আধুনিক ছোটগল্পের কথা বললে যে কয়েকটি নাম প্রথমেই আসবে তার একটি অবশ্যই আন্তন চেখভ। রুশ এই সাহিত্যিককে অসাধারণ সব নাটকের রচয়িতা হিসেবেও মনে রেখেছে পাঠক। ১৯০৪ সালের এই দিনে অর্থাৎ ১৫ জুলাই মাত্র ৪৪ বছর বয়সে পৃথিবী ছেড়ে চিরবিদায় নেন ক্ষণজন্মা মানুষটি।
‘দ্য স্তেপ’ ও ‘দ্য লেডি উইথ দ্য ডগ’-এর মতো গল্প এবং ‘দ্য সিগাল’ এবং ‘আঙ্কেল ভানিয়া’র মতো নাটকের মাধ্যমে আন্তন চেখভ মানব প্রকৃতির গভীরতা, দৈনন্দিন ঘটনাগুলোর লুকানো তাৎপর্য এবং কমেডি ও ট্র্যাজেডির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা সূক্ষ্ম রেখার ওপর জোর দিয়েছেন।
এই রুশ সাহিত্যিকের পুরো নাম আন্তন পাভলোভিচ চেখভ। দক্ষিণ রাশিয়ার তাগানরোগে ১৮৬০ সালের ২৯ জানুয়ারি জন্ম নেন তিনি।
চেখভের বাবা পাভেলের আর্থিক সমস্যা লেগেই থাকত। মা ইয়েভগেনিয়া সময় পেলেই চেখভসহ তাঁর ছয় সন্তানকে গল্প বলে শোনাতেন। ১৮৭৫ সালে পাভেলের ব্যবসা শিকেয় উঠলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নতুন কাজের খোঁজে মস্কোয় চলে আসেন। তবে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাগানরোগেই থেকে যান চেখভ।
১৮৭৯ সালে মস্কোয় এসে পরিবারের সঙ্গে যোগ দেন চেখভ। এ সময় একটি মেডিকেল স্কুলে ভর্তি হোন। বাবার আর্থিক অবস্থা তখনো ভালো না থাকায় পরিবারের সদস্যদের ছোটগল্প লিখে সাহায্য করতে থাকেন। এ সময় স্থানীয় ম্যাগাজিনগুলোতে ছদ্মনামে অনেক ছোটগল্প লেখেন।
১৮৮০-র দশকে চিকিৎসক হিসেবে পেশা শুরু করেন। এ সময় নিজের নামে গল্প লিখতে শুরু করেন। নিউ টাইমস সংবাদপত্রের প্রকাশিত হওয়ার পাশাপাশি ১৮৮৬ সালে তাঁর ছোটগল্পের সংকলন মটলি স্টোরিজ প্রকাশিত হয়। এ সময় তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম ছোটগল্প ‘দ্য স্তেপ’। এর জন্য ১৮৮৮ সালে পুশকিন পুরস্কার পান। এ সময় মঞ্চের জন্য নাটকও লেখেন।
১৮৯০-র দশক থেকে জীবনের শেষ ভাগে তাঁর সেরা সাহিত্যকর্মের অনেকগুলোই রচনা করেন আন্তন চেখভ। এ সময় লেখা ছোটগল্পের মধ্যে অন্যতম ‘ওয়ার্ড নম্বর সিক্স’ এবং ‘দ্য লেডি উইথ দ্য ডগ’।
১৯০১ সালে মস্কো আর্ট থিয়েটারের অভিনেত্রী ওলগা নিপারকে বিয়ে করেন চেখভ। তবে এ সময় যক্ষ্মায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তাঁর। তরুণ বয়স থেকেই এই রোগ প্রভাবিত করেছে তাঁর জীবনকে। জার্মানির বাদেনওয়েইলাতে এক স্বাস্থ্যনিবাসে থাকা অবস্থায় ১৯০৪ সালের ১৫ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
চেখভকে তাঁর সময়ের সেরা সাহিত্যিকদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁর নাটকগুলো এখনো বিশ্বের বিভিন্ন থিয়েটারে মঞ্চস্থ হয়। চেখভের কাজ জেমস জয়েস, আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, টেনেসি উইলিয়ামস এবং হেনরি মিলারসহ অনেক বিখ্যাত লেখককে প্রভাবিত করে।
সূত্র: বায়োগ্রাফি ডট কম
আধুনিক ছোটগল্পের কথা বললে যে কয়েকটি নাম প্রথমেই আসবে তার একটি অবশ্যই আন্তন চেখভ। রুশ এই সাহিত্যিককে অসাধারণ সব নাটকের রচয়িতা হিসেবেও মনে রেখেছে পাঠক। ১৯০৪ সালের এই দিনে অর্থাৎ ১৫ জুলাই মাত্র ৪৪ বছর বয়সে পৃথিবী ছেড়ে চিরবিদায় নেন ক্ষণজন্মা মানুষটি।
‘দ্য স্তেপ’ ও ‘দ্য লেডি উইথ দ্য ডগ’-এর মতো গল্প এবং ‘দ্য সিগাল’ এবং ‘আঙ্কেল ভানিয়া’র মতো নাটকের মাধ্যমে আন্তন চেখভ মানব প্রকৃতির গভীরতা, দৈনন্দিন ঘটনাগুলোর লুকানো তাৎপর্য এবং কমেডি ও ট্র্যাজেডির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা সূক্ষ্ম রেখার ওপর জোর দিয়েছেন।
এই রুশ সাহিত্যিকের পুরো নাম আন্তন পাভলোভিচ চেখভ। দক্ষিণ রাশিয়ার তাগানরোগে ১৮৬০ সালের ২৯ জানুয়ারি জন্ম নেন তিনি।
চেখভের বাবা পাভেলের আর্থিক সমস্যা লেগেই থাকত। মা ইয়েভগেনিয়া সময় পেলেই চেখভসহ তাঁর ছয় সন্তানকে গল্প বলে শোনাতেন। ১৮৭৫ সালে পাভেলের ব্যবসা শিকেয় উঠলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নতুন কাজের খোঁজে মস্কোয় চলে আসেন। তবে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাগানরোগেই থেকে যান চেখভ।
১৮৭৯ সালে মস্কোয় এসে পরিবারের সঙ্গে যোগ দেন চেখভ। এ সময় একটি মেডিকেল স্কুলে ভর্তি হোন। বাবার আর্থিক অবস্থা তখনো ভালো না থাকায় পরিবারের সদস্যদের ছোটগল্প লিখে সাহায্য করতে থাকেন। এ সময় স্থানীয় ম্যাগাজিনগুলোতে ছদ্মনামে অনেক ছোটগল্প লেখেন।
১৮৮০-র দশকে চিকিৎসক হিসেবে পেশা শুরু করেন। এ সময় নিজের নামে গল্প লিখতে শুরু করেন। নিউ টাইমস সংবাদপত্রের প্রকাশিত হওয়ার পাশাপাশি ১৮৮৬ সালে তাঁর ছোটগল্পের সংকলন মটলি স্টোরিজ প্রকাশিত হয়। এ সময় তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম ছোটগল্প ‘দ্য স্তেপ’। এর জন্য ১৮৮৮ সালে পুশকিন পুরস্কার পান। এ সময় মঞ্চের জন্য নাটকও লেখেন।
১৮৯০-র দশক থেকে জীবনের শেষ ভাগে তাঁর সেরা সাহিত্যকর্মের অনেকগুলোই রচনা করেন আন্তন চেখভ। এ সময় লেখা ছোটগল্পের মধ্যে অন্যতম ‘ওয়ার্ড নম্বর সিক্স’ এবং ‘দ্য লেডি উইথ দ্য ডগ’।
১৯০১ সালে মস্কো আর্ট থিয়েটারের অভিনেত্রী ওলগা নিপারকে বিয়ে করেন চেখভ। তবে এ সময় যক্ষ্মায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তাঁর। তরুণ বয়স থেকেই এই রোগ প্রভাবিত করেছে তাঁর জীবনকে। জার্মানির বাদেনওয়েইলাতে এক স্বাস্থ্যনিবাসে থাকা অবস্থায় ১৯০৪ সালের ১৫ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
চেখভকে তাঁর সময়ের সেরা সাহিত্যিকদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁর নাটকগুলো এখনো বিশ্বের বিভিন্ন থিয়েটারে মঞ্চস্থ হয়। চেখভের কাজ জেমস জয়েস, আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, টেনেসি উইলিয়ামস এবং হেনরি মিলারসহ অনেক বিখ্যাত লেখককে প্রভাবিত করে।
সূত্র: বায়োগ্রাফি ডট কম
নোবেলজয়ী পেরুভিয়ান সাহিত্যিক মারিও বার্গাস যোসা শুধু কথাসাহিত্যের জন্যই নন, মানবিকতা ও বিশ্ব রাজনীতির প্রতি গভীর মনোযোগের জন্যও পরিচিত। বাংলাদেশে এসিড হামলার শিকার নারীদের নিয়ে তাঁর লেখা হৃদয়বিদারক প্রবন্ধ ‘Weaker sex’ প্রমাণ করে, কীভাবে যোসার কলম ছুঁয়ে গিয়েছিল বাংলার পীড়িত নারীদের কান্না ও সংগ্রাম।
৩ দিন আগেনোবেলজয়ী পেরুভিয়ান সাহিত্যিক মারিও বার্গাস যোসা মারা গেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার পেরুর রাজধানী লিমায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তাঁর ছেলে আলভারো বার্গাস যোসা মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগেমৃত্তিকাবিজ্ঞানী অধ্যাপক আলমগীর হাইয়ের প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা, ৫ নম্বর গ্যালারিতে চিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়।
৪ দিন আগেজর্জ দুহামেল ১৮৮৪ সালের ৩০ জুন প্যারিসের জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবার আর্থিকভাবে খুব একটা সচ্ছল ছিল না। তিনি ছিলেন তৃতীয় সন্তান। সব মিলিয়ে তাঁর শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি খুব একটা সুখকর নয়; যা তাঁর আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস লে নতেয়্যাখ দু হ্যাভখ (Le Notaire du Havre) এ ফুটে ওঠে।
৪ দিন আগে