পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যাওয়া পাঁচটি ট্রলারে গণডাকাতি করা হয়েছে। জলদস্যুদের হামলায় অর্ধশত জেলে আহত ও পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের কাছ থেকে মাছ ও রসদসহ দুই কোটি টাকার মালপত্র লুট করে নেওয়া গেছে।
ডাকাতেরা ট্রলারগুলোর ইঞ্জিন বিকল করে দেওয়ায় ভুক্তভোগী ৬৮ জেলেকে উদ্ধার করে ২৫ ঘণ্টা পর আজ বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপকূলে আনা হয়। তাঁদের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটায়। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাথরঘাটা থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে বঙ্গোপসাগরের বড় বাইজদা এলাকায় এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে জলদস্যু বাহিনীর নাম জানা যায়নি।
ডাকাতি হওয়া ট্রলারগুলো হলো এফবি তারেক-২, এফবি তুফান-২, এফবি মা, এফবি আব্দুল্লাহ ও এফবি জুনায়েদ। এফবি আব্দুল্লাহ ট্রলারের মাঝি রফিক গাজী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুধবার বিকেলে বঙ্গোপসাগরে জাল পেতে মাছ ধরার জন্য অপেক্ষা করি। এর কিছুক্ষণ পর হঠাৎ সশস্ত্র হামলা চালায় জলদস্যু বাহিনী। এ সময় আমরা বাধা দিলে ট্রলারে উঠে বেদম মারধর করে মাছসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় ইঞ্জিন বিকল করে দেয়। তারা ডাকাতি করে চলে যাওয়ার সময় জেলেরা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করলে দূর থেকে গুলি ছোড়ে। এতে ট্রলারের অন্তত পাঁচ জেলে গুলিবিদ্ধ হন।’
এফবি জুনায়েদ ট্রলারের বাবুর্চি মিলন বয়াতি বলেন, ‘কিছু বুঝে ওঠার আগেই ডাকাতেরা আমাদের ট্রলারে উঠে আমাকে মারধর করে। এ সময় মাঝিকে দেখিয়ে দিতে বলে। আমাদের জেলেরা মাঝিকে দেখিয়ে না দেওয়ায় বেদম মারধর করে সব মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। ডাকাতদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্রও দেখা গেছে। তারা প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন ছিল।’
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, ডাকাতেরা ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল করে দেওয়ার পাশাপাশি ওয়্যারলেস নিয়ে যায়। পরে ডাকাতির শিকার জেলেরা ভ্যাসেল জাহাজের মাধ্যমে উপকূলে সংবাদ পাঠান। ঘটনা শোনার পর তাৎক্ষণিক পুলিশ এবং কোস্ট গার্ডকে জানানো হয়। এ ছাড়া মালিক সমিতির দুটি ট্রলার পাঠিয়ে জেলেদের উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘ট্রলারমালিকদের পক্ষ থেকে আমরা ডাকাতির খবর জানতে পেরে প্রশাসনিকভাবে কাজ শুরু করেছি।’
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান খান বলেন, ‘মালিক সমিতির মাধ্যমে বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গোপসাগরে ডাকাতির খবর জানতে পারি। এরপর কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও ট্রলার মালিক সমিতির সহযোগিতায় আমরা ৬৮ জেলেকে উদ্ধার করে রাত ৮টার দিকে পাথরঘাটা ঘাটে নিয়ে আসি। সেখান থেকে আহত জেলেদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করাই।’
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মাহবুব হোসেন জানান, আহত জেলেদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা ঝুঁকিমুক্ত।
বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যাওয়া পাঁচটি ট্রলারে গণডাকাতি করা হয়েছে। জলদস্যুদের হামলায় অর্ধশত জেলে আহত ও পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের কাছ থেকে মাছ ও রসদসহ দুই কোটি টাকার মালপত্র লুট করে নেওয়া গেছে।
ডাকাতেরা ট্রলারগুলোর ইঞ্জিন বিকল করে দেওয়ায় ভুক্তভোগী ৬৮ জেলেকে উদ্ধার করে ২৫ ঘণ্টা পর আজ বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপকূলে আনা হয়। তাঁদের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটায়। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাথরঘাটা থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে বঙ্গোপসাগরের বড় বাইজদা এলাকায় এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে জলদস্যু বাহিনীর নাম জানা যায়নি।
ডাকাতি হওয়া ট্রলারগুলো হলো এফবি তারেক-২, এফবি তুফান-২, এফবি মা, এফবি আব্দুল্লাহ ও এফবি জুনায়েদ। এফবি আব্দুল্লাহ ট্রলারের মাঝি রফিক গাজী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুধবার বিকেলে বঙ্গোপসাগরে জাল পেতে মাছ ধরার জন্য অপেক্ষা করি। এর কিছুক্ষণ পর হঠাৎ সশস্ত্র হামলা চালায় জলদস্যু বাহিনী। এ সময় আমরা বাধা দিলে ট্রলারে উঠে বেদম মারধর করে মাছসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় ইঞ্জিন বিকল করে দেয়। তারা ডাকাতি করে চলে যাওয়ার সময় জেলেরা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করলে দূর থেকে গুলি ছোড়ে। এতে ট্রলারের অন্তত পাঁচ জেলে গুলিবিদ্ধ হন।’
এফবি জুনায়েদ ট্রলারের বাবুর্চি মিলন বয়াতি বলেন, ‘কিছু বুঝে ওঠার আগেই ডাকাতেরা আমাদের ট্রলারে উঠে আমাকে মারধর করে। এ সময় মাঝিকে দেখিয়ে দিতে বলে। আমাদের জেলেরা মাঝিকে দেখিয়ে না দেওয়ায় বেদম মারধর করে সব মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। ডাকাতদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্রও দেখা গেছে। তারা প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন ছিল।’
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, ডাকাতেরা ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল করে দেওয়ার পাশাপাশি ওয়্যারলেস নিয়ে যায়। পরে ডাকাতির শিকার জেলেরা ভ্যাসেল জাহাজের মাধ্যমে উপকূলে সংবাদ পাঠান। ঘটনা শোনার পর তাৎক্ষণিক পুলিশ এবং কোস্ট গার্ডকে জানানো হয়। এ ছাড়া মালিক সমিতির দুটি ট্রলার পাঠিয়ে জেলেদের উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘ট্রলারমালিকদের পক্ষ থেকে আমরা ডাকাতির খবর জানতে পেরে প্রশাসনিকভাবে কাজ শুরু করেছি।’
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান খান বলেন, ‘মালিক সমিতির মাধ্যমে বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গোপসাগরে ডাকাতির খবর জানতে পারি। এরপর কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও ট্রলার মালিক সমিতির সহযোগিতায় আমরা ৬৮ জেলেকে উদ্ধার করে রাত ৮টার দিকে পাথরঘাটা ঘাটে নিয়ে আসি। সেখান থেকে আহত জেলেদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করাই।’
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মাহবুব হোসেন জানান, আহত জেলেদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা ঝুঁকিমুক্ত।
রাজধানীর উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের দুর্ঘটনায় প্রায় ২৫ জনকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরের দিকে একে একে তাদেরকে এখানে আনা হয়।
১৭ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরায় দিয়াবাড়ীতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়েছে। বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় অন্তত একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস। উদ্ধারকাজ চলছে।
১ ঘণ্টা আগেপিরোজপুরের নেছারাবাদে স্বরূপকাঠি-বরিশাল মহাসড়কের কুনিয়ারি সড়কে একটি দ্রুত গতির বৌগাড়ীর ধাক্কায় মো. আব্দুল মান্নান হাওলাদার (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে কুনিয়ারি গ্রামের নিজ বাড়ীর সামনে তিনি নিহত হন। নিহত মান্নান হাওলাদার ওই গ্রামের মৃত আসমান আলী হাওলাদারের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরায় দিয়াবাড়ীতে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, আজ সোমবার দুপুরে বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজেআই প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে