Ajker Patrika

শান্তি সমাবেশে এমপির সামনে মেয়রকে পেটালেন আ. লীগ সভাপতি

পটুয়াখালী ও কলাপাড়া প্রতিনিধি
শান্তি সমাবেশে এমপির সামনে মেয়রকে পেটালেন আ. লীগ সভাপতি

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় আওয়ামী লীগের শান্তি উন্নয়ন সমাবেশের প্রধান অতিথির সামনে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এতে পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদারসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। 

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে কুয়াকাটা হোটেল পর্যটন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনার জন্য সমাবেশের সভাপতি ও সাবেক মেয়র বারেক মোল্লাকে দায়ী করেছেন ভুক্তভোগীরা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল বারেক মোল্লা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাদের দলের মধ্যে কোনো কোন্দল নেই।’ 

আহতদের কুয়াকাটা ৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন মোহাম্মদ আলী, মো. আলামীন, মো. আলামীন (২), মো. বেল্লাল হোসেন, মো. আবুবকর, মো. মেহেদী, মো. আবুকর (২), মো. হানিফ প্রমুখ। 

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য মো. মহিব্বুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শান্তি সমাবেশ শুরুর আগে আনোয়ার ও বারেক মোল্লার নির্বাচন সংক্রান্ত কোন্দল নিয়ে ঝামেলা হয়। তবে দলের সঙ্গে এ ঘটনার কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং পরবর্তীতে আমরা শান্তি সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে করেছি।’ 

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীরা জানান, আজ বিএনপি–জামায়াত জোটের নৈরাজ্য ও আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শান্তি উন্নয়ন সমাবেশের আয়োজন করে কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগ। পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লার সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন পটুয়াখালী–৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. মহিব্বুর রহমান। 

সন্ধ্যার দিকে কুয়াকাটা হোটেল পর্যটনের সামনে শান্তি সমাবেশে পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হোসেন হাওলাদার তার অনুসারীদের নিয়ে অংশ নেন। সমাবেশে তাকে দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে এমপির সামনে মারধর শুরু করেন সাবেক মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লা ও তার অনুসারীরা। পরে ওখান থেকে সরে আনোয়ার হাওলাদার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে আসলে দ্বিতীয় দফায় আবার তাকে মারধর করেন। পরবর্তীতে তৃতীয় দফায় ওই স্থানে পুলিশের উপস্থিতিতে তাকে মারধর করা হয়। 

তারা আরও জানান, ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর কুয়াকাটা পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বারেক মোল্লাকে হারিয়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হন আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। এর পর থেকেই দু’জনের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। 

এ বিষয়ে আহত পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ করি বিধায় আজ এমপি মহোদয়ের সামনে বসেই বারেক মোল্লা ও তার লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে।’ 

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস মিয়া বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোরপূর্বক অপুর স্বীকারোক্তি নিয়েছেন বিএনপির ইশরাক, এনসিপির ব্যবস্থা করা সংবাদ সম্মেলনে দাবি স্ত্রীর

‘মিরপুরের উইকেটের পাশে পুঁইশাক বের হচ্ছে, এত বছর হয়নি কেন’

ভোররাতে হাঁসের মাংস খেতে ৩০০ ফুটে যান আসিফ মাহমুদ, না পেয়ে যান ওয়েস্টিনে

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ভুলভাবে কথা বলেছেন: প্রেস সচিব

নীলা মার্কেটের হাঁসের মাংস নাকি ওয়েস্টিনের—কোনটি সেরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত