Ajker Patrika

চোরাই মোটরসাইকেল ফেরত দিয়ে টাকা চাওয়ায় বন্ধুকে লাঠিপেটা

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০: ৪৩
চোরাই মোটরসাইকেল ফেরত দিয়ে টাকা চাওয়ায় বন্ধুকে লাঠিপেটা

পিরোজপুরের নেছারাবাদে বন্ধু আল-আমিন (৪২) সিকদারের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল কেনেন মো. সোহাগ মিয়া (৩৮)। কিন্তু মোটরসাইকেলটি চোরাই বুঝতে পেরে ফেরত দিয়ে সোহাগ টাকা ফেরত চান। টাকা ফেরত চাওয়ায় আল-আমিন লাঠি দিয়ে সোহাগ মিয়াকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

আজ শুক্রবার সন্ধ্যার পরে উপজেলার স্বরূপকাঠি পৌরশহরের ঘনমান এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। আহতকে উদ্ধার করে নেছারাবাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত আল-আমিন সিকদার। 

আহত সোহাগ মিয়া অভিযোগ করেন, তিনি কয়েক বছর পূর্বে এলাকার আল-আমিন সিকদার নামে এক যুবকের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল কিনেছিলেন। সোহাগ মিয়া সেই মোটরসাইকেলের কাগজ চাইলে আল-আমিন তাঁকে আজকাল বলে গাড়ির কাগজ দিচ্ছিলেন না। পরে সোহাগ জানতে পারেন মোটরসাইকেলটি চোরাই মাল। একসময় সোহাগ আল-আমিনকে মোটরসাইকেল ফেরত দিয়ে দিলেও আল-আমিন তাকে গাড়ির টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না। 

শুক্রবার সোহাগ মিয়া আল-আমিনের কাছে টাকা চাইতে গেলে উভয়ের মধ্য বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আল-আমিন সিকদার সোহাগকে ঘুষি মেরে রাস্তায় ফেলে দেয়। এ সময় আল-আমিনের সঙ্গে থাকা রুহুল সিকদার, শান্ত সিকদার, মানিক সোহাগের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ সময় আল-আমিন সিকদার লাঠি দিয়ে সোহাগের মাথায় আঘাত করে। এতে সোহাগ মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়েছেন। 

সোহাগের অভিযোগ, আল-আমিন এলাকায় চোরাই গাড়ি বিক্রিসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত। 

প্রত্যক্ষদর্শী মো. সালেক মিয়া বলেন, ‘আমি এশার নামাজের পর রাস্তার পাশে চা খাচ্ছিলাম। এ সময় আওয়াজ শুনে কাছে গিয়ে দেখি স্থানীয় সৈয়দ মিয়ার ছেলেকে একই এলাকার আল-আমিনের নেতৃত্বে সোহাগকে মারধর করা হচ্ছে। তখন আমরা স্থানীয়রা সোহাগকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’

অভিযোগ অস্বীকার আল-আমিন সিকদার বলেন, ‘সোহাগ আমার কাছ থেকে কোনো গাড়ি কেনেনি। সে এলাকার একজন চিহ্নিত মাতাল। সোহাগ সর্বদা নেশা করে রাস্তায় যা ইচ্ছা করে বেড়ায়। তার অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ কোনো প্রতিবাদ করলে তাঁকে মারধর করে বেড়ায়। শুক্রবার সোহাগ নেশা করে এলাকার ছোট ভাইদের তেড়ে এসে মারধর শুরু করে। এ সময় ছুটে এসে সোহাগকে থামতে বললে সে আরও উত্তেজিত হয়ে পড়ে, তখন তাঁকে কয়েকটা চড় থাপ্পড় দিয়েছি। এর বেশি কিছু নয়।’ 

নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) এইচ, এম শাহিন বলেন, ‘শুনেছি পৌর শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডে একটা মারামারি হয়েছে। আহত সোহাগের পক্ষ থেকে থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত