নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: দেশে বর্তমানে প্রায় চার কোটি তামাক ব্যবহারকারী রয়েছে, যারা মারাত্মকভাবে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ অবস্থায় আসন্ন বাজেটে তামাকপণ্যের ওপর বাড়তি করারোপ ও তামাকপণ্যের দাম বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা) ও অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (আত্মা)।
আজ মঙ্গলবার সংস্থা দুটি আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য তামাক কর ও দাম সংক্রান্ত বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরে বলা হয়, এমনিতেই করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দেশের স্বাস্থ্য খাতসহ সামগ্রিক অর্থনীতি অত্যন্ত নাজুক অবস্থার মধ্যে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে জনস্বাস্থ্যের জন্য তা অতিরিক্ত ঝুঁকি তৈরি করবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় তামাকবিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।
প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কার উদাহরণ তুলে ধরে তামাকপণ্যের ওপর কর বৃদ্ধির প্রস্তাব করেন আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। একই সঙ্গে তিনি তামাকের ক্ষতিকর দিক তরুণ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার ওপরও গুরুত্ব দেন।
তামাকের ক্ষতিকর দিকের কথা উল্লেখ করে কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, ‘সরকারকে মানুষের কল্যাণের বিষয়টি দেখতে হবে। আমাদের সংবিধানেও তা–ই রয়েছে। কিন্তু সরকার তামাক থেকে শুধু রাজস্ব আয়ের বিষয়টি প্রাধান্য দেয়। অথচ মানুষের ওপর এর অভিঘাত কী, তার মূল্যায়ন করে না।’
তামাকের ওপর সুনির্দিষ্ট হারে কর বসানোর কথা বলেন বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো নাজনীন আহমেদ। তিনি বলেন বলেন, ‘তামাকের ওপর সুনির্দিষ্ট হারে কর বসাতে হবে। এতে সরকার লাভবান হবে।’
ভার্চ্যুয়াল এ সম্মেলনে জানানো হয়, তামাক ব্যবহারে দেশে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ২৬ হাজার মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, অধূমপায়ীর তুলনায় ধূমপায়ীদের কভিড-১৯ সংক্রমণে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কাও অনেক বেশি। ২০১৯ সালে প্রকাশিত ‘ইকোনমিক কস্ট অব টোব্যাকো ইউজ ইন বাংলাদেশ: আ হেলথ কস্ট অ্যাপ্রোচ’ শীর্ষক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির (চিকিৎসা ব্যয় ও উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। অথচ একই সময়ে তামাক খাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয় ছিল ২২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবীর তামাকপণ্যে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্করোপের প্রস্তাব করেন। বিশেষত, সিগারেটের নিম্নস্তরে প্রস্তাবিত কর ও দাম প্রস্তাব বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন বাজেটে তামাকপণ্যে শুল্ক বৃদ্ধির সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তাঁর প্রস্তাবে বাজেটে নিম্ন, মধ্যম, উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্কারোপ, দাম ও করহারের ব্যবধান কমিয়ে মূল্যস্তরের সংখ্যা চারটি থেকে দুটিতে নামিয়ে আনা, বিড়ি, জর্দা, গুলের ওপর সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্কারোপের কথা বলা হয়। এ ছাড়া সব তামাকপণ্যে খুচরা মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও ১ শতাংশ স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ বহাল রাখার দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তামাকের দাম বাড়ানো হলে তরুণ জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি তামাকাসক্ত দরিদ্র জনগোষ্ঠী তামাক ছাড়তে উৎসাহিত হবে। এ ছাড়া তামাক-কর ও দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে ৩ লাখ ৯০ হাজার বর্তমান ধূমপায়ী এবং ৪ লাখ তরুণের অকাল মৃত্যু রোধ সম্ভব হবে। পাশাপাশি সিগারেট থেকে সম্পূরক শুল্ক, স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ও ভ্যাট বাবদ অতিরিক্ত ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হবে।
ঢাকা: দেশে বর্তমানে প্রায় চার কোটি তামাক ব্যবহারকারী রয়েছে, যারা মারাত্মকভাবে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ অবস্থায় আসন্ন বাজেটে তামাকপণ্যের ওপর বাড়তি করারোপ ও তামাকপণ্যের দাম বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা) ও অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (আত্মা)।
আজ মঙ্গলবার সংস্থা দুটি আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য তামাক কর ও দাম সংক্রান্ত বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরে বলা হয়, এমনিতেই করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দেশের স্বাস্থ্য খাতসহ সামগ্রিক অর্থনীতি অত্যন্ত নাজুক অবস্থার মধ্যে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে জনস্বাস্থ্যের জন্য তা অতিরিক্ত ঝুঁকি তৈরি করবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় তামাকবিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।
প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কার উদাহরণ তুলে ধরে তামাকপণ্যের ওপর কর বৃদ্ধির প্রস্তাব করেন আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। একই সঙ্গে তিনি তামাকের ক্ষতিকর দিক তরুণ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার ওপরও গুরুত্ব দেন।
তামাকের ক্ষতিকর দিকের কথা উল্লেখ করে কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, ‘সরকারকে মানুষের কল্যাণের বিষয়টি দেখতে হবে। আমাদের সংবিধানেও তা–ই রয়েছে। কিন্তু সরকার তামাক থেকে শুধু রাজস্ব আয়ের বিষয়টি প্রাধান্য দেয়। অথচ মানুষের ওপর এর অভিঘাত কী, তার মূল্যায়ন করে না।’
তামাকের ওপর সুনির্দিষ্ট হারে কর বসানোর কথা বলেন বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো নাজনীন আহমেদ। তিনি বলেন বলেন, ‘তামাকের ওপর সুনির্দিষ্ট হারে কর বসাতে হবে। এতে সরকার লাভবান হবে।’
ভার্চ্যুয়াল এ সম্মেলনে জানানো হয়, তামাক ব্যবহারে দেশে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ২৬ হাজার মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, অধূমপায়ীর তুলনায় ধূমপায়ীদের কভিড-১৯ সংক্রমণে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কাও অনেক বেশি। ২০১৯ সালে প্রকাশিত ‘ইকোনমিক কস্ট অব টোব্যাকো ইউজ ইন বাংলাদেশ: আ হেলথ কস্ট অ্যাপ্রোচ’ শীর্ষক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির (চিকিৎসা ব্যয় ও উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। অথচ একই সময়ে তামাক খাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয় ছিল ২২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবীর তামাকপণ্যে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্করোপের প্রস্তাব করেন। বিশেষত, সিগারেটের নিম্নস্তরে প্রস্তাবিত কর ও দাম প্রস্তাব বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন বাজেটে তামাকপণ্যে শুল্ক বৃদ্ধির সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তাঁর প্রস্তাবে বাজেটে নিম্ন, মধ্যম, উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্কারোপ, দাম ও করহারের ব্যবধান কমিয়ে মূল্যস্তরের সংখ্যা চারটি থেকে দুটিতে নামিয়ে আনা, বিড়ি, জর্দা, গুলের ওপর সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্কারোপের কথা বলা হয়। এ ছাড়া সব তামাকপণ্যে খুচরা মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও ১ শতাংশ স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ বহাল রাখার দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তামাকের দাম বাড়ানো হলে তরুণ জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি তামাকাসক্ত দরিদ্র জনগোষ্ঠী তামাক ছাড়তে উৎসাহিত হবে। এ ছাড়া তামাক-কর ও দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে ৩ লাখ ৯০ হাজার বর্তমান ধূমপায়ী এবং ৪ লাখ তরুণের অকাল মৃত্যু রোধ সম্ভব হবে। পাশাপাশি সিগারেট থেকে সম্পূরক শুল্ক, স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ও ভ্যাট বাবদ অতিরিক্ত ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হবে।
চট্টগ্রাম নগরীতে পাহাড় কেটে অবৈধভাবে নির্মাণাধীন একটি আবাসন কোম্পানির ছয়তলার বহুতল ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। আজ সোমবার সকালে নগরীর আসকারদীঘির পাড়ে এস এস খালেদ রোডসংলগ্ন নির্মাণাধীন ভবনটিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ভাঙার কাজ শুরু হয়।
২ মিনিট আগেরংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) নারী শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন ও ফল জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. তানজিউল ইসলাম জীবন ও পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. রশীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা তাঁদের কুশপুত্তলিকায় জুতাপেটা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের
৭ মিনিট আগেকক্সবাজারের টেকনাফে অভিযানের সময় নৌবাহিনীর এক সদস্যের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাকালে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ মো. রফিক (২৭) ওই ইউনিয়নের কম্বনিয়া পাড়ার বাসিন্দা। তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী ও অপহরণ চক্রের হোত
৯ মিনিট আগেযশোরের দুঃখ হিসেবে খ্যাত ভবদহের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে আগামীকাল মঙ্গলবার পরিদর্শনে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা। তাঁরা ভবদহ এলাকায় চলমান প্রকল্পগুলো দেখার পাশাপাশি ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলবেন। তিন উপদেষ্টার এই পরিদর্শনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সমস্যা সমাধানে দীর্ঘদিন ধরে
১৫ মিনিট আগে