২ মিলিমিটার। ২০২১ সালে এ সময় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৩৭৯ মিলিমিটার। কিন্তু চলতি বছরের জুলাইয়ে বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ১৯৪ মিলিমিটার। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় অর্ধেক।
একইভাবে ২০২২ সালের মধ্য আগস্ট (১২ আগস্ট) পর্যন্ত বরিশালে বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৭৩ মিলিমিটার এবং ২০২১ সালের মধ্য আগস্ট (১২ আগস্ট) পর্যন্ত বরিশালে বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৭৮ মিলিমিটার। অপরদিকে চলতি মাসের ১২ আগস্ট পর্যন্ত মোট বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৭৫ দশমিক ১ মিলিমিটার।
এ প্রসঙ্গে বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আব্দুস কুদ্দুস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গেল বছরের তুলনায় এ বছর কম বৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় বৃষ্টিপাতের বছরওয়ারি এ পার্থক্য অনেক বেশি। এ মাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’
এদিকে গরমের কারণে নদীতে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। গরমে নদীতে বেশিক্ষণ টিকতেও পারছেন না জেলেরা। কালাবদর নদীতে মাছ ধরেন সদর উপজেলার চন্দ্রমোহনের টুমচরের জেলে রিয়াজ হোসেন ও আব্দুস সালাম। তাঁরা বলেন, এই ভরা মৌসুমেও নদীতে ইলিশ নেই। বৃষ্টি না থাকায় গরমে নদীতে বেশিক্ষণ থাকাও যায় না। শায়েস্তাবাদের কীর্তনখোলা নদীর জেলে আব্দুল জলিলও জানান, স্রোত না থাকায় মাছের দেখা মিলছে না। বরিশাল মৎস্য মোকাম পোর্ট রোডের ইলিশ ব্যবসায়ী ইয়ার উদ্দিন আজ শুক্রবার জানান, নদীতে মাছ নেই। সাগর থেকেও বোট আসছে না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় অবশ্যই এ অঞ্চলের মৎস্য সেক্টরে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বৃষ্টি না থাকায় আর তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় পানির ওপরের স্তরের মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে এই ধরনের মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। প্রজননের জন্য ইলিশ সাগর থেকে নদীতে মাইগ্রেশন করে আসার কথা, কিন্তু আসছে না। আগুনমুখা, তেঁতুলিয়া, মেঘনার সাগর মোহনায় চর পরায় ইলিশের বিচরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’
মৎস্য কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র আরও বলেন, ‘গরমের কারণে আমরা সাগরের নিচে যে লেভেলে ইলিশ আহরণ করি তারও নিচে ইলিশ চলে গেছে। যে কারণে সাগরের গভীরে প্রচুর ইলিশ থাকলেও মৌসুমে জালে ধরা পড়ছে না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান হাফিজ আশরাফুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভরা বর্ষার এই মাসগুলোতে অনেক বৃষ্টি হতো। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বৃষ্টি কমেছে। ঋতু এখন দুটো—গ্রীষ্ম ও শীত। এই বৃষ্টি সরে গিয়ে পড়ে আবার যখন হবে তখন বন্যা দেখা দেবে। এতে মৎস্য খাতে মারাত্মক প্রভাব পড়বে। চ্যানেলে পানির পরিমাণ কমে যাওয়ায় ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ নদীতে কম আসবে।’
তিনি বলেন, ‘ইলিশ সমুদ্র থেকে নদীতে প্রবেশে করতে গেলে যত দৌড়াতে পারবে তত বৃদ্ধি পাবে এবং স্বাদ বাড়বে। কিন্তু নাব্য সংকট ও বৃষ্টি না থাকায় পানির অভাবে ইলিশ নদীতে ঢুকছে না। এর ফলে ইলিশের উৎপাদন কমে যাবে। সাধু পানির ইলিশও একটা সময় হারিয়ে যাবে। ভরা এ মৌসুমেও নদীতে ইলিশের হাহাকারই এমনটা প্রমাণ করে।’
এ অঞ্চলের সাগর নদীর মোহনা বিশেষ করে মেঘনা, তেঁতুলিয়া, আন্ধারমানিক, বিষখালী নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানান মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক মো. আনিছুর রহমান তালুকদার। তিনি বলেন, ‘পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এতে ইলিশ বিচরণ করতে পারছে না। গত বিভাগীয় সভাও এ সমস্যা উত্থাপন করেছি।’ উপপরিচালক আনিছুর বলেন, ‘বৃষ্টি হলে ইলিশ বাড়ত। ইলিশের চলাচলে মেঘলা আকাশ, স্রোত, আকাশের গর্জন দরকার। এটা কম হলে মাছের প্রজননেও প্রভাব পড়ে।’
পতিত আওয়ামী সরকারের আমলে সিলেটের বহুল আলোচিত প্রভাবশালী পরিবহন শ্রমিকনেতা সেলিম আহমদ ফলিক ও রুনু মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার সকালে বিস্ফোরক ও ভাঙচুরের মামলায় জামিন নিতে গেলে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১-এর বিচারক শরীফুল হক আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১ মিনিট আগেনাসির উদ্দিন বলেন, ‘আজ কাজী আমজাদ সাইদ (২০) ও সবুজা বেগম (৪০) নামের দুজনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আমজাদ ঘটনার সময় উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হয়েছিলেন। আর সবুজা বেগম স্কুলে আয়ার কাজ করতেন। গতকাল আয়ান খান (১২) ও রাফসি (১২) নামের দুই শিক্ষার্থীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল।’
২১ মিনিট আগেসিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে পিয়াইন নদ থেকে মুকিত আহমদ (১৮) নাম এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার (২৭ জুলাই) সকালে জাফলংয়ের বল্লাঘাট এলাকা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার মো. তোফায়েল আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করে।
২৮ মিনিট আগেসান্তাহার রেলওয়ে থানার পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ রোববার বেলা দেড়টার দিকে লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তনগর লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি সান্তাহার জংশন স্টেশনে প্রবেশ করছিল। সেই মুহূর্তে মোটরসাইকেল আরোহী নাসিম মাহমুদ জয় রেলক্রসিং দিয়ে দ্রুত পার হতে গেলে ওই ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে
২৯ মিনিট আগে