শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা
কলকাতার ডোভার লেনে সংগীতের মেহফিল। গাইবেন পণ্ডিত ভীমসেন জোশি। রশিদ খান তখনো শ্রোতা মাত্র, শিল্পী হয়ে ওঠেননি। কাছ থেকে গান শুনবেন বলে মঞ্চের পাশে বসেছিলেন। কিন্তু আয়োজকেরা তাঁকে উঠে যেতে বলেন। বেশ অপমানিত হয়েছিলেন সেদিন। ভেবেছিলেন, একদিন এমন জায়গায় পৌঁছাবেন, এঁদেরই দৌড়াতে হবে তাঁর পেছনে।
বেশি দিন লাগেনি। শ্রোতা রশিদ হয়ে ওঠেন শিল্পী। সেই ডোভার লেন থেকে এল আমন্ত্রণ। কিন্তু তার আগে প্যারিসে তাঁর অনুষ্ঠান পড়ে যায়। রশিদ সেই ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিলেন আয়োজকদের। জানান, যদি প্যারিস থেকে উড়িয়ে আনা যায়, তবেই গাইবেন তিনি। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের এই শিল্পী এরপর সুর ছড়িয়েছেন গোটা বিশ্বে।
তবে জীবনের সুর কেটে ওস্তাদ রশিদ খান পাড়ি দিলেন অনন্তলোকে। ৫৫ বছর বয়সে গতকাল মঙ্গলবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
প্রোস্টেট ক্যানসারে ভুগছিলেন শিল্পী। মাসখানেক আগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ক্যানসারের পাশাপাশি ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। খাওয়াদাওয়াও আর করতে পারছিলেন না। শরীরে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ধীরে ধীরে অবস্থার অবনতি হয়। উত্তর প্রদেশে জন্ম হলেও বাংলাতেই কাটিয়েছেন গোটা জীবন। আজ বুধবার টালিগঞ্জের কবরস্থানে দাফন হবে তাঁর।
উত্তর প্রদেশের বদায়ুঁতে জন্ম রশিদ খানের। রামপুর-সাসওয়ান ঘরানার শিল্পী। এই ঘরানার প্রতিষ্ঠাতা ওস্তাদ ইনায়েত হোসেন খাঁ। রশিদ খানের তালিম শুরু হয় চাচা গোয়ালিয়র ঘরানার ওস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খাঁর কাছে। তিনি রশিদকে নিয়ে যান মুম্বাই। ভর্তি করানো হয় ইংরেজি স্কুলে। কিন্তু সেখানে ভালো লাগেনি তাঁর। ফিরে আসেন বদায়ুঁ। ফের তালিম নেওয়া শুরু করেন তাঁর নানা ওস্তাদ নিসার হুসেন খাঁর কাছে। নিসার হোসেন খাঁ ১৯৮০ সালে কলকাতায় চলে আসেন। তিনি গুরু হিসেবে সংগীত রিসার্চ একাডেমিতে কর্মজীবন শুরু করেন। রশিদও চলে আসেন সেখানে। বয়স দশের কোঠায়। এরপর বাংলার সঙ্গে ভাগ্য জুড়ে যায় রশিদের।
ভারতীয় সংগীতের কিংবদন্তিতুল্য শিল্পী তানসেনের ৩১তম প্রজন্ম রশিদ খান। উচ্চাঙ্গসংগীতে তালিম নিলেও সুরের ইন্দ্রজাল ছড়িয়েছেন নানা মাধ্যমে। তাঁর পুরুষালি কণ্ঠে রাতভর মোহিত হতেন যেমন সংগীতপিপাসুরা, তেমনি বলিউডের গান, আধুনিক, গজল, এমনকি রবীন্দ্রসংগীতও গেয়েছেন রশিদ। ‘যব উই মেট’ ছবির ‘আওগে যব তুম ও সাজনা’ ছিল তরুণ-যুবাদের মুখে মুখে। তাঁর কণ্ঠে বিখ্যাত শিল্পী বড়ে গুলাম আলীর ঠুমরি ‘ইয়াদ পিয়া কি আয়ে’ শোনেনি এমন সংগীতপ্রেমী পাওয়া ভার।
গানে মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন। তাঁকে সম্মানিত করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও। পেয়েছেন সংগীত নাটক একাডেমি পুরস্কার, পদ্মভূষণ সম্মাননা। পশ্চিমবঙ্গ থেকে পেয়েছেন বঙ্গবিভূষণ পদক।
কলকাতার ডোভার লেনে সংগীতের মেহফিল। গাইবেন পণ্ডিত ভীমসেন জোশি। রশিদ খান তখনো শ্রোতা মাত্র, শিল্পী হয়ে ওঠেননি। কাছ থেকে গান শুনবেন বলে মঞ্চের পাশে বসেছিলেন। কিন্তু আয়োজকেরা তাঁকে উঠে যেতে বলেন। বেশ অপমানিত হয়েছিলেন সেদিন। ভেবেছিলেন, একদিন এমন জায়গায় পৌঁছাবেন, এঁদেরই দৌড়াতে হবে তাঁর পেছনে।
বেশি দিন লাগেনি। শ্রোতা রশিদ হয়ে ওঠেন শিল্পী। সেই ডোভার লেন থেকে এল আমন্ত্রণ। কিন্তু তার আগে প্যারিসে তাঁর অনুষ্ঠান পড়ে যায়। রশিদ সেই ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিলেন আয়োজকদের। জানান, যদি প্যারিস থেকে উড়িয়ে আনা যায়, তবেই গাইবেন তিনি। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের এই শিল্পী এরপর সুর ছড়িয়েছেন গোটা বিশ্বে।
তবে জীবনের সুর কেটে ওস্তাদ রশিদ খান পাড়ি দিলেন অনন্তলোকে। ৫৫ বছর বয়সে গতকাল মঙ্গলবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
প্রোস্টেট ক্যানসারে ভুগছিলেন শিল্পী। মাসখানেক আগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ক্যানসারের পাশাপাশি ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। খাওয়াদাওয়াও আর করতে পারছিলেন না। শরীরে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ধীরে ধীরে অবস্থার অবনতি হয়। উত্তর প্রদেশে জন্ম হলেও বাংলাতেই কাটিয়েছেন গোটা জীবন। আজ বুধবার টালিগঞ্জের কবরস্থানে দাফন হবে তাঁর।
উত্তর প্রদেশের বদায়ুঁতে জন্ম রশিদ খানের। রামপুর-সাসওয়ান ঘরানার শিল্পী। এই ঘরানার প্রতিষ্ঠাতা ওস্তাদ ইনায়েত হোসেন খাঁ। রশিদ খানের তালিম শুরু হয় চাচা গোয়ালিয়র ঘরানার ওস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খাঁর কাছে। তিনি রশিদকে নিয়ে যান মুম্বাই। ভর্তি করানো হয় ইংরেজি স্কুলে। কিন্তু সেখানে ভালো লাগেনি তাঁর। ফিরে আসেন বদায়ুঁ। ফের তালিম নেওয়া শুরু করেন তাঁর নানা ওস্তাদ নিসার হুসেন খাঁর কাছে। নিসার হোসেন খাঁ ১৯৮০ সালে কলকাতায় চলে আসেন। তিনি গুরু হিসেবে সংগীত রিসার্চ একাডেমিতে কর্মজীবন শুরু করেন। রশিদও চলে আসেন সেখানে। বয়স দশের কোঠায়। এরপর বাংলার সঙ্গে ভাগ্য জুড়ে যায় রশিদের।
ভারতীয় সংগীতের কিংবদন্তিতুল্য শিল্পী তানসেনের ৩১তম প্রজন্ম রশিদ খান। উচ্চাঙ্গসংগীতে তালিম নিলেও সুরের ইন্দ্রজাল ছড়িয়েছেন নানা মাধ্যমে। তাঁর পুরুষালি কণ্ঠে রাতভর মোহিত হতেন যেমন সংগীতপিপাসুরা, তেমনি বলিউডের গান, আধুনিক, গজল, এমনকি রবীন্দ্রসংগীতও গেয়েছেন রশিদ। ‘যব উই মেট’ ছবির ‘আওগে যব তুম ও সাজনা’ ছিল তরুণ-যুবাদের মুখে মুখে। তাঁর কণ্ঠে বিখ্যাত শিল্পী বড়ে গুলাম আলীর ঠুমরি ‘ইয়াদ পিয়া কি আয়ে’ শোনেনি এমন সংগীতপ্রেমী পাওয়া ভার।
গানে মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন। তাঁকে সম্মানিত করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও। পেয়েছেন সংগীত নাটক একাডেমি পুরস্কার, পদ্মভূষণ সম্মাননা। পশ্চিমবঙ্গ থেকে পেয়েছেন বঙ্গবিভূষণ পদক।
হিমালয় পাই এর নতুন বই’ ডিটাচমেন্ট টু ডিপার্চার’ প্রকাশিত হয়েছে। বইটি বাজারে এনেছে জনপ্রিয় প্রকাশনা সংস্থা আদর্শ প্রকাশনী। বইটিতে মূলত উত্তর ভারতের বিভিন্ন শহর পরিভ্রমণের প্রেক্ষিতে লেখকের সোশিওলজিকাল, পলিটিক্যাল কালচারাল, হিস্টরিকাল, এনথ্রোপলজিকাল যেসব পর্যবেক্ষণ তৈরি হয়েছে সেগুলোকেই সোশ্যাল থিসিসরূ
১৪ দিন আগে‘স্বাধীনতা সাম্য সম্প্রীতির জন্য কবিতা’ স্লোগান নিয়ে শুরু হচ্ছে জাতীয় কবিতা উৎসব ২০২৫। আগামী ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্বরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কবিতার এই আসর। আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এটি জানানো হয়েছে...
২১ দিন আগেবাংলা একাডেমি ২০২৪ সালের ষাণ্মাসিক ফেলোশিপ এবং ছয়টি পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করেছে। মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, বিজ্ঞান, শিল্পকলা এবং ভাষা গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি ফেলোশিপ পাচ্ছেন। এ ছাড়া প্রবন্ধ, শিশুসাহিত্য, নাটক এবং কথাসাহিত্যে অবদানের জন্য মোট ছয়টি পুরস্কার দেওয়া হচ্
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪সূক্ষ্মচিন্তার খসড়াকে ধারণ করে শিল্প-সাহিত্য ভিত্তিক ছোটকাগজ ‘বামিহাল’। বগুড়ার সবুজ শ্যামল মায়াময় ‘বামিহাল’ গ্রামের নাম থেকেই এর নাম। ‘বামিহাল’ বিশ্বাস করে বাংলার আবহমান জীবন, মানুষ-প্রকৃতি কিংবা সুচিন্তার বিশ্বমুখী সূক্ষ্ম ভাবনার প্রকাশই আগামীর সবুজ-শ্যামল মানববসতি বিনির্মাণ করতে পারে...
২১ ডিসেম্বর ২০২৪