সম্পাদকীয়
প্রবোধচন্দ্র বাগচী ছিলেন বিংশ শতাব্দীর ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম পণ্ডিত, সাহিত্যের গবেষক ও শিক্ষাবিদ; বিশেষ করে চীন বিষয়ে গবেষণার জন্য তিনি বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি ছিলেন। ১৯২০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাচীন ভারতের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে এমএ ডিগ্রি লাভ করার পর তিনি একই বিভাগে প্রভাষক পদে নিযুক্ত হন। ১৯২১ সালে প্রথিতযশা ফরাসি পণ্ডিত সিলভেইঁ লেভির অধীনে বৌদ্ধধর্ম ও চৈনিক ভাষা সম্পর্কে গবেষণার জন্য তাঁকে নব-প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতীতে পাঠানো হয়। এখানে গবেষণা করার সময় তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পান।
পাশ্চাত্য গবেষণাপদ্ধতির সঙ্গে নিবিড় পরিচয় থাকার ফলে প্রত্নতাত্ত্বিক তথ্য-উপাত্তের সঙ্গে কীভাবে সাহিত্যিক উপাত্তকে সমন্বিত করতে হয়, তা তাঁর জানা ছিল। তিনি চীন গবেষণার ক্ষেত্রে নিচের গবেষণার কাজগুলো করেছিলেন। যেমন—ক. প্রাচীন চৈনিক বৌদ্ধ গ্রন্থাবলি উদ্ধার ও প্রকাশ করা, সেগুলো সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ তৈরি করা এবং সংগৃহীত বিভিন্ন পাণ্ডুলিপির অনুবাদ করা; খ. বৌদ্ধ সাহিত্য ও দর্শন থেকে ভারতীয় সাংস্কৃতিক বিনিময়ের অন্য বহু দিক সম্পর্কে বিস্তৃত বিষয়াবলি নিয়ে গবেষণা করার জন্য প্রত্নসামগ্রী যথা—মুদ্রা, লিপি ও অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ সম্পর্কে গভীরভাবে জেনে, তা তাঁর গবেষণায় ব্যবহার করেছিলেন। এ ক্ষেত্রে তিনি চৈনিক গ্রন্থগুলো সম্পর্কে গবেষণায় উদ্ভাবনকুশলতা ও দূরদৃষ্টির নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করেছিলেন।
সহস্র বছরের অধিককাল আগেই বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে সংস্কৃত ভাষায় লেখা বহু গ্রন্থ হারিয়ে গিয়েছিল। বিভিন্ন সময়ে সেগুলো চীনা ভাষায় অনূদিত হয়েছিল। তিনি সেগুলোর কিছু কিছু ইংরেজি অনুবাদ করেছিলেন।
তিনি জীবনের অধিকাংশ সময় চীন ও ভারতের হারিয়ে যাওয়া গ্রন্থ উদ্ধার এবং অনুবাদে ব্যয় করেছেন। তাঁর কাজ ভারতীয় পণ্ডিতদের মধ্যে চীন এবং ভারত-বিদ্যার মধ্যে একধরনের সেতুবন্ধ সৃষ্টি করেছিল। এ জন্য তাঁকে একজন ‘চীন-ভারতবিদ্যা বিশারদ’ পণ্ডিত বলা হয়।
এই পণ্ডিত ব্যক্তিটি ১৮৯৮ সালের ১৮ নভেম্বর যশোর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
প্রবোধচন্দ্র বাগচী ছিলেন বিংশ শতাব্দীর ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম পণ্ডিত, সাহিত্যের গবেষক ও শিক্ষাবিদ; বিশেষ করে চীন বিষয়ে গবেষণার জন্য তিনি বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি ছিলেন। ১৯২০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাচীন ভারতের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে এমএ ডিগ্রি লাভ করার পর তিনি একই বিভাগে প্রভাষক পদে নিযুক্ত হন। ১৯২১ সালে প্রথিতযশা ফরাসি পণ্ডিত সিলভেইঁ লেভির অধীনে বৌদ্ধধর্ম ও চৈনিক ভাষা সম্পর্কে গবেষণার জন্য তাঁকে নব-প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতীতে পাঠানো হয়। এখানে গবেষণা করার সময় তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পান।
পাশ্চাত্য গবেষণাপদ্ধতির সঙ্গে নিবিড় পরিচয় থাকার ফলে প্রত্নতাত্ত্বিক তথ্য-উপাত্তের সঙ্গে কীভাবে সাহিত্যিক উপাত্তকে সমন্বিত করতে হয়, তা তাঁর জানা ছিল। তিনি চীন গবেষণার ক্ষেত্রে নিচের গবেষণার কাজগুলো করেছিলেন। যেমন—ক. প্রাচীন চৈনিক বৌদ্ধ গ্রন্থাবলি উদ্ধার ও প্রকাশ করা, সেগুলো সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ তৈরি করা এবং সংগৃহীত বিভিন্ন পাণ্ডুলিপির অনুবাদ করা; খ. বৌদ্ধ সাহিত্য ও দর্শন থেকে ভারতীয় সাংস্কৃতিক বিনিময়ের অন্য বহু দিক সম্পর্কে বিস্তৃত বিষয়াবলি নিয়ে গবেষণা করার জন্য প্রত্নসামগ্রী যথা—মুদ্রা, লিপি ও অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ সম্পর্কে গভীরভাবে জেনে, তা তাঁর গবেষণায় ব্যবহার করেছিলেন। এ ক্ষেত্রে তিনি চৈনিক গ্রন্থগুলো সম্পর্কে গবেষণায় উদ্ভাবনকুশলতা ও দূরদৃষ্টির নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করেছিলেন।
সহস্র বছরের অধিককাল আগেই বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে সংস্কৃত ভাষায় লেখা বহু গ্রন্থ হারিয়ে গিয়েছিল। বিভিন্ন সময়ে সেগুলো চীনা ভাষায় অনূদিত হয়েছিল। তিনি সেগুলোর কিছু কিছু ইংরেজি অনুবাদ করেছিলেন।
তিনি জীবনের অধিকাংশ সময় চীন ও ভারতের হারিয়ে যাওয়া গ্রন্থ উদ্ধার এবং অনুবাদে ব্যয় করেছেন। তাঁর কাজ ভারতীয় পণ্ডিতদের মধ্যে চীন এবং ভারত-বিদ্যার মধ্যে একধরনের সেতুবন্ধ সৃষ্টি করেছিল। এ জন্য তাঁকে একজন ‘চীন-ভারতবিদ্যা বিশারদ’ পণ্ডিত বলা হয়।
এই পণ্ডিত ব্যক্তিটি ১৮৯৮ সালের ১৮ নভেম্বর যশোর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
আপনি কি রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে এই খবর পড়ছেন? সাবধান! ঘাসে পা দেবেন না কিন্তু! আজ ঘাসে পা না দেওয়ার দিন। জানা নেই? তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক, কী এই ‘ঘাসে পা না দেওয়া দিবস’। কীভাবেই–বা এর উৎপত্তি।
১৩ ঘণ্টা আগেবাংলার সুবেদার মীর জুমলা তাঁর আসাম অভিযানের সময় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের (তৎকালীন খিজিরপুর) সংযোগকারী সড়কের পাগলা এলাকায় শীতলক্ষ্যা-বুড়িগঙ্গা নদীর সংযোগস্থলে নির্মাণ করেন পাগলা সেতু।
৩ দিন আগেগান করে থাকি সেটা তো অন্যায় হতে পারে না! তো সেই দিক থেকে আমি অন্তত ক্ষমা চাইতে পারি। কারণ এটা আমি পেশা করেছি। এটা আলটিমেটলি পেশা করতে বাধ্য হয়েছি। আমি কিন্তু গান শিখিনি নাম করার জন্য, যে আমার কবে সুখ্যাতি কে করবে, আমি কবে জনপ্রিয় হব তার জন্য গান শিখিনি। আমার বাবা-মা কোনো দিন আমাকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে...
৪ দিন আগেমুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় একাত্তরের ১০ এপ্রিল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরে বৈদ্যনাথতলার এক আমবাগানে মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ১৭ এপ্রিল।
৫ দিন আগে