টানা তৃতীয় মেয়াদে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এরই মধ্যে তাঁকে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে। ৯৮ শতাংশ ভোট গণনা শেষেই এরদোয়ান শিবিরে বিজয়োল্লাস শুরু হয়েছে। এরদোয়ান তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ায় টানা ২০ বছর তুরস্ক শাসনের রেকর্ড করতে যাচ্ছেন এরদোয়ান। এমনিতেই এরদোয়ান সরকার রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গি ও বিরোধীদের প্রতি কঠোরতার কারণে বারবার সমালোচিত হয়েছে। এখন তৃতীয়বার নির্বাচিত হওয়ায় তিনি কি নিজেকে অপ্রতিরোধ্য ভাবতে শুরু করবেন? তিনি কি আরও বেশি নিয়ন্ত্রণমূলক শাসনব্যবস্থার দিকে এগোবেন? বিরোধীদের প্রতি কেমন হবে তাঁর আচরণ—এ নিয়ে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়ে গেছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির গবেষণা প্রতিষ্ঠান অলব্রাইট স্টোনব্রিজ গ্রুপের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হাকান আকবাস আল জাজিরাকে বলেছেন, এই বিজয়ের পর এরদোয়ান ‘আরও বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক’ শাসনের দিকে হাঁটতে পারেন। কারণ এবার নির্বাচন তাঁর জন্য বেশ কঠিনই ছিল। ক্ষমতাসীন একে পার্টি যতটা ভেবেছিল প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে ভোটের ব্যবধান কিন্তু শেষ পর্যন্ত ততটা দেখা যায়নি। বলতে গেলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। সামান্য ব্যবধানে উতরে গেছেন এরদোয়ান।
এর আগের নির্বাচনে কিন্তু এরদোয়ানকে দ্বিতীয় দফায় লড়তে হয়নি। এবার প্রথম দফায় ৫০ শতাংশ ভোট পেতে ব্যর্থ হয়েছেন। দ্বিতীয় দফায় পেয়েছেন ৫২ শতাংশের সামান্য বেশি। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সিএইচপির কেমাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন প্রায় ৪৮ শতাংশ।
আকবাস বলছেন, তুরস্ক এখন দ্বিধাবিভক্ত দেশ—প্রায় ৫০ / ৫০। মাত্র ২০ লাখের ব্যবধান। ব্যবধান যত কমবে দেশ চালাতে গেলে এরদোয়ানকে ততবেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক মনোভাব রাখতে হবে। এর মানে হলো, পার্লামেন্টে যে কোনো সাংবিধানিক পরিবর্তনের জন্য এরদোয়ানকে তাঁর বিরোধীদের সঙ্গে অনেক বেশি সমঝোতামূলক অবস্থানে যেতে হবে। এখন পার্লামেন্টে তাঁর মিত্রের বড় প্রয়োজন।
এই নির্বাচন নিঃসন্দেহে এরদোয়ানের জন্য বড় সতর্কবার্তা। ২০১৮ সালের তুলনায় তাঁর প্রাপ্ত ভোটের হার কিন্তু বেশ নেমেছে। এর পেছনে রয়েছে অর্থনীতির অবস্থা। তার মানে হলো, এই যে ভোটের স্বল্প ব্যবধান—২০১৮ এবং বর্তমান সময়ে তাঁকে যে মূল্য দিতে হলো এটার পেছনে রয়েছে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা। এই পরিস্থিতি তাঁকে অর্থনীতির প্রশ্নে আরও কঠোর নীতির দিকে ঠেলে দিতে পারে।
অর্থনীতি রক্ষায় তিনি সুদের হার বাড়ানোর বিষয়টি চিন্তা করতে পারেন। তিনি হয়তো আরও বেশি বাজারবান্ধব মুখ সামনে আনবেন যাতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করা যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে হয়তো তিনি আরও স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে নিয়োগ দেবেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এরদোয়ান আবারও প্রমাণ করলেন তুরস্কে তাঁর বিপক্ষে দাঁড়ানো অত সহজ না। তিনি অপ্রতিরোধ্য। অবশ্য বিরোধীরা বলছেন, প্রতিযোগিতার শুরুতেই বিরোধীদের পিছিয়ে রাখা হয়েছে।
এরদোয়ান প্রেসিডেন্ট, তিনি কয়েক দশক ধরে দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাবান মানুষ। তুরস্কের রাজনীতিতে এটি তাঁর ১১তম বিজয়। তিনি তাঁর পক্ষে রাষ্ট্রীয় সব যন্ত্র ব্যবহার করেছেন। পরিস্থিতি উভয়ের জন্য সমান অনুকূল ছিল না। শুরু থেকেই তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারোগলুকে পরাজয়ের জন্য সুবিধাজনক অবস্থানে ছিলেন। এমন অভিযোগই করছেন বিরোধীরা।
অবশ্য বিরোধীদের যে খুব একটা গুনছেন না তা বিজয়ের ভাষণেই স্পষ্ট করেছেন এরদোয়ান। প্রতিদ্বন্দ্বীকে খোঁচা দিয়ে বলেছেন, ‘বাই বাই কেমাল।’ শুধু তা–ই নয়, নির্বাচনী প্রচারণার মূল থিমেও ফিরেছেন তিনি। বিরোধী দলগুলোর এলজিবিটি নীতির প্রতি সহমর্মিতার কথা তুলে কটাক্ষ করেছেন। দেশব্যাপী ধর্মীয় রক্ষণশীল ভোটব্যাংকের প্রতি এটি তাঁর স্পষ্ট ইঙ্গিত।
ভাষণে এরদোয়ান বলেছেন ‘এই বিজয় তুরস্কের সাড়ে ৮ কোটি মানুষের বিজয়’। তবে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর ভোটের ব্যবধান এবং এরদোয়ানের দৃষ্টিভঙ্গিতে স্পষ্ট যে, তুরস্ক এখন প্রায় সমান দুই ভাগে বিভক্ত। গভীরভাবে বিভক্ত ইউরোপ সংলগ্ন তুরস্ক আগামী দিনে কোন দিকে হাঁটবে সেটি সময়ই বলে দেবে।
টানা তৃতীয় মেয়াদে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এরই মধ্যে তাঁকে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে। ৯৮ শতাংশ ভোট গণনা শেষেই এরদোয়ান শিবিরে বিজয়োল্লাস শুরু হয়েছে। এরদোয়ান তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ায় টানা ২০ বছর তুরস্ক শাসনের রেকর্ড করতে যাচ্ছেন এরদোয়ান। এমনিতেই এরদোয়ান সরকার রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গি ও বিরোধীদের প্রতি কঠোরতার কারণে বারবার সমালোচিত হয়েছে। এখন তৃতীয়বার নির্বাচিত হওয়ায় তিনি কি নিজেকে অপ্রতিরোধ্য ভাবতে শুরু করবেন? তিনি কি আরও বেশি নিয়ন্ত্রণমূলক শাসনব্যবস্থার দিকে এগোবেন? বিরোধীদের প্রতি কেমন হবে তাঁর আচরণ—এ নিয়ে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়ে গেছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির গবেষণা প্রতিষ্ঠান অলব্রাইট স্টোনব্রিজ গ্রুপের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হাকান আকবাস আল জাজিরাকে বলেছেন, এই বিজয়ের পর এরদোয়ান ‘আরও বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক’ শাসনের দিকে হাঁটতে পারেন। কারণ এবার নির্বাচন তাঁর জন্য বেশ কঠিনই ছিল। ক্ষমতাসীন একে পার্টি যতটা ভেবেছিল প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে ভোটের ব্যবধান কিন্তু শেষ পর্যন্ত ততটা দেখা যায়নি। বলতে গেলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। সামান্য ব্যবধানে উতরে গেছেন এরদোয়ান।
এর আগের নির্বাচনে কিন্তু এরদোয়ানকে দ্বিতীয় দফায় লড়তে হয়নি। এবার প্রথম দফায় ৫০ শতাংশ ভোট পেতে ব্যর্থ হয়েছেন। দ্বিতীয় দফায় পেয়েছেন ৫২ শতাংশের সামান্য বেশি। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সিএইচপির কেমাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন প্রায় ৪৮ শতাংশ।
আকবাস বলছেন, তুরস্ক এখন দ্বিধাবিভক্ত দেশ—প্রায় ৫০ / ৫০। মাত্র ২০ লাখের ব্যবধান। ব্যবধান যত কমবে দেশ চালাতে গেলে এরদোয়ানকে ততবেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক মনোভাব রাখতে হবে। এর মানে হলো, পার্লামেন্টে যে কোনো সাংবিধানিক পরিবর্তনের জন্য এরদোয়ানকে তাঁর বিরোধীদের সঙ্গে অনেক বেশি সমঝোতামূলক অবস্থানে যেতে হবে। এখন পার্লামেন্টে তাঁর মিত্রের বড় প্রয়োজন।
এই নির্বাচন নিঃসন্দেহে এরদোয়ানের জন্য বড় সতর্কবার্তা। ২০১৮ সালের তুলনায় তাঁর প্রাপ্ত ভোটের হার কিন্তু বেশ নেমেছে। এর পেছনে রয়েছে অর্থনীতির অবস্থা। তার মানে হলো, এই যে ভোটের স্বল্প ব্যবধান—২০১৮ এবং বর্তমান সময়ে তাঁকে যে মূল্য দিতে হলো এটার পেছনে রয়েছে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা। এই পরিস্থিতি তাঁকে অর্থনীতির প্রশ্নে আরও কঠোর নীতির দিকে ঠেলে দিতে পারে।
অর্থনীতি রক্ষায় তিনি সুদের হার বাড়ানোর বিষয়টি চিন্তা করতে পারেন। তিনি হয়তো আরও বেশি বাজারবান্ধব মুখ সামনে আনবেন যাতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করা যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে হয়তো তিনি আরও স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে নিয়োগ দেবেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এরদোয়ান আবারও প্রমাণ করলেন তুরস্কে তাঁর বিপক্ষে দাঁড়ানো অত সহজ না। তিনি অপ্রতিরোধ্য। অবশ্য বিরোধীরা বলছেন, প্রতিযোগিতার শুরুতেই বিরোধীদের পিছিয়ে রাখা হয়েছে।
এরদোয়ান প্রেসিডেন্ট, তিনি কয়েক দশক ধরে দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাবান মানুষ। তুরস্কের রাজনীতিতে এটি তাঁর ১১তম বিজয়। তিনি তাঁর পক্ষে রাষ্ট্রীয় সব যন্ত্র ব্যবহার করেছেন। পরিস্থিতি উভয়ের জন্য সমান অনুকূল ছিল না। শুরু থেকেই তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারোগলুকে পরাজয়ের জন্য সুবিধাজনক অবস্থানে ছিলেন। এমন অভিযোগই করছেন বিরোধীরা।
অবশ্য বিরোধীদের যে খুব একটা গুনছেন না তা বিজয়ের ভাষণেই স্পষ্ট করেছেন এরদোয়ান। প্রতিদ্বন্দ্বীকে খোঁচা দিয়ে বলেছেন, ‘বাই বাই কেমাল।’ শুধু তা–ই নয়, নির্বাচনী প্রচারণার মূল থিমেও ফিরেছেন তিনি। বিরোধী দলগুলোর এলজিবিটি নীতির প্রতি সহমর্মিতার কথা তুলে কটাক্ষ করেছেন। দেশব্যাপী ধর্মীয় রক্ষণশীল ভোটব্যাংকের প্রতি এটি তাঁর স্পষ্ট ইঙ্গিত।
ভাষণে এরদোয়ান বলেছেন ‘এই বিজয় তুরস্কের সাড়ে ৮ কোটি মানুষের বিজয়’। তবে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর ভোটের ব্যবধান এবং এরদোয়ানের দৃষ্টিভঙ্গিতে স্পষ্ট যে, তুরস্ক এখন প্রায় সমান দুই ভাগে বিভক্ত। গভীরভাবে বিভক্ত ইউরোপ সংলগ্ন তুরস্ক আগামী দিনে কোন দিকে হাঁটবে সেটি সময়ই বলে দেবে।
এই অবস্থায় বর্তমান তথ্যের ভিত্তিতে, আগামী এক বছরের জন্য মার্কিন মন্দার আশঙ্কা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত রাখা যেতে পারে এবং পরবর্তী চার বছরের জন্য এটি আরও বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও কিছুই নিশ্চিত নয়, তবে আমরা যদি ‘ডাঙায় আটকে পড়ি’ অর্থাৎ মন্দার মধ্যে পড়েই যাই, তবে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
৩ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সাম্প্রতিক বেলুচ বিদ্রোহীদের প্রতি হুঁশিয়ারি অনেকের কাছে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি মনে হচ্ছে—ঠিক যেমনটা করেছিলেন ইয়াহিয়া খান, ১৯৭১ সালে। বিভাজন, দমন ও অস্বীকারের সেই পুরোনো কৌশলই যেন ফিরে এসেছে নতুন ইউনিফর্মে। ইতিহাস আবার প্রশ্ন করছে—পাকিস্তান কি কিছুই শিখল না?
১ দিন আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বাণিজ্য যুদ্ধের ভয়াবহ পরিণতির বেশ কিছু নজির রয়েছে। উনিশ শতকের শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ছয়টি অর্থনৈতিক মন্দার শিকার হয়েছে। অর্থনৈতিক মন্দা বলতে ছয় বা তার বেশি ত্রৈমাসিক পর্যন্ত টানা অর্থনৈতিক সংকোচন বোঝানো হয়। যদিও এর কোনো সর্বজনীন সংজ্ঞা নেই।
২ দিন আগেমার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি দ্রুত অগ্রগতির কোনো ইঙ্গিত না পান, তাহলে কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়াবেন। ট্রাম্পের এমন মনোভাব নিয়ে এখন চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
৩ দিন আগে