বরগুনা প্রতিনিধি
বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ডাকাতের কবলে পড়া ট্রলারটি উদ্ধার হলেও ট্রলারে থাকা বাকি ৯ জেলে এখনো নিখোঁজ। গত শুক্রবার ডাকাতের কবলে পড়া ট্রলারটি থেকে গতকাল শনিবার ৯ জেলেকে উদ্ধার করা হয়।
আজ রোববার দুপুরে জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, গতকাল রাত আটটার দিকে মো. মিরাজ হোসেন, আফজাল হোসেন, আলমগীর হোসেন, মো. রায়হান, আবদুল করিম, খোকন মিয়া, নুর মোহাম্মদ, মধু মিয়া ও আব্দুল হক নামের এই ৯ জন জেলেসহ বিকল ট্রলারটি উদ্ধার করে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে।
এঁদের মধ্যে আবদুল হক ও মো. মধু মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা চলছে।
ট্রলারে থাকা বাকি জেলেরা হলেন কাইউম জোমাদ্দার (মাঝি), ইয়াছিন জোমাদ্দার, আবুল কালাম, শফিকুল ইসলাম (সহকারী মাঝি), খাইরুল ইসলাম, আবদুল আলীম, ফরিদ, আবদুল হাইসহ অজ্ঞাতনামা আরও একজন। এসব জেলের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা, তালতলী ও আমতলী এলাকায়।
এই ৯ জেলের ভাগ্যে কী ঘটেছে, নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না বলে জানান গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, ‘ফিরে আসা জেলেদের কাছে শুনেছি, ডাকাত দল ট্রলারে উঠেই এলোপাতাড়ি মারধর ও কোপানো শুরু করে। একপর্যায়ে আহতাবস্থায় ট্রলারের খোন্দলে (বরফ ও মাছ রাখার জায়গায়) ৯ জন জেলেকে ঢুকিয়ে ট্রলারের মালামাল লুট করে চলে যায়। বাকি ৯ জন জেলেকে জিম্মি করেছে, নাকি ওরা সাগরে ঝাঁপ দিয়েছে। আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তবে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছি।’
আহতদের মধ্যে এক জেলে আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের খোন্দলে ঢুকিয়ে ঢাকনা দিয়ে রাখা হয়। উপরে কী ঘটেছে আমরা কিছু দেখতে পারিনি। তবে কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শুনেছি। পরে ওরা ট্রলার স্টার্ট দিয়ে যাওয়ার শব্দ শুনে আমরা ঢাকনা খুলে বের হয়ে এসে অন্য ৯ জন জেলেকে খুঁজে পাইনি। আমাদের ধারণা, ওরা দু-একজনকে গুলি করেছে। গুলির ভয়ে বাকিরা সাগরে ঝাঁপ দিয়েছে। আবার এমনও হতে পারে, ওরা গুলির ভয় দেখিয়ে ওই ৯ জনকে মুক্তিপণের দাবিতে জিম্মি করে নিয়েছে।’
ট্রলারটির মালিক বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের চরকগাছিয়া গ্রামের মনির হোসেন। মনির জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এফবি ভাই ভাই নামের তাঁর মালিকানাধীন ওই ট্রলারটি ১৮ জেলে পাথরঘাটা থেকে বঙ্গোপসাগরে যাত্রা শুরু করেন। রাত আড়াইটার দিকে পায়রা বন্দর বয়া এলাকায় ডাকাতের হামলার শিকার হয়। এ সময় জেলেদের কুপিয়ে জখম করে প্রায় ৫ লাখ টাকার রসদসামগ্রী লুটে নিয়ে যায় দস্যুরা। এখনো ৯ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। বাকি ৯ জেলে গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন। মনির বলেন, নিখোঁজ জেলেদের স্বজনেরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। নিয়মিত তাঁকে মোবাইল ফোনে কল করে কান্নাকাটি করছেন। তিনি ওই জেলেদের সন্ধানে সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছেন।
দক্ষিণ জোন কোস্ট গার্ডের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট এম হাসান মেহেদী আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাথরঘাটা স্টেশন কোস্ট গার্ড, জেলা মালিক সমিতির দুটি ট্রলার ও কোস্ট গার্ডের একটি দ্রুতগামী যান, রাঙ্গাবালী ও চর মানিকা কোস্ট গার্ড স্টেশন থেকে দুটি ট্রলার এবং আন্ধারমানিক থেকে কোস্ট গার্ডের উদ্ধার জাহাজ তেঁতুলিয়া সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ অপারেশনে অংশ নিয়েছে।
পুলিশ সুপার আব্দুস সালাম বলেন, বঙ্গোপসাগরে বরগুনা জেলার এফবি ভাই ভাই ট্রলারে সশস্ত্র ডাকাতির ঘটনায় নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে নৌ পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
র্যাব-৮ কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর আবার বঙ্গোপসাগরে বিচ্ছিন্নভাবে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ফিরে আসা জেলেদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে বঙ্গোপসাগরে অভিযান চলছে। ডাকাত দলটি আটকে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় উপকূলীয় এলাকায় জেলেরা আতঙ্কিত না হয়ে নির্বিঘ্নে মাছ শিকারে যেতে পারেন। এ ছাড়া নিখোঁজ জেলেদের খোঁজে র্যাবের একটি চৌকস দল গতকাল থেকেই কাজ শুরু করেছে। সন্ধান পেলে অবশ্যই জানানো হবে।’
বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ডাকাতের কবলে পড়া ট্রলারটি উদ্ধার হলেও ট্রলারে থাকা বাকি ৯ জেলে এখনো নিখোঁজ। গত শুক্রবার ডাকাতের কবলে পড়া ট্রলারটি থেকে গতকাল শনিবার ৯ জেলেকে উদ্ধার করা হয়।
আজ রোববার দুপুরে জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, গতকাল রাত আটটার দিকে মো. মিরাজ হোসেন, আফজাল হোসেন, আলমগীর হোসেন, মো. রায়হান, আবদুল করিম, খোকন মিয়া, নুর মোহাম্মদ, মধু মিয়া ও আব্দুল হক নামের এই ৯ জন জেলেসহ বিকল ট্রলারটি উদ্ধার করে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে।
এঁদের মধ্যে আবদুল হক ও মো. মধু মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা চলছে।
ট্রলারে থাকা বাকি জেলেরা হলেন কাইউম জোমাদ্দার (মাঝি), ইয়াছিন জোমাদ্দার, আবুল কালাম, শফিকুল ইসলাম (সহকারী মাঝি), খাইরুল ইসলাম, আবদুল আলীম, ফরিদ, আবদুল হাইসহ অজ্ঞাতনামা আরও একজন। এসব জেলের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা, তালতলী ও আমতলী এলাকায়।
এই ৯ জেলের ভাগ্যে কী ঘটেছে, নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না বলে জানান গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, ‘ফিরে আসা জেলেদের কাছে শুনেছি, ডাকাত দল ট্রলারে উঠেই এলোপাতাড়ি মারধর ও কোপানো শুরু করে। একপর্যায়ে আহতাবস্থায় ট্রলারের খোন্দলে (বরফ ও মাছ রাখার জায়গায়) ৯ জন জেলেকে ঢুকিয়ে ট্রলারের মালামাল লুট করে চলে যায়। বাকি ৯ জন জেলেকে জিম্মি করেছে, নাকি ওরা সাগরে ঝাঁপ দিয়েছে। আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তবে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছি।’
আহতদের মধ্যে এক জেলে আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের খোন্দলে ঢুকিয়ে ঢাকনা দিয়ে রাখা হয়। উপরে কী ঘটেছে আমরা কিছু দেখতে পারিনি। তবে কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শুনেছি। পরে ওরা ট্রলার স্টার্ট দিয়ে যাওয়ার শব্দ শুনে আমরা ঢাকনা খুলে বের হয়ে এসে অন্য ৯ জন জেলেকে খুঁজে পাইনি। আমাদের ধারণা, ওরা দু-একজনকে গুলি করেছে। গুলির ভয়ে বাকিরা সাগরে ঝাঁপ দিয়েছে। আবার এমনও হতে পারে, ওরা গুলির ভয় দেখিয়ে ওই ৯ জনকে মুক্তিপণের দাবিতে জিম্মি করে নিয়েছে।’
ট্রলারটির মালিক বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের চরকগাছিয়া গ্রামের মনির হোসেন। মনির জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এফবি ভাই ভাই নামের তাঁর মালিকানাধীন ওই ট্রলারটি ১৮ জেলে পাথরঘাটা থেকে বঙ্গোপসাগরে যাত্রা শুরু করেন। রাত আড়াইটার দিকে পায়রা বন্দর বয়া এলাকায় ডাকাতের হামলার শিকার হয়। এ সময় জেলেদের কুপিয়ে জখম করে প্রায় ৫ লাখ টাকার রসদসামগ্রী লুটে নিয়ে যায় দস্যুরা। এখনো ৯ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। বাকি ৯ জেলে গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন। মনির বলেন, নিখোঁজ জেলেদের স্বজনেরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। নিয়মিত তাঁকে মোবাইল ফোনে কল করে কান্নাকাটি করছেন। তিনি ওই জেলেদের সন্ধানে সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছেন।
দক্ষিণ জোন কোস্ট গার্ডের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট এম হাসান মেহেদী আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাথরঘাটা স্টেশন কোস্ট গার্ড, জেলা মালিক সমিতির দুটি ট্রলার ও কোস্ট গার্ডের একটি দ্রুতগামী যান, রাঙ্গাবালী ও চর মানিকা কোস্ট গার্ড স্টেশন থেকে দুটি ট্রলার এবং আন্ধারমানিক থেকে কোস্ট গার্ডের উদ্ধার জাহাজ তেঁতুলিয়া সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ অপারেশনে অংশ নিয়েছে।
পুলিশ সুপার আব্দুস সালাম বলেন, বঙ্গোপসাগরে বরগুনা জেলার এফবি ভাই ভাই ট্রলারে সশস্ত্র ডাকাতির ঘটনায় নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে নৌ পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
র্যাব-৮ কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর আবার বঙ্গোপসাগরে বিচ্ছিন্নভাবে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ফিরে আসা জেলেদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে বঙ্গোপসাগরে অভিযান চলছে। ডাকাত দলটি আটকে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় উপকূলীয় এলাকায় জেলেরা আতঙ্কিত না হয়ে নির্বিঘ্নে মাছ শিকারে যেতে পারেন। এ ছাড়া নিখোঁজ জেলেদের খোঁজে র্যাবের একটি চৌকস দল গতকাল থেকেই কাজ শুরু করেছে। সন্ধান পেলে অবশ্যই জানানো হবে।’
‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ’ (দ্বিতীয় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে হরিহর নদ পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথ উল্লম্ব-অনুভূমিক জায়গা না রেখে হরিহর নদের ওপর যশোর সদর উপজেলার গোয়ালদাহ বাজারে আরেকটি অপরিকল্পিত সেতু নির্মাণ করছে স্
৪২ মিনিট আগেগাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মজুত থাকা সরকারি বিপুল ওষুধ নষ্ট হয়ে গেছে। সময়মতো রোগীদের মাঝে বিতরণ না করায় ওষুধগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে সরকারি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে; একই সঙ্গে সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে হাজারো রোগী।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) আওতায় ‘নিরাপদ পথচারী পারাপারে পাইলট প্রকল্প’ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সহযোগিতায় পাইলট প্রকল্পটি রোববার (২০ এপ্রিল ২০২৫) থেকে শুরু হয়ে ৮ মে পর্যন্ত চলবে।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন কারওয়ান বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আলাল উদ্দিন হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত মূল দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির তেজগাঁও থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. শামীম হোসেন (২৮) ও মো. ইয়াসিন আরাফাত ওরফে মুরগি ইয়াসিন (২১)।
২ ঘণ্টা আগে