পরাগ মাঝি
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম লেখক হিসেবে এবার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতে নিয়েছেন হান কাং। ৫৩ বছর বয়সী এই লেখক এর আগে ২০১৬ সালে নিজের তৃতীয় উপন্যাস ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’-এর জন্য বুকার পুরস্কার পেয়েছিলেন। কোরীয় ভাষায় ২০০৭ সালে বইটি প্রকাশিত হলেও ২০১৫ সালে এটি ইংরেজি ভাষায় অনূদিত হয়।
দ্য ভেজিটেরিয়ানের পর হান কাঙের পরের উপন্যাস ছিল ‘দ্য উইন্ড ব্লোজ, গো’। এই উপন্যাস লেখার সময়ই ঘটে বিপত্তি! হান অনুভব করেন তিনি আর লিখতে পারছেন না। গত বছর নিজের পঞ্চম উপন্যাস ‘গ্রিক লেসন’ ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হলে স্পেনের এল-পাইস পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছিলেন তিনি।
গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর এল-পাইস পত্রিকায় প্রকাশিত সেই সাক্ষাৎকারে হানকে সমসাময়িক মঞ্চের অন্যতম সেরা লেখক হিসেবে বর্ণনা করা হয়। এল-পাইস পত্রিকার বর্ণনা মতে—হানের ‘গ্রিক লেসন’ উপন্যাসের পটভূমি ছিল মূলত ‘নীরবতার আর্তনাদ’। যে আর্তনাদ তার ধ্বংসের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
যে চরিত্রকে ঘিরে ‘গ্রিক লেসন’ উপন্যাস এগিয়েছে তিনি ছিলেন একজন নারী। এই নারী তাঁর কণ্ঠস্বর হারিয়েছিলেন। হারিয়েছিলেন মাকেও। সেই সঙ্গে তিনি তাঁর ছেলেকে দেখভাল করার অধিকারও হারিয়েছিলেন। এই সব দুঃখগাথা মোকাবিলা করতে গিয়ে তিনি প্রাচীন গ্রিসের একটি মৃত ভাষার ক্লাসে অংশ নিতে শুরু করেন। আর এই ক্লাসেই একজন অধ্যাপককে খুঁজে পান, যিনি অন্ধ হয়ে যাচ্ছিলেন—ঠিক বোর্হেসের মতো। অন্ধ হতে যাওয়া সেই অধ্যাপকের সঙ্গে ভাষাহীন নারীর সম্পর্কই উপন্যাসটির মেরুদণ্ড তৈরি করেছে। যদিও এই উপন্যাস পড়ে পাঠকের মনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হয়। যেমন—একটি কণ্ঠস্বর ছাড়া আমরা কীভাবে বাঁচব? কিংবা, যদি আমরা জানতাম যে আমরা আমাদের দৃষ্টিশক্তি হারাতে যাচ্ছি?
এল-পাইস পত্রিকায় সাক্ষাৎকারের শুরুতেই হানকে প্রশ্ন করা হয়—আপনার সর্বশেষ উপন্যাসটি (গ্রিক লেসন) কি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে?
এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েই গ্রিক লেসনের আগের উপন্যাসটি লেখার সময় হঠাৎ করে লিখতে ভুলে যাওয়ার বর্ণনা দেন হান। তাঁর এই অনুভূতি ছিল অনেকটা গ্রিক লেসনের সেই ভাষাহীন নারীটির মতো। যেন চতুর্থ উপন্যাস লেখার সময় হান যে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন পঞ্চম উপন্যাস গ্রিক লেসনে সেই রকম অভিজ্ঞতা তিনি তাঁর চরিত্রকেও দিয়েছিলেন। প্রশ্নের জবাবে হান বলেছিলেন, ‘তৃতীয় উপন্যাস দ্য ভেজিটেরিয়ানের পর আমি চতুর্থটি লিখতে শুরু করি। কিন্তু সপ্তম অধ্যায় পর্যন্ত লিখেই আমি আর লিখতে পারছিলাম না। পুরোপুরি ব্লক হয়ে গেলাম। আমি এক বছর লিখিনি এবং ভুলে গিয়েছিলাম, কীভাবে এটা করতে হয়। আমি কোনো ফিকশনও পড়তে পারিনি। দীর্ঘ বিরতির পর আবার শুরু করেছিলাম এবং এভাবে এই পঞ্চম উপন্যাসটির জন্ম হয়েছিল। গ্রিক লেসন অবশ্যই আমার অভিজ্ঞতার নীরবতা থেকে উঠে এসেছিল।’
কেন মনে হয়েছিল যে আপনি লেখার ক্ষমতা হারিয়েছেন? এই প্রশ্নের জবাবে হান বলেন, ‘হয়তো আমি তখন আন্তরিক ছিলাম না। আন্তরিকতার অভাব ছিল বলেই লেখা চালিয়ে যেতে পারিনি। পরে বুঝলাম, কথাসাহিত্যের মধ্যেও সত্যকে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। কল্পকাহিনি লেখার মানে এই না যে আপনি সত্যকে হারিয়ে ফেলবেন। আপনাকে সেই পথগুলোর সন্ধান করতে হবে, যা আপনাকে লেখার দিকে নিয়ে যেতে পারে, এমনকি সেই পথগুলো সংকীর্ণ হলেও তা করতে হবে।’
গ্রিক লেসনের সেই ভাষাহীন নারী যেভাবে তাঁর সর্বশক্তি দিয়ে ভাষা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন কিংবা নিজের জীবনে আবার লিখতে শুরু করার যে প্রক্রিয়াটি, এটিকে জীবন পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া বলেছেন হান।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম লেখক হিসেবে এবার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতে নিয়েছেন হান কাং। ৫৩ বছর বয়সী এই লেখক এর আগে ২০১৬ সালে নিজের তৃতীয় উপন্যাস ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’-এর জন্য বুকার পুরস্কার পেয়েছিলেন। কোরীয় ভাষায় ২০০৭ সালে বইটি প্রকাশিত হলেও ২০১৫ সালে এটি ইংরেজি ভাষায় অনূদিত হয়।
দ্য ভেজিটেরিয়ানের পর হান কাঙের পরের উপন্যাস ছিল ‘দ্য উইন্ড ব্লোজ, গো’। এই উপন্যাস লেখার সময়ই ঘটে বিপত্তি! হান অনুভব করেন তিনি আর লিখতে পারছেন না। গত বছর নিজের পঞ্চম উপন্যাস ‘গ্রিক লেসন’ ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হলে স্পেনের এল-পাইস পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছিলেন তিনি।
গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর এল-পাইস পত্রিকায় প্রকাশিত সেই সাক্ষাৎকারে হানকে সমসাময়িক মঞ্চের অন্যতম সেরা লেখক হিসেবে বর্ণনা করা হয়। এল-পাইস পত্রিকার বর্ণনা মতে—হানের ‘গ্রিক লেসন’ উপন্যাসের পটভূমি ছিল মূলত ‘নীরবতার আর্তনাদ’। যে আর্তনাদ তার ধ্বংসের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
যে চরিত্রকে ঘিরে ‘গ্রিক লেসন’ উপন্যাস এগিয়েছে তিনি ছিলেন একজন নারী। এই নারী তাঁর কণ্ঠস্বর হারিয়েছিলেন। হারিয়েছিলেন মাকেও। সেই সঙ্গে তিনি তাঁর ছেলেকে দেখভাল করার অধিকারও হারিয়েছিলেন। এই সব দুঃখগাথা মোকাবিলা করতে গিয়ে তিনি প্রাচীন গ্রিসের একটি মৃত ভাষার ক্লাসে অংশ নিতে শুরু করেন। আর এই ক্লাসেই একজন অধ্যাপককে খুঁজে পান, যিনি অন্ধ হয়ে যাচ্ছিলেন—ঠিক বোর্হেসের মতো। অন্ধ হতে যাওয়া সেই অধ্যাপকের সঙ্গে ভাষাহীন নারীর সম্পর্কই উপন্যাসটির মেরুদণ্ড তৈরি করেছে। যদিও এই উপন্যাস পড়ে পাঠকের মনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হয়। যেমন—একটি কণ্ঠস্বর ছাড়া আমরা কীভাবে বাঁচব? কিংবা, যদি আমরা জানতাম যে আমরা আমাদের দৃষ্টিশক্তি হারাতে যাচ্ছি?
এল-পাইস পত্রিকায় সাক্ষাৎকারের শুরুতেই হানকে প্রশ্ন করা হয়—আপনার সর্বশেষ উপন্যাসটি (গ্রিক লেসন) কি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে?
এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েই গ্রিক লেসনের আগের উপন্যাসটি লেখার সময় হঠাৎ করে লিখতে ভুলে যাওয়ার বর্ণনা দেন হান। তাঁর এই অনুভূতি ছিল অনেকটা গ্রিক লেসনের সেই ভাষাহীন নারীটির মতো। যেন চতুর্থ উপন্যাস লেখার সময় হান যে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন পঞ্চম উপন্যাস গ্রিক লেসনে সেই রকম অভিজ্ঞতা তিনি তাঁর চরিত্রকেও দিয়েছিলেন। প্রশ্নের জবাবে হান বলেছিলেন, ‘তৃতীয় উপন্যাস দ্য ভেজিটেরিয়ানের পর আমি চতুর্থটি লিখতে শুরু করি। কিন্তু সপ্তম অধ্যায় পর্যন্ত লিখেই আমি আর লিখতে পারছিলাম না। পুরোপুরি ব্লক হয়ে গেলাম। আমি এক বছর লিখিনি এবং ভুলে গিয়েছিলাম, কীভাবে এটা করতে হয়। আমি কোনো ফিকশনও পড়তে পারিনি। দীর্ঘ বিরতির পর আবার শুরু করেছিলাম এবং এভাবে এই পঞ্চম উপন্যাসটির জন্ম হয়েছিল। গ্রিক লেসন অবশ্যই আমার অভিজ্ঞতার নীরবতা থেকে উঠে এসেছিল।’
কেন মনে হয়েছিল যে আপনি লেখার ক্ষমতা হারিয়েছেন? এই প্রশ্নের জবাবে হান বলেন, ‘হয়তো আমি তখন আন্তরিক ছিলাম না। আন্তরিকতার অভাব ছিল বলেই লেখা চালিয়ে যেতে পারিনি। পরে বুঝলাম, কথাসাহিত্যের মধ্যেও সত্যকে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। কল্পকাহিনি লেখার মানে এই না যে আপনি সত্যকে হারিয়ে ফেলবেন। আপনাকে সেই পথগুলোর সন্ধান করতে হবে, যা আপনাকে লেখার দিকে নিয়ে যেতে পারে, এমনকি সেই পথগুলো সংকীর্ণ হলেও তা করতে হবে।’
গ্রিক লেসনের সেই ভাষাহীন নারী যেভাবে তাঁর সর্বশক্তি দিয়ে ভাষা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন কিংবা নিজের জীবনে আবার লিখতে শুরু করার যে প্রক্রিয়াটি, এটিকে জীবন পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া বলেছেন হান।
নোবেলজয়ী পেরুভিয়ান সাহিত্যিক মারিও বার্গাস যোসা শুধু কথাসাহিত্যের জন্যই নন, মানবিকতা ও বিশ্ব রাজনীতির প্রতি গভীর মনোযোগের জন্যও পরিচিত। বাংলাদেশে এসিড হামলার শিকার নারীদের নিয়ে তাঁর লেখা হৃদয়বিদারক প্রবন্ধ ‘Weaker sex’ প্রমাণ করে, কীভাবে যোসার কলম ছুঁয়ে গিয়েছিল বাংলার পীড়িত নারীদের কান্না ও সংগ্রাম।
৬ দিন আগেনোবেলজয়ী পেরুভিয়ান সাহিত্যিক মারিও বার্গাস যোসা মারা গেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার পেরুর রাজধানী লিমায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তাঁর ছেলে আলভারো বার্গাস যোসা মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
৬ দিন আগেমৃত্তিকাবিজ্ঞানী অধ্যাপক আলমগীর হাইয়ের প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা, ৫ নম্বর গ্যালারিতে চিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়।
৬ দিন আগেজর্জ দুহামেল ১৮৮৪ সালের ৩০ জুন প্যারিসের জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবার আর্থিকভাবে খুব একটা সচ্ছল ছিল না। তিনি ছিলেন তৃতীয় সন্তান। সব মিলিয়ে তাঁর শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি খুব একটা সুখকর নয়; যা তাঁর আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস লে নতেয়্যাখ দু হ্যাভখ (Le Notaire du Havre) এ ফুটে ওঠে।
৭ দিন আগে