আজকের পত্রিকা ডেস্ক
পূর্ব ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বিস্তার, আরও সুনির্দিষ্ট করে বললে ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করা নিয়ে রাশিয়া যে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে, তা কোন দিকে যেতে পারে—তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হচ্ছে। অনেকের শঙ্কা, দ্রুত সমঝোতার পদক্ষেপ না নেওয়া হলে, পুরো পরিস্থিতি অন্যদিকে, তথা পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে মোড় নিতে পারে। যার পরিণতি কল্পনার বাইরে। এ অবস্থায় এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী ও ঘনিষ্ঠ মিত্র বেইজিং মস্কোকে কত দূর সহযোগিতা করবে, তা নিয়ে অনেকের কৌতূহল আছে।
এশিয়া টাইমসের এক বিশ্লেষণে চীন বিশেষজ্ঞ ইয়ুন সান বলেন, ২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলকে শেষ পর্যন্ত চীন যতটা প্রত্যক্ষ সমর্থন করেছে, ইউক্রেনের ক্ষেত্রে অতটা প্রত্যক্ষ হবে না। রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ের সঙ্গে বাণিজ্য অব্যাহত রাখার চীনের সাম্প্রতিক ঘোষণায় তা স্পষ্ট।
বিশ্বের বড় বড় ঘটনাগুলোর দিকে তাকালেও দেখা যাবে, চীনের অবস্থান অনেক সময় ঠিক বোঝা যায় না। ২০ ফেব্রুয়ারি ‘মিউনিখ সিকিউরিটি কাউন্সিলে’ চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েং ই যে বক্তৃতা দিয়েছেন, তা অনেকটা সে রকম।
বক্তৃতায় ওয়েং ই বলেন, ইউক্রেনসহ কোনো দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ সমর্থন করে না চীন। এর দ্বারা চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী কী বলতে চেয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়। তিনি কী রাশিয়ার নিরাপত্তায় কারও হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন, না ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, তা বোঝা দুরূহ।
কারণ, চীন এখন পর্যন্ত রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি না দিলেও, দখল অভিযানকে আদ্যোপান্ত সমর্থন করেছে। অন্যদিকে, ইউক্রেনে বর্তমানে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররাও সমানভাবে দায়ী বলে মনে করে চীন।
৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া থেকে তেল-গ্যাস আমদানি করার জন্য একটি চুক্তি করেছে চীন। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চীন সফরে এসে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে ১১ হাজার ৭৫০ কোটি ডলারের ওই চুক্তিটি করেন। বৈঠকের পর দুই নেতার এক যৌথ বিবৃতিতে নিজেদের সম্পর্ক ‘অন্তহীন’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এশিয়া টাইমসের বিশ্লেষণে বলা হয়, সি-পুতিন যৌথ বিবৃতিতে যাই বলুক, বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে বিস্তর হিসাব কষে পদক্ষেপ নেবে চীন। ক্রিমিয়া দখল আর মূল ইউক্রেনে হামলা ভিন্ন ঘটনা। বলতে গেলে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে চীনের ব্যবসা। তাই, রাশিয়াকে সমর্থন করতে গিয়ে বিদেশে নিজেদের শত শত কোটি ডলারের বিনিয়োগ ক্ষতির মুখে পড়ুক, তা চাইবে না বেইজিং।
তাই বলে, গত শতকের ৮০-৯০-এর দশকের মতো রাশিয়ার বিরোধিতা করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শিবিরে যাওয়ারও কোনো সম্ভাবনা নেই চীনের। এ অবস্থায় ইউক্রেন পরিস্থিতিতে বেইজিং মাঝামাঝি পথ ধরবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এশিয়া টাইমসের বিশ্লেষণে।
পূর্ব ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বিস্তার, আরও সুনির্দিষ্ট করে বললে ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করা নিয়ে রাশিয়া যে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে, তা কোন দিকে যেতে পারে—তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হচ্ছে। অনেকের শঙ্কা, দ্রুত সমঝোতার পদক্ষেপ না নেওয়া হলে, পুরো পরিস্থিতি অন্যদিকে, তথা পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে মোড় নিতে পারে। যার পরিণতি কল্পনার বাইরে। এ অবস্থায় এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী ও ঘনিষ্ঠ মিত্র বেইজিং মস্কোকে কত দূর সহযোগিতা করবে, তা নিয়ে অনেকের কৌতূহল আছে।
এশিয়া টাইমসের এক বিশ্লেষণে চীন বিশেষজ্ঞ ইয়ুন সান বলেন, ২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলকে শেষ পর্যন্ত চীন যতটা প্রত্যক্ষ সমর্থন করেছে, ইউক্রেনের ক্ষেত্রে অতটা প্রত্যক্ষ হবে না। রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ের সঙ্গে বাণিজ্য অব্যাহত রাখার চীনের সাম্প্রতিক ঘোষণায় তা স্পষ্ট।
বিশ্বের বড় বড় ঘটনাগুলোর দিকে তাকালেও দেখা যাবে, চীনের অবস্থান অনেক সময় ঠিক বোঝা যায় না। ২০ ফেব্রুয়ারি ‘মিউনিখ সিকিউরিটি কাউন্সিলে’ চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েং ই যে বক্তৃতা দিয়েছেন, তা অনেকটা সে রকম।
বক্তৃতায় ওয়েং ই বলেন, ইউক্রেনসহ কোনো দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ সমর্থন করে না চীন। এর দ্বারা চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী কী বলতে চেয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়। তিনি কী রাশিয়ার নিরাপত্তায় কারও হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন, না ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, তা বোঝা দুরূহ।
কারণ, চীন এখন পর্যন্ত রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি না দিলেও, দখল অভিযানকে আদ্যোপান্ত সমর্থন করেছে। অন্যদিকে, ইউক্রেনে বর্তমানে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররাও সমানভাবে দায়ী বলে মনে করে চীন।
৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া থেকে তেল-গ্যাস আমদানি করার জন্য একটি চুক্তি করেছে চীন। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চীন সফরে এসে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে ১১ হাজার ৭৫০ কোটি ডলারের ওই চুক্তিটি করেন। বৈঠকের পর দুই নেতার এক যৌথ বিবৃতিতে নিজেদের সম্পর্ক ‘অন্তহীন’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এশিয়া টাইমসের বিশ্লেষণে বলা হয়, সি-পুতিন যৌথ বিবৃতিতে যাই বলুক, বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে বিস্তর হিসাব কষে পদক্ষেপ নেবে চীন। ক্রিমিয়া দখল আর মূল ইউক্রেনে হামলা ভিন্ন ঘটনা। বলতে গেলে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে চীনের ব্যবসা। তাই, রাশিয়াকে সমর্থন করতে গিয়ে বিদেশে নিজেদের শত শত কোটি ডলারের বিনিয়োগ ক্ষতির মুখে পড়ুক, তা চাইবে না বেইজিং।
তাই বলে, গত শতকের ৮০-৯০-এর দশকের মতো রাশিয়ার বিরোধিতা করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শিবিরে যাওয়ারও কোনো সম্ভাবনা নেই চীনের। এ অবস্থায় ইউক্রেন পরিস্থিতিতে বেইজিং মাঝামাঝি পথ ধরবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এশিয়া টাইমসের বিশ্লেষণে।
যুক্তরাষ্ট্র কেন আগে এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিল? ভারতের মতো একটি সার্বভৌম দেশ কেন তৃতীয় পক্ষকে নিজের পক্ষ থেকে কথা বলার সুযোগ দিল?
১ দিন আগেআন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) গত সপ্তাহে পাকিস্তানকে ১০০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা অনুমোদন করেছে। এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছে ভারত। কারণ, সে সময় দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে সামরিক সংঘাত চলছিল। পরে হঠাৎ করেই যুক্তরাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
১ দিন আগেরাশিয়ার দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের লুহানস্ক অঞ্চলের স্টানিৎসিয়া শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে ট্রান্সফরমার গত ২৬ এপ্রিল উড়িয়ে দিয়েছে একদল গোপন প্রতিরোধকারী। এর আগে গত ১৬ এপ্রিল মেলিতোপোলে রেল অবকাঠামোয় আগুন লাগানো হয়।
২ দিন আগেভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা তাঁদের আগেভাগে জানানো হয়নি। এতে ভারত প্রথমে যুদ্ধবিরতির বিষয়টিকে ‘পাকিস্তানের অনুরোধে হওয়া’ বলে উপস্থাপন করতে পারছে না। যাহোক, যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতার পর ট্রাম্প ১১ মে কাশ্মীর ইস্যুতেও মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন। কিন্তু ভারত কাশ্মীর ইস্যুতে বহুদিন
২ দিন আগে