মো. মাসুদ হোসেন
গ্রামের এক সাধারণ মেয়ে ছিলেন ফারজানা ইসলাম তৃষ্ণা। আর দশটা কিশোরীর মতোই তাঁরও ছিল চোখভরা স্বপ্ন। তবে ১৭ বছর বয়সে ব্যাংকের চাকুরে বাবা মারা গেলে তাঁর স্বপ্ন ভেঙে যায়। তাঁরা তিন বোন ও মা হয়ে পড়েন অসহায়। পরিবারের বড় তিনি। বাবা না থাকায় সমাজের মানুষের চাপে বিয়ে করতে বাধ্য হন তিনি। চাঁদপুর সদর উপজেলার ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাসের পর ২০১৬ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তৃষ্ণার।
এরপর তৃষ্ণা পুত্রসন্তানের মা হন। কিন্তু বিয়ের ৬ বছরের মাথায় দাম্পত্য সম্পর্কের ইতি টানতে বাধ্য হন। এতে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। সে সময়ে অনলাইনে কয়েকটি ট্রেনিং করে ঘর থেকেই শুরু করেন নিজের উদ্যোগ। ফেসবুকে খোলেন একটি পেজ। সেই পেজে নারী ও শিশুদের বিভিন্ন পোশাকের ছবি আপলোড করেন। এরপর একটি দুটি করে অর্ডার আসতে থাকে। এখন তাঁর অনলাইন শপে প্রতিদিনই বাড়ছে পণ্যের ক্রেতা। প্রথমে হ্যান্ডপ্রিন্টের সামগ্রী থাকলেও পরে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় শাড়ি, থ্রিপিস, চায়না ব্যাগ, জুয়েলারি ও প্রসাধনসামগ্রীও বিক্রি শুরু করেন তিনি।
নিজের জমানো ১ হাজার ৫০০ টাকা পুঁজি দিয়ে শুরু হয়েছিল তৃষ্ণার অনলাইন উদ্যোগ। এখন সেটি পরিচালনা করছেন তৃষ্ণা ও তাঁর দুই বোন। নানান প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ধীরে ধীরে একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে চাঁদপুরে পরিচিতি লাভ করেছেন তিনি।
তৃষ্ণা জানিয়েছেন, পুরো পরিবার তাঁকে সহযোগিতা করেছে; বিশেষ করে তাঁর মা। শুরুর দিকের বিভিন্ন বাজে কথা এবং ঝামেলা থেকে তাঁকে তাঁর মা রক্ষা করেছেন। তৃষ্ণা বলেন, ‘আমি জানতাম, পরিশ্রম আর চেষ্টা অক্ষুণ্ন রাখলে জয় আসবেই। যে সমাজ আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল, সেই সমাজ আজ আমাকে সম্মান করে। আমি মনে করি, এই সম্মান আমার নয়, আমার কাজের।’
উদ্যোক্তা হতে হলে অবশ্যই ইতিবাচক মনোভাব থাকতে হবে। প্রতিবন্ধকতা থাকবে, সেই সঙ্গে থাকতে হবে প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি আর স্বপ্ন।
তৃষ্ণা জানিয়েছেন, নেতিবাচকতা থাকবে জীবনে। কিন্তু উদ্যোক্তা হতে হলে অবশ্যই ইতিবাচক মনোভাব থাকতে হবে। প্রতিবন্ধকতা থাকবে, সেই সঙ্গে থাকতে হবে প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি আর স্বপ্ন। সামান্য পুঁজিতে অনেকখানি পরিশ্রম করলেই এগিয়ে যাওয়া যায়।
দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে শাড়ি, থ্রিপিসসহ বিভিন্ন প্রসাধনসামগ্রী সংগ্রহ করেন ফারজানা ইসলাম তৃষ্ণা। এ ছাড়া নিজের পছন্দমতো ডিজাইন দিয়ে তাঁতিদের কাছ থেকেও শাড়ি তৈরি করে নেন।
অনলাইন উদ্যোক্তা হিসেবে কয়েক বছরে নারীদের অংশগ্রহণ বেশ চোখে পড়ার মতো। চাঁদপুর সদর উপজেলার ফারজানা ইসলাম তৃষ্ণাও সেই উদ্যোক্তাদেরই একজন। ফেসবুকে রয়েছে তাঁর ‘Trina-তৃণা’ নামের একটি পেজ। সেখান থেকে চলে ব্যবসার সব ধরনের কার্যক্রম। অনলাইনের পাশাপাশি সরাসরি গ্রাহকের কাছেও তিনি পৌঁছে দেন নিজের পণ্য।
গ্রামের এক সাধারণ মেয়ে ছিলেন ফারজানা ইসলাম তৃষ্ণা। আর দশটা কিশোরীর মতোই তাঁরও ছিল চোখভরা স্বপ্ন। তবে ১৭ বছর বয়সে ব্যাংকের চাকুরে বাবা মারা গেলে তাঁর স্বপ্ন ভেঙে যায়। তাঁরা তিন বোন ও মা হয়ে পড়েন অসহায়। পরিবারের বড় তিনি। বাবা না থাকায় সমাজের মানুষের চাপে বিয়ে করতে বাধ্য হন তিনি। চাঁদপুর সদর উপজেলার ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাসের পর ২০১৬ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তৃষ্ণার।
এরপর তৃষ্ণা পুত্রসন্তানের মা হন। কিন্তু বিয়ের ৬ বছরের মাথায় দাম্পত্য সম্পর্কের ইতি টানতে বাধ্য হন। এতে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। সে সময়ে অনলাইনে কয়েকটি ট্রেনিং করে ঘর থেকেই শুরু করেন নিজের উদ্যোগ। ফেসবুকে খোলেন একটি পেজ। সেই পেজে নারী ও শিশুদের বিভিন্ন পোশাকের ছবি আপলোড করেন। এরপর একটি দুটি করে অর্ডার আসতে থাকে। এখন তাঁর অনলাইন শপে প্রতিদিনই বাড়ছে পণ্যের ক্রেতা। প্রথমে হ্যান্ডপ্রিন্টের সামগ্রী থাকলেও পরে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় শাড়ি, থ্রিপিস, চায়না ব্যাগ, জুয়েলারি ও প্রসাধনসামগ্রীও বিক্রি শুরু করেন তিনি।
নিজের জমানো ১ হাজার ৫০০ টাকা পুঁজি দিয়ে শুরু হয়েছিল তৃষ্ণার অনলাইন উদ্যোগ। এখন সেটি পরিচালনা করছেন তৃষ্ণা ও তাঁর দুই বোন। নানান প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ধীরে ধীরে একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে চাঁদপুরে পরিচিতি লাভ করেছেন তিনি।
তৃষ্ণা জানিয়েছেন, পুরো পরিবার তাঁকে সহযোগিতা করেছে; বিশেষ করে তাঁর মা। শুরুর দিকের বিভিন্ন বাজে কথা এবং ঝামেলা থেকে তাঁকে তাঁর মা রক্ষা করেছেন। তৃষ্ণা বলেন, ‘আমি জানতাম, পরিশ্রম আর চেষ্টা অক্ষুণ্ন রাখলে জয় আসবেই। যে সমাজ আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল, সেই সমাজ আজ আমাকে সম্মান করে। আমি মনে করি, এই সম্মান আমার নয়, আমার কাজের।’
উদ্যোক্তা হতে হলে অবশ্যই ইতিবাচক মনোভাব থাকতে হবে। প্রতিবন্ধকতা থাকবে, সেই সঙ্গে থাকতে হবে প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি আর স্বপ্ন।
তৃষ্ণা জানিয়েছেন, নেতিবাচকতা থাকবে জীবনে। কিন্তু উদ্যোক্তা হতে হলে অবশ্যই ইতিবাচক মনোভাব থাকতে হবে। প্রতিবন্ধকতা থাকবে, সেই সঙ্গে থাকতে হবে প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি আর স্বপ্ন। সামান্য পুঁজিতে অনেকখানি পরিশ্রম করলেই এগিয়ে যাওয়া যায়।
দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে শাড়ি, থ্রিপিসসহ বিভিন্ন প্রসাধনসামগ্রী সংগ্রহ করেন ফারজানা ইসলাম তৃষ্ণা। এ ছাড়া নিজের পছন্দমতো ডিজাইন দিয়ে তাঁতিদের কাছ থেকেও শাড়ি তৈরি করে নেন।
অনলাইন উদ্যোক্তা হিসেবে কয়েক বছরে নারীদের অংশগ্রহণ বেশ চোখে পড়ার মতো। চাঁদপুর সদর উপজেলার ফারজানা ইসলাম তৃষ্ণাও সেই উদ্যোক্তাদেরই একজন। ফেসবুকে রয়েছে তাঁর ‘Trina-তৃণা’ নামের একটি পেজ। সেখান থেকে চলে ব্যবসার সব ধরনের কার্যক্রম। অনলাইনের পাশাপাশি সরাসরি গ্রাহকের কাছেও তিনি পৌঁছে দেন নিজের পণ্য।
জয়পুরহাট ও দিনাজপুরে নারী ফুটবল ম্যাচ আয়োজনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা এবং ম্যাচ বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। একই সঙ্গে অবিলম্বে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।
১ দিন আগেদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে যে সুফল পাওয়া যায়, সেই জায়গায় তাঁরা পিছিয়ে আছেন এখনো। যেমন এখন অনলাইনে সরকারি বিভিন্ন কাজ, কেনাকাটা, আর্থিক লেনদেন করা যায়। কিন্তু সঠিক তথ্য ও ব্যবহারের অভাবে প্রান্তিক নারীরা এসব সুবিধা নিতে পারছ
৩ দিন আগেকোভিড ইফেক্ট তাঁকেও আক্রান্ত করেছিল। উচ্চশিক্ষিত খাদিজা ভালো বেতনে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। কোভিডকালে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা ভালো যাচ্ছিল না। সে সময় খাদিজা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। নিয়মমাফিক অফিস থেকে ছুটি চাইলে অফিস জানিয়ে দিল, চাকরিটা ছেড়ে দিতে পারেন। খাদিজা চাকরিটা ছেড়ে দিলেন। খাদিজা জা
৩ দিন আগেবাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং লৈঙ্গিক সমতা নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ইউএন উইমেন নতুন এক অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ঢাকার ইইউ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই চুক্তির আওতায় ৪ দশমিক ৮ মিলিয়ন ইউরো বা প্রায় ৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই অর্থ জনপরিসর, কর্মক্ষেত্র এবং উচ্চশিক্
৩ দিন আগে