Ajker Patrika

ভোলায় জোড়া খুনের মামলায় ৩ আসামির মৃত্যুদণ্ড, দুজনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা

ভোলা প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় আলোচিত জোড়া খুনের মামলায় তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া দুজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আজ বুধবার চরফ্যাশন চৌকি আদালতের বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শওকত হোসাইন এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জাফর উল্লাহ ফরাজীর ছেলে মো. বেলাল (৩৭), দক্ষিণ আইচা থানার দক্ষিণ চরমানিকার ইউনিয়নের মো. সামসুদ্দিন বয়াতির ছেলে মো. সালাউদ্দিন (৩০) ও শাহ আলম মুন্সির ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩১)।

এ ছাড়া মামলার অপর দুই আসামি মো. আবুল কাসেমকে পাঁচ মাসের কারাদণ্ড ও মো. আবু মাঝিকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল জমি বিক্রির টাকা হাতিয়ে নিতে দুলাল চন্দ্রশীল ও তাঁর ভাই তপন চন্দ্র শীলকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরে মাথা বিচ্ছিন্ন করে আসলামপুর ইউনিয়নের একটি পরিত্যক্ত বাগানে পেট্রল দিয়ে মরদেহ পুড়িয়ে গুমের চেষ্টা করেন আসামিরা। ঘটনার এক দিন পর পুলিশ ওই ইউনিয়নের সুন্দরীর খালসংলগ্ন বাগান থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পোড়া ও বিকৃত লাশ দুটি উদ্ধার করে।

পুলিশ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্ত করে। এরপর নিহত ব্যক্তিদের ছোট ভাই নিপেন চন্দ্র ৯ এপ্রিল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে চরফ্যাশন থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশের তদন্তে জোড়া খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মো. শরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কারণ ও জড়িত ব্যক্তিদের তথ্য উদ্‌ঘাটন হয়। শরিফুলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই গ্রামের মহিবুল্লার বাড়ির শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে দুই ভাইয়ের মাথার খুলি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ছাড়া ঘটনাস্থলসংলগ্ন সুন্দরী খাল থেকে খুনের কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র ও বাগান থেকে আলামত জব্দ করা হয়।

মামলার বাদী নিপেন চন্দ্র মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই রায় চরফ্যাশনের জন্য একটি বিরল দৃষ্টান্ত। রায়ে আমরা খুশি। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতের রায়ের আদেশ কার্যকর করার দাবি জানাই।’

চরফ্যাশন চৌকি আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি হযরত আলী হিরন বলেন, চরফ্যাশন আদালতে এই প্রথম একটি হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে তিনজন কারাগারে রয়েছেন। বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি অভিযোগ গঠনের আগে থেকে পলাতক। তাঁদের অনুপস্থিতিতে এই রায় দেওয়া হয়। এই রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত