সম্পাদকীয়
রিজিয়া রহমান ভীষণভাবে নির্জনতাপ্রিয় লেখক ছিলেন। এক অর্থে নির্জনতাই তাঁর জীবন ও লেখালেখির মূল শক্তি ছিল। তিনি লেখালেখিকে সাংসারিক কাজের ফাঁকে অবসরের কাজ হিসেবে গ্রহণ করেননি। তিনি একজন পূর্ণকালীন লেখক ছিলেন। লেখার প্রতি সৎ ও নিবেদিত থাকার প্রত্যয়ে কলেজের অধ্যাপনার চাকরিও ছেড়ে দিয়েছিলেন। ‘বং থেকে বাংলা’ এবং অন্যান্য ইতিহাসভিত্তিক উপন্যাস লেখার সময় দীর্ঘ পাঠ-প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিলেন। বাঙালির নৃতাত্ত্বিক আত্মপরিচয়কে উপন্যাসের বিষয় করে তিনি অনন্য দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন। সমাজের রুগ্ণ ও পঙ্কিলতার অন্ধকার দিকটিও তাঁর লেখায় ধরা পড়েছে ভিন্ন আঙ্গিকে।
প্রাচীন ইতিহাসের চরিত্র, বারবনিতা, চা-শ্রমিক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, খনিশ্রমিক, হাঙর শিকারি ইত্যাদি বিচিত্র চরিত্র তাঁর সৃষ্টির মধ্যে ফুটিয়ে তুলেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘অগ্নি-স্বাক্ষর’ এবং প্রথম উপন্যাস ‘ঘর ভাঙা ঘর’ প্রকাশিত হয়েছিল। প্রথম উপন্যাসেই রিজিয়া রহমানের জীবনদর্শন বা শিল্পীসত্তার স্বরূপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
রিজিয়া রহমানের জন্ম ১৯৩৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর কলকাতার ভবানীপুরে। পরিবারের সবাই তাঁকে ডাকত ‘জোনাকী’ নামে। ’৫২ সালে বাবার মৃত্যুর পর ঢাকার শাইনপুকুরে নানাবাড়িতে আসেন। পরে মামার বাসা চাঁদপুরে থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। একপর্যায়ে প্রাইভেট পরীক্ষা দিয়ে ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর তাঁর বিয়ে হয়। ইডেন মহিলা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেন।
সাহিত্য পত্রিকা ‘ত্রিভুজ’-এর সম্পাদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু হয় তাঁর। এরপর দায়িত্ব পালন করেছেন জাতীয় জাদুঘরের ট্রাস্টি, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের কার্য পরিচালক এবং বাংলা একাডেমির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে।
তাঁর লেখকজীবনের অধিকাংশ সময় তিনি প্রধানত গল্প-উপন্যাসই লিখেছেন। উপন্যাস লিখেছেন মোট ৩৩টি। এর বাইরে কয়েকটি ছোটগল্প ও শিশুতোষ গ্রন্থ আছে তাঁর।
২০১৯ সালের ১৬ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
রিজিয়া রহমান ভীষণভাবে নির্জনতাপ্রিয় লেখক ছিলেন। এক অর্থে নির্জনতাই তাঁর জীবন ও লেখালেখির মূল শক্তি ছিল। তিনি লেখালেখিকে সাংসারিক কাজের ফাঁকে অবসরের কাজ হিসেবে গ্রহণ করেননি। তিনি একজন পূর্ণকালীন লেখক ছিলেন। লেখার প্রতি সৎ ও নিবেদিত থাকার প্রত্যয়ে কলেজের অধ্যাপনার চাকরিও ছেড়ে দিয়েছিলেন। ‘বং থেকে বাংলা’ এবং অন্যান্য ইতিহাসভিত্তিক উপন্যাস লেখার সময় দীর্ঘ পাঠ-প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিলেন। বাঙালির নৃতাত্ত্বিক আত্মপরিচয়কে উপন্যাসের বিষয় করে তিনি অনন্য দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন। সমাজের রুগ্ণ ও পঙ্কিলতার অন্ধকার দিকটিও তাঁর লেখায় ধরা পড়েছে ভিন্ন আঙ্গিকে।
প্রাচীন ইতিহাসের চরিত্র, বারবনিতা, চা-শ্রমিক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, খনিশ্রমিক, হাঙর শিকারি ইত্যাদি বিচিত্র চরিত্র তাঁর সৃষ্টির মধ্যে ফুটিয়ে তুলেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘অগ্নি-স্বাক্ষর’ এবং প্রথম উপন্যাস ‘ঘর ভাঙা ঘর’ প্রকাশিত হয়েছিল। প্রথম উপন্যাসেই রিজিয়া রহমানের জীবনদর্শন বা শিল্পীসত্তার স্বরূপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
রিজিয়া রহমানের জন্ম ১৯৩৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর কলকাতার ভবানীপুরে। পরিবারের সবাই তাঁকে ডাকত ‘জোনাকী’ নামে। ’৫২ সালে বাবার মৃত্যুর পর ঢাকার শাইনপুকুরে নানাবাড়িতে আসেন। পরে মামার বাসা চাঁদপুরে থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। একপর্যায়ে প্রাইভেট পরীক্ষা দিয়ে ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর তাঁর বিয়ে হয়। ইডেন মহিলা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেন।
সাহিত্য পত্রিকা ‘ত্রিভুজ’-এর সম্পাদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু হয় তাঁর। এরপর দায়িত্ব পালন করেছেন জাতীয় জাদুঘরের ট্রাস্টি, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের কার্য পরিচালক এবং বাংলা একাডেমির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে।
তাঁর লেখকজীবনের অধিকাংশ সময় তিনি প্রধানত গল্প-উপন্যাসই লিখেছেন। উপন্যাস লিখেছেন মোট ৩৩টি। এর বাইরে কয়েকটি ছোটগল্প ও শিশুতোষ গ্রন্থ আছে তাঁর।
২০১৯ সালের ১৬ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
... স্কুলে থাকতেই, দীপা দত্তের বাবা সুধাংশু বিমল দত্ত আমাদের এলাকার কমিউনিস্ট এমপি ছিলেন। ওখানে ভাষা আন্দোলনের ধাক্কাটা তীব্রভাবে লাগলো। ভাষা আন্দোলনের একজন নেতা হলেন প্রিন্সিপাল কাশেম।... তারপরে ধরো এই কমিউনিস্ট আন্দোলন, আমাদের ওখানে তখন বড় বড় নেতা যেমন আহসাব উদ্দীন সাহেব, ওখানে মিটিং করতে আসতেন।
১২ ঘণ্টা আগে...রাজনৈতিক বিশ্বাসকে যদি কবিতায় উত্তীর্ণ করা যায়, তাহলে সেটা কবিতা থাকবে, কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্বাসকে যদি স্লোগান হিসেবে ব্যবহার করা হয় কবিতায়, তাহলে সেটা আর কবিতা থাকবে না। কিন্তু উচ্চকণ্ঠ হলে যে কবিতা হবে না, আমি সেটা বিশ্বাস করি না। নেরুদা যথেষ্ট উচ্চকণ্ঠ রাজনৈতিক কবিতা লিখেছেন এবং সেগুলো যথেষ্ট..
৮ দিন আগেভ্যান গঘ হচ্ছেন সেই শিল্পী, যিনি জীবদ্দশায় তাঁর কীর্তির জন্য বাহবা পাননি। তাঁর আঁকা ছবি পেয়েছে শুধু তাচ্ছিল্য। ভ্যান গঘ বড় শিল্পী হিসেবে স্বীকৃত হন মরণের পর। একটা অসুখ ছিল তাঁর। মানসিক অসুখ। সেই অসুখ তাঁকে স্বস্তি দেয়নি।
১৪ দিন আগেএমএ পড়ার সময় আমি কবিতা লিখেছি, প্রবন্ধ লিখেছি; কিন্তু কোনো গোষ্ঠীতে যোগ দিইনি। আমি দেখেছি কবি হওয়ার জন্যেও সাহিত্যিক রাজনীতি লাগে, বিভিন্ন সংঘে যোগ দিতে হয়, গুরু ধরতে হয়, অনেকের কাছে খুব বিনীত থাকতে হয়, লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে গাঁজাটাজা খেতে হয়, বেশ্যাবাড়ি যেতে হয়—আমি এসব করিনি।
১৫ দিন আগে