রিক্তা রিচি, ঢাকা
রোজ সন্ধ্যায় তাজমহল রোডের চায়ের দোকানগুলো বেশ জমে ওঠে। মানুষ গমগম করে এখানে। শুক্র, শনি কিংবা যেকোনো ছুটির দিন হলে তো কথাই নেই। মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের নাক বরাবর যে সড়ক কৃষি মার্কেটের দিকে গেছে, সেখানেই রয়েছে বেশ কয়েকটি চায়ের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ। আরেকটু সহজ করে বললে বলতে হয় প্রিন্স বাজারের পেছনে তেলের মিলের গলি।
বন্ধুবান্ধব নিয়ে এই সড়কেই আড্ডা দিতে আসেন আশপাশের মানুষ। দূর থেকেও আসেন অনেকে। সেদিন সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। বন্ধুদের সঙ্গে রস-রসিকতা নিয়ে ব্যস্ত যখন, তখন আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করলেন এক বৃদ্ধ নারী। বয়সের ভারে কুঁজো হয়ে গেছেন। কুঁজো শরীর নিয়ে হেঁটে হেঁটে এ এলাকায় ভিক্ষা করেন তিনি। এসব তথ্য জানলাম তাঁর সঙ্গে আলাপের পরই।
আগেই বলেছি, কথা হচ্ছিল তাঁর সঙ্গে। একটা মমতা বা অন্য কিছু তাঁর সঙ্গে আমাদের কথা বলতে বাধ্য করল বলা যায়। কুঁজো হয়ে হেঁটে যাওয়া একজন বয়সী মানুষ কিছু বললে সাড়া না দিয়ে পারা যায় না। আমরাও দিলাম। কথা এগোলো। আমার বন্ধু লামিয়া তাঁকে কিছু টাকা দিল। আমরা তাঁকে টুল পেতে বসতে দিলাম। বললাম, চা খাবেন? আমাদের কৌতূহল চাপা রেখেই চলছিল এসব। বয়সী অভিজ্ঞ চোখে তিনি হয়তো বুঝে থাকবেন এসব। তাই অনেকটা বাধ্য ছাত্রীর মতো বসলেন আমাদের সপ্রশ্ন কৌতূহলী চোখের সামনে। আমাদেরও করছেন দু-একটা প্রশ্ন। তাঁরও কি কৌতূহল আছে তবে? থাকলে কিসের? সেই প্রশ্ন অবশ্য করা হয় না আর।
বরং সাদামাটা আলাপে জানতে চাইলাম তাঁর নাম। বললেন—মরিয়ম। শুনেই মনে হলো যিশুর কথা। মনে হলো মাতা মেরির কথা। মনে পড়ল লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চিকে, মনে পড়ল ভার্জিন অব দ্য রকস। ভালো করে তাকাই আবার আমাদের মরিয়মের দিকে, যাঁর বাড়ি শরীয়তপুরে। ঢাকায় থাকেন অনেক বছর ধরে। কিশোরী থাকতেই এক সন্তানের মা হলেন। সেই সন্তান নিয়েই স্বামীর সঙ্গে আসেন ঢাকায়। স্বামী কাজ করতেন রং নিয়ে। রংমিস্ত্রি ছিলেন কি না, বোঝা গেল না। রঙের কথায়, সঙ্গীর কথায় আমাদের অনভ্যস্ত চোখ তখন খুঁজছিল রঙের আভাস। তাঁরও কী? স্বামীর কথা বলতে বলতে কেমন যেন হয়ে উঠলেন মরিয়ম। মনে হলো তাঁর মনের আকাশে উঁকি দিচ্ছে হাজারো স্মৃতি-বিস্মৃতির গল্প।
ইতিমধ্যে চা চলে এসেছে। চায়ে চুমুক দিয়ে উদ্গ্রীব কান পাতি। কিন্তু কথা বলতে বেশ কষ্ট হয় মরিয়মের। মুখে কথারা দড়ির মতো জড়িয়ে যায়। সুস্পষ্ট উচ্চারণও হয় না। কীভাবে হবে? বয়স যে আশির ঘরে। চায়ে দু চুমুক দেওয়ার পর আমাদের দিকে তাকালেন। বললেন—‘স্বামীডা ভালা ছিল না। জুয়া খেলত। অনেক মারধর করত। অনেক কষ্ট দিত আমারে। এসব জ্বালা তোমরা এহন বুঝবা না; পরে বুঝবা। এহনও তো বিয়া করো নাই। বিয়া করলে বুঝবা।’
‘আপনার স্বামী এখন কী করে?’ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা। বললেন, দশ বছর আগে মারা গেছে। সন্তানও নেই তাঁর। আমরা বাদ সাধি। বলি, এক সন্তান যে হয়েছিল ঢাকায় আসার আগে, তার কী হলো? বললেন, এক সন্তান ছিল, সেও কোনো এক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। বলতে বলতে আবারও চায়ে চুমুক দিলেন।
কথাগুলো শুনে শীত-সন্ধ্যার কিছু মুহূর্ত আমরাও ভারাক্রান্ত হয়ে গেলাম। মনে অনেক কথা ঘুরে গেল, বলা হলো না। শেষে জানতে চাইলাম—এই বয়সে কোথায় থাকেন, কীভাবে চলে সংসার? মরিয়ম জানালেন, কৃষি মার্কেটের এই দিকেই একটা ঘরে থাকেন তিনি। একারই সংসার। ঘরে আর কেউ নেই। মাস শেষে গুনতে হয় ৪ হাজার টাকা। এই টাকা তিনি ভিক্ষা করে পান। রোজ তাজমহল রোড-কৃষি মার্কেট এলাকায় ভিক্ষা করেন। নিজেই বাজার করেন, রান্না করেন।
কিন্তু অসুস্থ হলে সেবা-যত্নের প্রশ্ন উঠতেই বেশ দৃঢ়তার সঙ্গে মরিয়ম বললেন, ‘আশপাশের মানুষ আছে না? ওরাই সেবা করে। মানুষ কি মানুষরে ফালাইয়্যা দিতে পারে!’
উত্তরটা শুনে থমকে গেলাম। চলে গেলাম সেদিনেরই, অর্থাৎ একই দিনের আধা ঘণ্টা আগের স্মৃতিতে।
গজ কাপড় কিনতে একটি দোকানে ঢুকেছিলাম। বিভিন্ন প্রিন্টের কাপড় দেখছিলাম। ছুটির দিন হওয়ায় সাধারণ দিনের তুলনায় একটু বেশিই ভিড় ছিল। স্বাভাবিকভাবে হাঁটা যাচ্ছিল না। কাপড় কেনায় আমরা ব্যস্ত ছিলাম। এর এক ফাঁকেই আমার বন্ধুর ব্যাগের লক ও চেন খুলে মোবাইল নিয়ে গেল কেউ। চারপাশে নারীই বেশি। তাই স্বাভাবিক সন্দেহ—কোনো নারীই হয়তো নিয়েছেন। সন্দেহ আরও গাঢ় হওয়ার কারণ—আমরা যখন কাপড় দেখছিলাম, এক দোকান থেকে অন্য দোকানে যাচ্ছিলাম, তখন বোরকা পরিহিত এক নারী ঘুরঘুর করছিলেন আশপাশে।
কাপড় কেনা শেষে দোকান থেকে বের হয়ে দুই পা এগোতেই পেছন থেকে একজন আমাদের ধাক্কা দিয়েছিল। একটা মুহূর্ত কেবল। এর মধ্যেই ফোনটা চুরি হয়েছে। আমার বন্ধু যখন দেখল ব্যাগের চেইন খোলা, তখন বেশ দেরি হয়ে গেছে। যিনি চুরি করেছেন, তিনি তখন হাওয়া। এত ভিড়ের মধ্যে কে চুরি করেছে, তা বলা মুশকিল। নিজ চোখে না দেখে তো কাউকে দোষারোপ করা যাবে না; ঠিকও নয়। কিন্তু ওই যে ধাক্কা এবং তারপর মোবাইল ফোনের হাওয়া হয়ে যাওয়া—সন্দেহ দানা বেঁধে গাঢ় হতে সময় লাগে কি? লাগে না। যদি ধরেও নিই হঠাৎ ধাক্কা লাগা ওই নারী ফোনটি চুরি করেননি, তবুও কেউ না কেউ তো নিয়েছে এই ভিড়ের সুযোগে। কেউ না কেউ তো ছিল অন্যের ব্যাগে নজর রাখা চোখ নিয়ে। সেও তো আশপাশেই ছিল, যেমন আছেন এই মরিয়ম।
আধা ঘণ্টা আগের ও পরের মানুষ দুজন। তাদের কাজ দুই রকম। একজন আশি-বিরাশি বছর বয়সে চলার শক্তি হারিয়ে ভিক্ষা করেন, আস্থা রাখেন মানুষের ওপর। আরেকজন চুরি করেন; লোক ঠকান। একজন বলছেন—‘মানুষ কি মানুষরে ফালাইয়্যা দিতে পারে!’ মানুষকে তিনি বসিয়েছেন অনেকটা উঁচুতে। অন্যজন মানুষের জিনিসপত্র চুরি করছেন। মানুষকে দেখছেন তিনি সংকীর্ণ জায়গা থেকে।
রোজ সন্ধ্যায় তাজমহল রোডের চায়ের দোকানগুলো বেশ জমে ওঠে। মানুষ গমগম করে এখানে। শুক্র, শনি কিংবা যেকোনো ছুটির দিন হলে তো কথাই নেই। মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের নাক বরাবর যে সড়ক কৃষি মার্কেটের দিকে গেছে, সেখানেই রয়েছে বেশ কয়েকটি চায়ের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ। আরেকটু সহজ করে বললে বলতে হয় প্রিন্স বাজারের পেছনে তেলের মিলের গলি।
বন্ধুবান্ধব নিয়ে এই সড়কেই আড্ডা দিতে আসেন আশপাশের মানুষ। দূর থেকেও আসেন অনেকে। সেদিন সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। বন্ধুদের সঙ্গে রস-রসিকতা নিয়ে ব্যস্ত যখন, তখন আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করলেন এক বৃদ্ধ নারী। বয়সের ভারে কুঁজো হয়ে গেছেন। কুঁজো শরীর নিয়ে হেঁটে হেঁটে এ এলাকায় ভিক্ষা করেন তিনি। এসব তথ্য জানলাম তাঁর সঙ্গে আলাপের পরই।
আগেই বলেছি, কথা হচ্ছিল তাঁর সঙ্গে। একটা মমতা বা অন্য কিছু তাঁর সঙ্গে আমাদের কথা বলতে বাধ্য করল বলা যায়। কুঁজো হয়ে হেঁটে যাওয়া একজন বয়সী মানুষ কিছু বললে সাড়া না দিয়ে পারা যায় না। আমরাও দিলাম। কথা এগোলো। আমার বন্ধু লামিয়া তাঁকে কিছু টাকা দিল। আমরা তাঁকে টুল পেতে বসতে দিলাম। বললাম, চা খাবেন? আমাদের কৌতূহল চাপা রেখেই চলছিল এসব। বয়সী অভিজ্ঞ চোখে তিনি হয়তো বুঝে থাকবেন এসব। তাই অনেকটা বাধ্য ছাত্রীর মতো বসলেন আমাদের সপ্রশ্ন কৌতূহলী চোখের সামনে। আমাদেরও করছেন দু-একটা প্রশ্ন। তাঁরও কি কৌতূহল আছে তবে? থাকলে কিসের? সেই প্রশ্ন অবশ্য করা হয় না আর।
বরং সাদামাটা আলাপে জানতে চাইলাম তাঁর নাম। বললেন—মরিয়ম। শুনেই মনে হলো যিশুর কথা। মনে হলো মাতা মেরির কথা। মনে পড়ল লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চিকে, মনে পড়ল ভার্জিন অব দ্য রকস। ভালো করে তাকাই আবার আমাদের মরিয়মের দিকে, যাঁর বাড়ি শরীয়তপুরে। ঢাকায় থাকেন অনেক বছর ধরে। কিশোরী থাকতেই এক সন্তানের মা হলেন। সেই সন্তান নিয়েই স্বামীর সঙ্গে আসেন ঢাকায়। স্বামী কাজ করতেন রং নিয়ে। রংমিস্ত্রি ছিলেন কি না, বোঝা গেল না। রঙের কথায়, সঙ্গীর কথায় আমাদের অনভ্যস্ত চোখ তখন খুঁজছিল রঙের আভাস। তাঁরও কী? স্বামীর কথা বলতে বলতে কেমন যেন হয়ে উঠলেন মরিয়ম। মনে হলো তাঁর মনের আকাশে উঁকি দিচ্ছে হাজারো স্মৃতি-বিস্মৃতির গল্প।
ইতিমধ্যে চা চলে এসেছে। চায়ে চুমুক দিয়ে উদ্গ্রীব কান পাতি। কিন্তু কথা বলতে বেশ কষ্ট হয় মরিয়মের। মুখে কথারা দড়ির মতো জড়িয়ে যায়। সুস্পষ্ট উচ্চারণও হয় না। কীভাবে হবে? বয়স যে আশির ঘরে। চায়ে দু চুমুক দেওয়ার পর আমাদের দিকে তাকালেন। বললেন—‘স্বামীডা ভালা ছিল না। জুয়া খেলত। অনেক মারধর করত। অনেক কষ্ট দিত আমারে। এসব জ্বালা তোমরা এহন বুঝবা না; পরে বুঝবা। এহনও তো বিয়া করো নাই। বিয়া করলে বুঝবা।’
‘আপনার স্বামী এখন কী করে?’ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা। বললেন, দশ বছর আগে মারা গেছে। সন্তানও নেই তাঁর। আমরা বাদ সাধি। বলি, এক সন্তান যে হয়েছিল ঢাকায় আসার আগে, তার কী হলো? বললেন, এক সন্তান ছিল, সেও কোনো এক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। বলতে বলতে আবারও চায়ে চুমুক দিলেন।
কথাগুলো শুনে শীত-সন্ধ্যার কিছু মুহূর্ত আমরাও ভারাক্রান্ত হয়ে গেলাম। মনে অনেক কথা ঘুরে গেল, বলা হলো না। শেষে জানতে চাইলাম—এই বয়সে কোথায় থাকেন, কীভাবে চলে সংসার? মরিয়ম জানালেন, কৃষি মার্কেটের এই দিকেই একটা ঘরে থাকেন তিনি। একারই সংসার। ঘরে আর কেউ নেই। মাস শেষে গুনতে হয় ৪ হাজার টাকা। এই টাকা তিনি ভিক্ষা করে পান। রোজ তাজমহল রোড-কৃষি মার্কেট এলাকায় ভিক্ষা করেন। নিজেই বাজার করেন, রান্না করেন।
কিন্তু অসুস্থ হলে সেবা-যত্নের প্রশ্ন উঠতেই বেশ দৃঢ়তার সঙ্গে মরিয়ম বললেন, ‘আশপাশের মানুষ আছে না? ওরাই সেবা করে। মানুষ কি মানুষরে ফালাইয়্যা দিতে পারে!’
উত্তরটা শুনে থমকে গেলাম। চলে গেলাম সেদিনেরই, অর্থাৎ একই দিনের আধা ঘণ্টা আগের স্মৃতিতে।
গজ কাপড় কিনতে একটি দোকানে ঢুকেছিলাম। বিভিন্ন প্রিন্টের কাপড় দেখছিলাম। ছুটির দিন হওয়ায় সাধারণ দিনের তুলনায় একটু বেশিই ভিড় ছিল। স্বাভাবিকভাবে হাঁটা যাচ্ছিল না। কাপড় কেনায় আমরা ব্যস্ত ছিলাম। এর এক ফাঁকেই আমার বন্ধুর ব্যাগের লক ও চেন খুলে মোবাইল নিয়ে গেল কেউ। চারপাশে নারীই বেশি। তাই স্বাভাবিক সন্দেহ—কোনো নারীই হয়তো নিয়েছেন। সন্দেহ আরও গাঢ় হওয়ার কারণ—আমরা যখন কাপড় দেখছিলাম, এক দোকান থেকে অন্য দোকানে যাচ্ছিলাম, তখন বোরকা পরিহিত এক নারী ঘুরঘুর করছিলেন আশপাশে।
কাপড় কেনা শেষে দোকান থেকে বের হয়ে দুই পা এগোতেই পেছন থেকে একজন আমাদের ধাক্কা দিয়েছিল। একটা মুহূর্ত কেবল। এর মধ্যেই ফোনটা চুরি হয়েছে। আমার বন্ধু যখন দেখল ব্যাগের চেইন খোলা, তখন বেশ দেরি হয়ে গেছে। যিনি চুরি করেছেন, তিনি তখন হাওয়া। এত ভিড়ের মধ্যে কে চুরি করেছে, তা বলা মুশকিল। নিজ চোখে না দেখে তো কাউকে দোষারোপ করা যাবে না; ঠিকও নয়। কিন্তু ওই যে ধাক্কা এবং তারপর মোবাইল ফোনের হাওয়া হয়ে যাওয়া—সন্দেহ দানা বেঁধে গাঢ় হতে সময় লাগে কি? লাগে না। যদি ধরেও নিই হঠাৎ ধাক্কা লাগা ওই নারী ফোনটি চুরি করেননি, তবুও কেউ না কেউ তো নিয়েছে এই ভিড়ের সুযোগে। কেউ না কেউ তো ছিল অন্যের ব্যাগে নজর রাখা চোখ নিয়ে। সেও তো আশপাশেই ছিল, যেমন আছেন এই মরিয়ম।
আধা ঘণ্টা আগের ও পরের মানুষ দুজন। তাদের কাজ দুই রকম। একজন আশি-বিরাশি বছর বয়সে চলার শক্তি হারিয়ে ভিক্ষা করেন, আস্থা রাখেন মানুষের ওপর। আরেকজন চুরি করেন; লোক ঠকান। একজন বলছেন—‘মানুষ কি মানুষরে ফালাইয়্যা দিতে পারে!’ মানুষকে তিনি বসিয়েছেন অনেকটা উঁচুতে। অন্যজন মানুষের জিনিসপত্র চুরি করছেন। মানুষকে দেখছেন তিনি সংকীর্ণ জায়গা থেকে।
১৯৫২ সাল। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ২৬ জানুয়ারি পল্টনের এক জনসভায় চার বছর আগে জিন্নাহর দেওয়া ঘোষণার পুনরাবৃত্তি করলেন, ‘কেবল উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।’ ৩ ফেব্রুয়ারি আবারও তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে ‘জিন্নাহর নীতিতে বিশ্বাসী’ বলে দাবি করলেন।
৪ ঘণ্টা আগে... স্কুলে থাকতেই, দীপা দত্তের বাবা সুধাংশু বিমল দত্ত আমাদের এলাকার কমিউনিস্ট এমপি ছিলেন। ওখানে ভাষা আন্দোলনের ধাক্কাটা তীব্রভাবে লাগলো। ভাষা আন্দোলনের একজন নেতা হলেন প্রিন্সিপাল কাশেম।... তারপরে ধরো এই কমিউনিস্ট আন্দোলন, আমাদের ওখানে তখন বড় বড় নেতা যেমন আহসাব উদ্দীন সাহেব, ওখানে মিটিং করতে আসতেন।
১ দিন আগে...রাজনৈতিক বিশ্বাসকে যদি কবিতায় উত্তীর্ণ করা যায়, তাহলে সেটা কবিতা থাকবে, কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্বাসকে যদি স্লোগান হিসেবে ব্যবহার করা হয় কবিতায়, তাহলে সেটা আর কবিতা থাকবে না। কিন্তু উচ্চকণ্ঠ হলে যে কবিতা হবে না, আমি সেটা বিশ্বাস করি না। নেরুদা যথেষ্ট উচ্চকণ্ঠ রাজনৈতিক কবিতা লিখেছেন এবং সেগুলো যথেষ্ট..
৮ দিন আগেভ্যান গঘ হচ্ছেন সেই শিল্পী, যিনি জীবদ্দশায় তাঁর কীর্তির জন্য বাহবা পাননি। তাঁর আঁকা ছবি পেয়েছে শুধু তাচ্ছিল্য। ভ্যান গঘ বড় শিল্পী হিসেবে স্বীকৃত হন মরণের পর। একটা অসুখ ছিল তাঁর। মানসিক অসুখ। সেই অসুখ তাঁকে স্বস্তি দেয়নি।
১৪ দিন আগে