সম্পাদকীয়
শিক্ষাবিদ, গবেষক, লোক-সাহিত্যবিশারদ ও বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার দীনেশচন্দ্র সেনের জন্ম ১৮৬৬ সালের ৩ নভেম্বর অবিভক্ত মানিকগঞ্জের ধামরাইয়ের বকজুরি গ্রামে মাতুলালয়ে। তিনি জগন্নাথ স্কুল থেকে এনট্রান্স, ঢাকা কলেজ থেকে এফএ এবং বহিরাগত ছাত্র হিসেবে পরীক্ষা দিয়ে বিএ পাস করেন। তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় সিলেটের হবিগঞ্জ স্কুলে। পরে তিনি কুমিল্লার শম্ভুনাথ ইনস্টিটিউশন ও ভিক্টোরিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। দীনেশচন্দ্র সেনের সবচেয়ে বড় অবদান—নিষ্ঠাবান গবেষক হিসেবে বাংলাদেশ তথা পূর্ব বঙ্গের লুপ্তপ্রায় লোকসাহিত্য বিলুপ্তির হাত থেকে উদ্ধার করা।
বাংলা সাহিত্যের প্রথম ইতিহাসগ্রন্থ ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ তাঁর অসাধারণ কাজ। এ বই রচনাকালে তাঁর সামনে মুদ্রিত বইয়ের কোনো দৃষ্টান্ত তেমন ছিল না। বিপুল শ্রম স্বীকার করে তিনি কুমিল্লা ও আশপাশের অঞ্চল থেকে তিন শতাধিক বাংলা পুঁথি সংগ্রহ করেন। এর ওপর ভিত্তি করেই তিনি বইটি রচনা করেন। প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের ওপর এটি একটি সুশৃঙ্খল ও ধারাবাহিক তথ্যসমৃদ্ধ গবেষণাগ্রন্থ, যা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ সমকালের পণ্ডিতদের প্রশংসা লাভ করে।
১৯১৩ থেকে ১৯৩২ সাল পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রামতনু লাহিড়ী রিসার্চ’ ফেলো হিসেবে তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো চার খণ্ডে ‘পূর্ব্ববঙ্গ-গীতিকা’ সম্পাদনা। তিনি এগুলোকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে ‘ইস্টার্ন বেঙ্গল ব্যালাডস’ নামেও প্রকাশ করেন। এর প্রথম খণ্ডটির নামকরণ করেন মৈমনসিংহ-গীতিকা।
তাঁর সাধকসুলভ নিষ্ঠা পক্ষপাতমুক্ত ছিল বলেই বাংলা সাহিত্য বিকাশে মুসলমানদের অবদানকে তিনি নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে তুলে ধরেছেন ‘প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান’ গ্রন্থে।
তাঁর বাংলা গ্রন্থগুলো হলো: বঙ্গ-সাহিত্য পরিচয়, সরল বাঙ্গালা সাহিত্য, ঘরের কথা ও যুগসাহিত্য, বৃহৎ বঙ্গ (দুই খণ্ড), আশুতোষ-স্মৃতিকথা ও বাংলার পুরনারী প্রভৃতি। ‘ঘরের
কথা ও যুগসাহিত্য’ গ্রন্থটি তাঁর আত্মজীবনী। সাহিত্য ও গবেষণায় অবদানের জন্য ১৯২১ সালে ভারত সরকার তাঁকে ‘রায়বাহাদুর’ উপাধি প্রদান করে। আর ১৯৩১ সালে পান জগত্তারিণী স্বর্ণপদক।
১৯৩৯ সালের ২০ নভেম্বর তিনি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
শিক্ষাবিদ, গবেষক, লোক-সাহিত্যবিশারদ ও বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার দীনেশচন্দ্র সেনের জন্ম ১৮৬৬ সালের ৩ নভেম্বর অবিভক্ত মানিকগঞ্জের ধামরাইয়ের বকজুরি গ্রামে মাতুলালয়ে। তিনি জগন্নাথ স্কুল থেকে এনট্রান্স, ঢাকা কলেজ থেকে এফএ এবং বহিরাগত ছাত্র হিসেবে পরীক্ষা দিয়ে বিএ পাস করেন। তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় সিলেটের হবিগঞ্জ স্কুলে। পরে তিনি কুমিল্লার শম্ভুনাথ ইনস্টিটিউশন ও ভিক্টোরিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। দীনেশচন্দ্র সেনের সবচেয়ে বড় অবদান—নিষ্ঠাবান গবেষক হিসেবে বাংলাদেশ তথা পূর্ব বঙ্গের লুপ্তপ্রায় লোকসাহিত্য বিলুপ্তির হাত থেকে উদ্ধার করা।
বাংলা সাহিত্যের প্রথম ইতিহাসগ্রন্থ ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ তাঁর অসাধারণ কাজ। এ বই রচনাকালে তাঁর সামনে মুদ্রিত বইয়ের কোনো দৃষ্টান্ত তেমন ছিল না। বিপুল শ্রম স্বীকার করে তিনি কুমিল্লা ও আশপাশের অঞ্চল থেকে তিন শতাধিক বাংলা পুঁথি সংগ্রহ করেন। এর ওপর ভিত্তি করেই তিনি বইটি রচনা করেন। প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের ওপর এটি একটি সুশৃঙ্খল ও ধারাবাহিক তথ্যসমৃদ্ধ গবেষণাগ্রন্থ, যা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ সমকালের পণ্ডিতদের প্রশংসা লাভ করে।
১৯১৩ থেকে ১৯৩২ সাল পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রামতনু লাহিড়ী রিসার্চ’ ফেলো হিসেবে তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো চার খণ্ডে ‘পূর্ব্ববঙ্গ-গীতিকা’ সম্পাদনা। তিনি এগুলোকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে ‘ইস্টার্ন বেঙ্গল ব্যালাডস’ নামেও প্রকাশ করেন। এর প্রথম খণ্ডটির নামকরণ করেন মৈমনসিংহ-গীতিকা।
তাঁর সাধকসুলভ নিষ্ঠা পক্ষপাতমুক্ত ছিল বলেই বাংলা সাহিত্য বিকাশে মুসলমানদের অবদানকে তিনি নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে তুলে ধরেছেন ‘প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান’ গ্রন্থে।
তাঁর বাংলা গ্রন্থগুলো হলো: বঙ্গ-সাহিত্য পরিচয়, সরল বাঙ্গালা সাহিত্য, ঘরের কথা ও যুগসাহিত্য, বৃহৎ বঙ্গ (দুই খণ্ড), আশুতোষ-স্মৃতিকথা ও বাংলার পুরনারী প্রভৃতি। ‘ঘরের
কথা ও যুগসাহিত্য’ গ্রন্থটি তাঁর আত্মজীবনী। সাহিত্য ও গবেষণায় অবদানের জন্য ১৯২১ সালে ভারত সরকার তাঁকে ‘রায়বাহাদুর’ উপাধি প্রদান করে। আর ১৯৩১ সালে পান জগত্তারিণী স্বর্ণপদক।
১৯৩৯ সালের ২০ নভেম্বর তিনি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
পঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
১ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
৫ দিন আগে...সাধারণ মানুষের অসীম দুঃখ-দুর্দশা আর বুর্জোয়া শাসকশ্রেণির অন্তর্গত কুৎসিত ক্ষমতালিপ্সা ও প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতি উচ্ছেদ করার নির্মম কর্মকাণ্ড দেখার পর, যেকোনো পরিণত কিশোর কোনো না কোনো প্রগতিশীল বামপন্থী রাজনৈতিক ভাবাদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হবে—সমসাময়িক কালে সেটাই নিতান্ত স্বাভাবিক ছিল।
৬ দিন আগে২০০১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাত্র কয়েক ঘণ্টায় অ্যানা কুর্নিকোভা ভাইরাসটি তৈরি করেন নেদারল্যান্ডসের এক তরুণ, জান ডে উইট। ভাইরাসটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার কিছু দিন পর তিনি বুঝতে পারেন—তাঁর তৈরি এই ভাইরাস অনেক মানুষকে বিপদে ফেলেছে এবং বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করেছে। তখন তিনি বিষয়টি বাবা-মাকে জানান এবং নিজেই
৯ দিন আগে