সম্পাদকীয়
মানবসভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে প্রভাবশালী চিন্তাবিদ ছিলেন কার্ল মার্ক্স। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন সমাজবিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ, দার্শনিক ও রাজনীতিবিদ।
অপার নিষ্ঠা, অধ্যবসায় ও একাগ্রতা নিয়ে তিনি সারা জীবন জ্ঞানের চর্চা করেছেন শুধু মানুষের মুক্তির পথ অন্বেষণের জন্য। এ জন্য তিনি অনুসরণ করেছেন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। প্রশ্ন করতে বাকি রাখেননি কোনো কিছুকেই, সবকিছুই বিচার করেছেন যুক্তি, তথ্য আর প্রমাণের নিপুণ নিক্তিতে। আর মার্ক্সের বিরোধটা বরাবরই শাসকশ্রেণির বিরুদ্ধে ছিল।
তাঁর জ্ঞানচর্চার ব্যাপ্তি সুবৃহৎ পরিসরে ছিল। একজীবনে এই মানুষটি এত লিখেছেন এবং আরও কিছু লেখার জন্য এত বেশি প্রস্তুতি নিয়ে নোট করে রেখেছিলেন যে সবকিছু শেষ করে যেতে পারেননি। এখনো তিনি বিতর্ক তৈরি করেন পণ্ডিতদের মধ্যে।
অর্থনীতিতে মার্ক্সের সবচেয়ে বড় অবদান পুঁজির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ। জার্মান অর্থনীতিবিদ ডেভিড রিকার্ডো ও অ্যাডাম স্মিথের সীমাবদ্ধতাকে তিনি অতিক্রম করেছেন তাঁর বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মপদ্ধতির মাধ্যমে। তিনি তাঁর বিখ্যাত ‘পুঁজি’ গ্রন্থটিতে অর্থনীতির যুগান্তকারী সব প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন।
তাঁর স্বকীয়তা শুধু জ্ঞানের সাধনায় ছিল না। অন্যান্য দার্শনিকের মতো মার্ক্স নিজেকে শুধু জ্ঞানচর্চায় সীমাবদ্ধ রাখেননি; বরং শাসকশ্রেণির কঠোর সমালোচনার পাশাপাশি তিনি ছিলেন রাজনৈতিক সংগঠকও।
রাজনৈতিক দর্শন ও কার্যক্রমের জন্যই মার্ক্সের জীবন কেটেছে ইউরোপের এক দেশ থেকে আরেক দেশে, রাজতন্ত্র বা কর্তৃত্ববাদী সরকারের তাড়া খেয়ে। নিপাট, নির্ঝঞ্ঝাট বুদ্ধিজীবীর জীবন ছেড়ে ইউরোপের শ্রমিকশ্রেণির মধ্যে বিপ্লবের মন্ত্র ফেরি করে বেড়িয়েছেন মার্ক্স। আর্থিক সংকট, স্বাস্থ্যসমস্যা, রাষ্ট্রের তাড়া ও মামলা—কোনো কিছুই থামাতে পারেনি তাঁকে তাঁর সক্রিয়তা থেকে। তাই তিনি হয়ে উঠেছিলেন তাঁর বিপ্লবী তত্ত্বের জীবন্ত প্রতিমূর্তি।
এই মহান বিপ্লবী ১৮৮৩ সালের ১৪ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর সময় তাঁর কোনো জাতীয়তা বা কোনো দেশের নাগরিকত্বের পরিচয় ছিল না।
মানবসভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে প্রভাবশালী চিন্তাবিদ ছিলেন কার্ল মার্ক্স। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন সমাজবিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ, দার্শনিক ও রাজনীতিবিদ।
অপার নিষ্ঠা, অধ্যবসায় ও একাগ্রতা নিয়ে তিনি সারা জীবন জ্ঞানের চর্চা করেছেন শুধু মানুষের মুক্তির পথ অন্বেষণের জন্য। এ জন্য তিনি অনুসরণ করেছেন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। প্রশ্ন করতে বাকি রাখেননি কোনো কিছুকেই, সবকিছুই বিচার করেছেন যুক্তি, তথ্য আর প্রমাণের নিপুণ নিক্তিতে। আর মার্ক্সের বিরোধটা বরাবরই শাসকশ্রেণির বিরুদ্ধে ছিল।
তাঁর জ্ঞানচর্চার ব্যাপ্তি সুবৃহৎ পরিসরে ছিল। একজীবনে এই মানুষটি এত লিখেছেন এবং আরও কিছু লেখার জন্য এত বেশি প্রস্তুতি নিয়ে নোট করে রেখেছিলেন যে সবকিছু শেষ করে যেতে পারেননি। এখনো তিনি বিতর্ক তৈরি করেন পণ্ডিতদের মধ্যে।
অর্থনীতিতে মার্ক্সের সবচেয়ে বড় অবদান পুঁজির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ। জার্মান অর্থনীতিবিদ ডেভিড রিকার্ডো ও অ্যাডাম স্মিথের সীমাবদ্ধতাকে তিনি অতিক্রম করেছেন তাঁর বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মপদ্ধতির মাধ্যমে। তিনি তাঁর বিখ্যাত ‘পুঁজি’ গ্রন্থটিতে অর্থনীতির যুগান্তকারী সব প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন।
তাঁর স্বকীয়তা শুধু জ্ঞানের সাধনায় ছিল না। অন্যান্য দার্শনিকের মতো মার্ক্স নিজেকে শুধু জ্ঞানচর্চায় সীমাবদ্ধ রাখেননি; বরং শাসকশ্রেণির কঠোর সমালোচনার পাশাপাশি তিনি ছিলেন রাজনৈতিক সংগঠকও।
রাজনৈতিক দর্শন ও কার্যক্রমের জন্যই মার্ক্সের জীবন কেটেছে ইউরোপের এক দেশ থেকে আরেক দেশে, রাজতন্ত্র বা কর্তৃত্ববাদী সরকারের তাড়া খেয়ে। নিপাট, নির্ঝঞ্ঝাট বুদ্ধিজীবীর জীবন ছেড়ে ইউরোপের শ্রমিকশ্রেণির মধ্যে বিপ্লবের মন্ত্র ফেরি করে বেড়িয়েছেন মার্ক্স। আর্থিক সংকট, স্বাস্থ্যসমস্যা, রাষ্ট্রের তাড়া ও মামলা—কোনো কিছুই থামাতে পারেনি তাঁকে তাঁর সক্রিয়তা থেকে। তাই তিনি হয়ে উঠেছিলেন তাঁর বিপ্লবী তত্ত্বের জীবন্ত প্রতিমূর্তি।
এই মহান বিপ্লবী ১৮৮৩ সালের ১৪ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর সময় তাঁর কোনো জাতীয়তা বা কোনো দেশের নাগরিকত্বের পরিচয় ছিল না।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার গোরকই গ্রামে রয়েছে প্রাচীন এক মন্দির। গোরক্ষনাথ মন্দির বা গোরকই মন্দির নামেই এটি পরিচিত। মন্দির প্রাঙ্গণে তিনটি শিবমন্দির, একটি কালীমন্দির ও একটি নাথমন্দির ও নাথ আশ্রমের পাশাপাশি রয়েছে বড় বড় কালো পাথর দিয়ে নির্মিত রহস্যময় এক কূপ। কথিত আছে, গুপ্ত যুগ থেকে সেন...
৬ ঘণ্টা আগেআর এক বছর পর ৪০-এর কোঠায় পৌঁছাবে বয়স। হঠাৎ পদোন্নতি হলো পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করা ক্যারেন উডসের। এখন থেকে ই-মেইল লিখতে হবে তাঁকে। কিন্তু তিনি তো নিরক্ষর। কীভাবে পড়তে-লিখতে হয় জানেন না। প্রথমে বেশ লজ্জায় পড়ে যান। সবাই জেনে ফেললে কী ভাববে! তবে, সেই লজ্জা-ভয় তাঁকে আটকে রাখেনি। বরং নতুন পথ...
৪ দিন আগেতখন দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ আর বাংলার সুবেদার ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ। সেই সময় হজরত শাহজালাল (রহ.) ও অন্যান্য আউলিয়ার সঙ্গে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে ১৩৫১ সালে এ দেশে আসেন হজরত রাস্তি শাহ (র.)। তিনি ছিলেন বড়পীর আবদুল কাদের জিলানির আত্মীয়। কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে ধর্ম প্রচার করতে এসে রাস্তি...
৮ দিন আগেগাইবান্ধা জেলার মীরের বাগান একসময় ছিল বন-জঙ্গলে ভরা। ১৯০০ সালে সৈয়দ ওয়াজেদ আলী নামের এক দরবেশ এদিকটায় এসে জঙ্গল পরিষ্কার করতে গিয়ে খুঁজে পান একটি মসজিদ ও তিন আউলিয়ার মাজার। মসজিদটির দেয়ালে খোদাই করা লিপি থেকে জানা যায়, এটি হাজার বছর আগে ১০১১ সালে নির্মিত।
৯ দিন আগে