Ajker Patrika

সিটি করপোরেশন নির্বাচন: বরিশালে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
সিটি করপোরেশন নির্বাচন: বরিশালে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

বরিশাল মহানগর পুলিশ শনিবার রাত ১২টার মধ্যে বহিরাগতদের নগরী ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচার শেষ হয় রাত ১২টায়। এরপর শুধু ভোটের অপেক্ষা। সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে তৎপর হয়ে উঠেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শনিবার থেকেই নগরে মোতায়েন করা হয়েছে ১০ প্লাটুন বিজিবি। 

আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশনের ভোটকে সামনে রেখে নগরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক টহল দিতেও দেখা যাচ্ছে। 

নির্বাচন কমিশন ১০ থেকে ১৩ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত নগরীতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া ভোটের আগের দিন অর্থাৎ ১১ জুন মধ্যরাত থেকে ১২ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত সিটি করপোরেশন এলাকায় ট্রাক, বাস, মিনিবাস, জিপ, মাইক্রোবাস, পিকআপ, কার ও ইজিবাইক চলাচল করতে পারবে না। তবে ভোটারদের ব্যবহারের জন্য ক্ষুদ্র নৌযান চলতে পারবে। 

নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিজিবি সদস্যরা। ভোট গ্রহণের আগের দিন থেকে পরের দিন পর্যন্ত তাঁরা নগরীতে দায়িত্ব পালন করবেন। 

বরিশালের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রুম্পা সিকদার বলেন, ‘বিজিবির প্রতিটি প্লাটুনের সঙ্গে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।’ 

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার মোট ১২৬টি ভোট কেন্দ্র থাকছে। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ১০৬ টি। 

বরিশাল সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং অফিসার হুমায়ুন কবির বলেন, ‘সাধারণ কেন্দ্রগুলোয় ২০ থেকে ২২ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। তবে ঝুঁকিপূর্ণ ও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তায় আরও ৪-৫ জন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য বেশি থাকবেন। পাশাপাশি সব কেন্দ্রেই জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। নগরীতে ১ হাজার ৫০০ ইভিএম মেশিন আনা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে বসানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা।’ 

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগে থেকে নগরীর বহিরাগতদের চলে যেতে হবে। প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করা হবে। এখানে যারা বহিরাগত আছেন তাঁরা রাত ১২টা পর্যন্ত থাকতে পারবেন। রোববার থেকে নগরীতে আমরা কোনো বহিরাগত দেখতে চাই না।’ 

বিএমপি কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনে ১২৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০৬টি কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত হয়েছে। প্রার্থীদের অভিযোগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ বাহিনীর ১৪ জন এবং ১০ জন আনসারসহ মোট ২০ জন দায়িত্ব পালন করবেন। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোয় আরও সর্বোচ্চ ৪ জন পুলিশ সদস্য দেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত