দ্বিজেন শর্মা ছিলেন প্রকৃতিবিদ, শিক্ষক ও বিজ্ঞান লেখক।
দ্বিজেন শর্মার জন্ম ১৯২৯ সালের ২৯ মে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামে। তাঁর পড়াশোনা শুরু হয় গ্রামের পাঠশালায়। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েন পিসি হাইস্কুলে। এরপর আসামের করিমগঞ্জ পাবলিক হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন।
এরপর করিমগঞ্জ কলেজে আইএসসিতে ভর্তি হন। কিন্তু গণিতভীতির কারণে এ কলেজ ছেড়ে দিয়ে আগরতলার মহারাজা বীরবিক্রম কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন। কলকাতার সিটি কলেজ থেকে বিএসসি পাস করার পর করিমগঞ্জ কলেজে উদ্ভিদবিজ্ঞানের ডেমোনস্ট্রেটর পদে চাকরি শুরু করেন। সেখান থেকে যোগ দেন বরিশালের বিএম কলেজে একই পদে। চাকরি করা অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর পাস করার পর বিএম কলেজে প্রভাষক পদে যোগদান করেন।
পাকিস্তান আমলে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে প্রবল ছাত্র-আন্দোলন শুরু হয়। তিনি তখন বরিশাল বিএম কলেজের ছাত্র হোস্টেলের সুপারিনটেনডেন্ট। আন্দোলনরত ছাত্রদের সহযোগিতা করার অভিযোগে গোয়েন্দা পুলিশ তাঁকে জেলবন্দী করে। জেল থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৬২ সালে বরিশাল ছেড়ে ঢাকায় চলে আসার পর দ্বিজেন শর্মা কিছু সময় তৎকালীন কায়েদে আজম কলেজ, সেন্ট্রাল উইমেনস কলেজ ও বাংলা কলেজে শিক্ষকতা করেন। এরপর যোগ দেন নটর ডেম কলেজে।
১৯৭৪ সালে দ্বিজেন শর্মা সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রগতি প্রকাশনের অনুবাদকের চাকরি নিয়ে সপরিবারে মস্কো চলে যান। সেখান থেকে ফিরে ঢাকায় এশিয়াটিক সোসাইটির বাংলাপিডিয়া প্রকল্পের অন্যতম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
দ্বিজেন শর্মার লেখা গুরুত্বপূর্ণ বই শ্যামলী নিসর্গ, সমাজতন্ত্রে বসবাস, কুরচি তোমার লাগি, বিজ্ঞান ও শিক্ষা: দায়বদ্ধতার নিরিখ, গহন কোন বনের ধারে প্রভৃতি। তিনি মানুষকে প্রকৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করতেন। প্রকৃতিকে জয় করা নয়, তাকে ভালোবেসে তার অংশ হয়ে স্নিগ্ধ সুন্দর জীবনযাপনের দিকে তিনি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। দ্বিজেন শর্মা ২০১৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
দ্বিজেন শর্মার জন্ম ১৯২৯ সালের ২৯ মে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামে। তাঁর পড়াশোনা শুরু হয় গ্রামের পাঠশালায়। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েন পিসি হাইস্কুলে। এরপর আসামের করিমগঞ্জ পাবলিক হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন।
এরপর করিমগঞ্জ কলেজে আইএসসিতে ভর্তি হন। কিন্তু গণিতভীতির কারণে এ কলেজ ছেড়ে দিয়ে আগরতলার মহারাজা বীরবিক্রম কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন। কলকাতার সিটি কলেজ থেকে বিএসসি পাস করার পর করিমগঞ্জ কলেজে উদ্ভিদবিজ্ঞানের ডেমোনস্ট্রেটর পদে চাকরি শুরু করেন। সেখান থেকে যোগ দেন বরিশালের বিএম কলেজে একই পদে। চাকরি করা অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর পাস করার পর বিএম কলেজে প্রভাষক পদে যোগদান করেন।
পাকিস্তান আমলে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে প্রবল ছাত্র-আন্দোলন শুরু হয়। তিনি তখন বরিশাল বিএম কলেজের ছাত্র হোস্টেলের সুপারিনটেনডেন্ট। আন্দোলনরত ছাত্রদের সহযোগিতা করার অভিযোগে গোয়েন্দা পুলিশ তাঁকে জেলবন্দী করে। জেল থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৬২ সালে বরিশাল ছেড়ে ঢাকায় চলে আসার পর দ্বিজেন শর্মা কিছু সময় তৎকালীন কায়েদে আজম কলেজ, সেন্ট্রাল উইমেনস কলেজ ও বাংলা কলেজে শিক্ষকতা করেন। এরপর যোগ দেন নটর ডেম কলেজে।
১৯৭৪ সালে দ্বিজেন শর্মা সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রগতি প্রকাশনের অনুবাদকের চাকরি নিয়ে সপরিবারে মস্কো চলে যান। সেখান থেকে ফিরে ঢাকায় এশিয়াটিক সোসাইটির বাংলাপিডিয়া প্রকল্পের অন্যতম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
দ্বিজেন শর্মার লেখা গুরুত্বপূর্ণ বই শ্যামলী নিসর্গ, সমাজতন্ত্রে বসবাস, কুরচি তোমার লাগি, বিজ্ঞান ও শিক্ষা: দায়বদ্ধতার নিরিখ, গহন কোন বনের ধারে প্রভৃতি। তিনি মানুষকে প্রকৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করতেন। প্রকৃতিকে জয় করা নয়, তাকে ভালোবেসে তার অংশ হয়ে স্নিগ্ধ সুন্দর জীবনযাপনের দিকে তিনি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। দ্বিজেন শর্মা ২০১৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
১৬৪৯ সালে যশোরের ফৌজদার হিসেবে নিযুক্ত হন বাংলার সুবেদার শাহ সুজার শ্যালকপুত্র মীর্জা সাফসি খান। কপোতাক্ষ নদের তীরে যে মীর্জানগর গ্রাম, সেটি কিন্তু তাঁরই নামানুসারে। সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে ফৌজদার হন নুরল্লা খাঁ। তিনি এই গ্রামে বুড়িভদ্রা নদীর তীরে সুবিস্তৃত পরিখা খনন করে আট-দশ ফুট উঁচু...
৩ দিন আগেঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার গোরকই গ্রামে রয়েছে প্রাচীন এক মন্দির। গোরক্ষনাথ মন্দির বা গোরকই মন্দির নামেই এটি পরিচিত। মন্দির প্রাঙ্গণে তিনটি শিবমন্দির, একটি কালীমন্দির ও একটি নাথমন্দির ও নাথ আশ্রমের পাশাপাশি রয়েছে বড় বড় কালো পাথর দিয়ে নির্মিত রহস্যময় এক কূপ। কথিত আছে, গুপ্ত যুগ থেকে সেন...
৬ দিন আগেআর এক বছর পর ৪০-এর কোঠায় পৌঁছাবে বয়স। হঠাৎ পদোন্নতি হলো পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করা ক্যারেন উডসের। এখন থেকে ই-মেইল লিখতে হবে তাঁকে। কিন্তু তিনি তো নিরক্ষর। কীভাবে পড়তে-লিখতে হয় জানেন না। প্রথমে বেশ লজ্জায় পড়ে যান। সবাই জেনে ফেললে কী ভাববে! তবে, সেই লজ্জা-ভয় তাঁকে আটকে রাখেনি। বরং নতুন পথ...
১০ দিন আগেতখন দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ আর বাংলার সুবেদার ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ। সেই সময় হজরত শাহজালাল (রহ.) ও অন্যান্য আউলিয়ার সঙ্গে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে ১৩৫১ সালে এ দেশে আসেন হজরত রাস্তি শাহ (র.)। তিনি ছিলেন বড়পীর আবদুল কাদের জিলানির আত্মীয়। কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে ধর্ম প্রচার করতে এসে রাস্তি...
১৪ দিন আগে