ইশতিয়াক হাসান
জায়গাটি সম্পর্কে আগে থেকে ধারণা না থাকলে চমকে উঠবেন। চারপাশে বড় বড় সব বালিয়াড়ি। মাঝখানে সমতল জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে অদ্ভুতদর্শন সব গাছ। আরও পরিষ্কারভাবে বললে—গাছ নয়, গাছের কঙ্কাল। সবকিছু মিলিয়ে আপনার মনে হতে পারে পৃথিবীতে থেকেও এ যেন ভিনগ্রহের কোনো জায়গা।
আশ্চর্য এই জায়গার দেখা পেতে হলে আপনাকে যেতে হবে আফ্রিকার দেশ নামিবিয়ার নামিব-নাওকলাফত উদ্যানে। এর ভেতরের এই আশ্চর্য এলাকাটি পরিচিত ডেড ভ্লেই নামে। শুনে হঠাৎ করে মার্কিন মুল্লুকের বিখ্যাত ডেড ভ্যালির সঙ্গে গুলিয়ে ফেলতে পারেন। তবে ডেড ভ্লেই কিন্তু ভ্যালি বা উপত্যকা নয়। স্থানীয় ভাষায় ভ্লেই অর্থ মার্শ বা জলা। এখন অবশ্য এখানে জলের ছিটেফোঁটা না থাকলেও একসময় সেটার অভাব ছিল না।
বিখ্যাত লবণের আধার বা সল্টপেন সসেস ভ্লেইয়ের কাছেই অবস্থিত ডেড ভ্লেইয়ে ছড়িয়ে আছে কয়েক শ মৃত একাশিয়া গাছ। যখন সাওখাব নদীর জল জমিটিকে ভিজিয়ে দিত, তখন তরতাজা ছিল গাছগুলো। মোটামুটি ৮০০–৯০০ বছর আগে নদীটি গতিপথ পরিবর্তন করলে জায়গাটি এমন শুষ্ক হয়ে পড়ে। ডেড ভ্লেইকে ঘিরে আছে উঁচু উঁচু সব বালিয়াড়ি। এদের কোনোটির উচ্চতা ৩০০–৪০০ মিটার।
এখানে শক্ত কাদামাটি বা এঁটেল মাটির স্তর চোখে পড়বে আপনার। এগুলো তৈরির কারণটা জেনে নেওয়া যাক। সাওখাব নদী বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হওয়ার পর ছোট ছোট জলা জায়গা তৈরি হয়। আর মাটিতে প্রচুর পানি থাকায় ক্যামেল থর্ন বা একধরনের একাশিয়া গাছ জন্মায়। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় খরা দেখা দেয়। জলার পানি যায় শুকিয়ে। এদিকে প্রভাব বিস্তার শুরু করে বালিয়াড়িগুলো। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে নদীর গতিপথও পাল্টে যায়। বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় পানি না পেয়ে গাছগুলোও শুকিয়ে যায়। অবশ্য ছোটখাটো কিছু গাছ ভোরের কুয়াশা ও কালেভদ্রে হওয়া বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর করে টিকে যায়।
তবে ওই একাশিয়া গাছগুলো পানির অভাবে মরে যায়। কিন্তু কথা হলো, এগুলো এখনো বহাল তবিয়তে দাঁড়িয়ে আছে কীভাবে? এর প্রধান কারণ দুটি। প্রথমটি, এখানে বাতাস এত শুষ্ক যে মৃত গাছগুলো প্রাকৃতিকভাবেই পচে যায় না। দ্বিতীয়ত, এখানকার এঁটেল মাটির জমি এত শক্ত যে গাছের কঙ্কালগুলো পড়ে না গিয়ে নিজের জায়গায় শক্তভাবে আটকে থাকে। আর শত শত বছর ধরে এভাবেই এরা আছে।
আর উঁচু সব বালিয়াড়ি, মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকা মৃত গাছেরা—সবকিছু মিলিয়ে জায়গাটি এমন অদ্ভুত চেহারা পেয়েছে যে বিভিন্ন ছবি দৃশ্যায়নের জায়গা হিসেবে এটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এর মধ্যে আছে জেনিফার লোপেজ অভিনীত সাড়া জাগানো ছবি ‘দ্য সেল’।
পার্কের গেট থেকে ৪৪ মাইল গাড়ি চালিয়ে তবেই পৌঁছাতে পারবেন আশ্চর্য এই জায়গায়। বিশেষ করে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় নামিব মরুভূমির বিশাল লালচে বালিয়াড়ি আর অদ্ভুতুড়ে চেহারার গাছগুলো মিলিয়ে জায়গাটি রীতিমতো অপার্থিব এক দৃশ্যের জন্ম দেয়। তবে দিনের অন্য সময়ই এটি পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। এখানকার আকাশও খুব পরিষ্কার।
নামিব-নাওকলাফত উদ্যানের সসেস ভ্লেই ও ডেড ভ্লেইয়ের দূরত্ব নামিবিয়ার রাজধানী উইন্ডহুক থেকে ৩৫০ কিলোমিটারের বেশি। সেখান থেকে কয়েকটি পথ ধরেই যেতে পারেন। তবে কোনো কোনো পথে দুর্গম কিছু পর্বত পেরোতে হয়। কাজেই ভালো গাড়ি না থাকলে এমন পথ এড়ানো উচিত। এ ধরনের পার্বত্য এলাকা ছাড়া একটি পথ গেছে মারিয়েন্তাল শহর হয়ে। তবে এটা ঠিক, পার্বত্য এলাকার ভেতর দিয়ে যাওয়া পথের দৃশ্য চোখ জুড়ানো। ডেড ভ্লেই কার পার্ক থেকে মোটামুটি মিনিট পনেরো হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন অদ্ভুতদর্শন গাছের এলাকাটিতে।
সূত্র: এটলাস অবসকিউরা, টাইম ট্রাভেল টার্টল ডট কম, অ্যামিউজিং প্ল্যানেট
জায়গাটি সম্পর্কে আগে থেকে ধারণা না থাকলে চমকে উঠবেন। চারপাশে বড় বড় সব বালিয়াড়ি। মাঝখানে সমতল জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে অদ্ভুতদর্শন সব গাছ। আরও পরিষ্কারভাবে বললে—গাছ নয়, গাছের কঙ্কাল। সবকিছু মিলিয়ে আপনার মনে হতে পারে পৃথিবীতে থেকেও এ যেন ভিনগ্রহের কোনো জায়গা।
আশ্চর্য এই জায়গার দেখা পেতে হলে আপনাকে যেতে হবে আফ্রিকার দেশ নামিবিয়ার নামিব-নাওকলাফত উদ্যানে। এর ভেতরের এই আশ্চর্য এলাকাটি পরিচিত ডেড ভ্লেই নামে। শুনে হঠাৎ করে মার্কিন মুল্লুকের বিখ্যাত ডেড ভ্যালির সঙ্গে গুলিয়ে ফেলতে পারেন। তবে ডেড ভ্লেই কিন্তু ভ্যালি বা উপত্যকা নয়। স্থানীয় ভাষায় ভ্লেই অর্থ মার্শ বা জলা। এখন অবশ্য এখানে জলের ছিটেফোঁটা না থাকলেও একসময় সেটার অভাব ছিল না।
বিখ্যাত লবণের আধার বা সল্টপেন সসেস ভ্লেইয়ের কাছেই অবস্থিত ডেড ভ্লেইয়ে ছড়িয়ে আছে কয়েক শ মৃত একাশিয়া গাছ। যখন সাওখাব নদীর জল জমিটিকে ভিজিয়ে দিত, তখন তরতাজা ছিল গাছগুলো। মোটামুটি ৮০০–৯০০ বছর আগে নদীটি গতিপথ পরিবর্তন করলে জায়গাটি এমন শুষ্ক হয়ে পড়ে। ডেড ভ্লেইকে ঘিরে আছে উঁচু উঁচু সব বালিয়াড়ি। এদের কোনোটির উচ্চতা ৩০০–৪০০ মিটার।
এখানে শক্ত কাদামাটি বা এঁটেল মাটির স্তর চোখে পড়বে আপনার। এগুলো তৈরির কারণটা জেনে নেওয়া যাক। সাওখাব নদী বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হওয়ার পর ছোট ছোট জলা জায়গা তৈরি হয়। আর মাটিতে প্রচুর পানি থাকায় ক্যামেল থর্ন বা একধরনের একাশিয়া গাছ জন্মায়। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় খরা দেখা দেয়। জলার পানি যায় শুকিয়ে। এদিকে প্রভাব বিস্তার শুরু করে বালিয়াড়িগুলো। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে নদীর গতিপথও পাল্টে যায়। বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় পানি না পেয়ে গাছগুলোও শুকিয়ে যায়। অবশ্য ছোটখাটো কিছু গাছ ভোরের কুয়াশা ও কালেভদ্রে হওয়া বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর করে টিকে যায়।
তবে ওই একাশিয়া গাছগুলো পানির অভাবে মরে যায়। কিন্তু কথা হলো, এগুলো এখনো বহাল তবিয়তে দাঁড়িয়ে আছে কীভাবে? এর প্রধান কারণ দুটি। প্রথমটি, এখানে বাতাস এত শুষ্ক যে মৃত গাছগুলো প্রাকৃতিকভাবেই পচে যায় না। দ্বিতীয়ত, এখানকার এঁটেল মাটির জমি এত শক্ত যে গাছের কঙ্কালগুলো পড়ে না গিয়ে নিজের জায়গায় শক্তভাবে আটকে থাকে। আর শত শত বছর ধরে এভাবেই এরা আছে।
আর উঁচু সব বালিয়াড়ি, মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকা মৃত গাছেরা—সবকিছু মিলিয়ে জায়গাটি এমন অদ্ভুত চেহারা পেয়েছে যে বিভিন্ন ছবি দৃশ্যায়নের জায়গা হিসেবে এটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এর মধ্যে আছে জেনিফার লোপেজ অভিনীত সাড়া জাগানো ছবি ‘দ্য সেল’।
পার্কের গেট থেকে ৪৪ মাইল গাড়ি চালিয়ে তবেই পৌঁছাতে পারবেন আশ্চর্য এই জায়গায়। বিশেষ করে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় নামিব মরুভূমির বিশাল লালচে বালিয়াড়ি আর অদ্ভুতুড়ে চেহারার গাছগুলো মিলিয়ে জায়গাটি রীতিমতো অপার্থিব এক দৃশ্যের জন্ম দেয়। তবে দিনের অন্য সময়ই এটি পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। এখানকার আকাশও খুব পরিষ্কার।
নামিব-নাওকলাফত উদ্যানের সসেস ভ্লেই ও ডেড ভ্লেইয়ের দূরত্ব নামিবিয়ার রাজধানী উইন্ডহুক থেকে ৩৫০ কিলোমিটারের বেশি। সেখান থেকে কয়েকটি পথ ধরেই যেতে পারেন। তবে কোনো কোনো পথে দুর্গম কিছু পর্বত পেরোতে হয়। কাজেই ভালো গাড়ি না থাকলে এমন পথ এড়ানো উচিত। এ ধরনের পার্বত্য এলাকা ছাড়া একটি পথ গেছে মারিয়েন্তাল শহর হয়ে। তবে এটা ঠিক, পার্বত্য এলাকার ভেতর দিয়ে যাওয়া পথের দৃশ্য চোখ জুড়ানো। ডেড ভ্লেই কার পার্ক থেকে মোটামুটি মিনিট পনেরো হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন অদ্ভুতদর্শন গাছের এলাকাটিতে।
সূত্র: এটলাস অবসকিউরা, টাইম ট্রাভেল টার্টল ডট কম, অ্যামিউজিং প্ল্যানেট
সাপের কামড়ে মানুষ মারা যাবে—এ তো চিরচেনা খবর! কিন্তু এবার খবর উল্টো। বিহারের এক প্রত্যন্ত গ্রামে ১ বছরের এক শিশু কামড়ে মেরে ফেলেছে বিষধর গোখরাকে! চোখ কপালে তুলে দেওয়া এই ঘটনা ঘটেছে রাজ্যের পশ্চিম চম্পারণ জেলার মোহাচ্ছি বাংকটওয়া গ্রামে। স্থানীয়রা বলছেন, এমন ঘটনা তাঁরা জীবনে কখনো দেখেননি—শুধু সিনেমাতে
৩ ঘণ্টা আগে‘নির্ভীক’ শব্দটা অনেকেই গর্বের সঙ্গে ব্যবহার করেন। কিন্তু মানুষ সত্যিকার অর্থে পুরোপুরি নির্ভীক নয়। জন্মগতভাবে মানুষের ভয় খুব সীমিত—মাত্র দুটি। গবেষণা বলছে, মানুষ জন্মগতভাবে যেসব ভয় নিয়ে আসে, তার মধ্যে রয়েছে উঁচু থেকে পড়ে যাওয়ার ভয় এবং বিকট শব্দে চমকে ওঠা।
১৩ ঘণ্টা আগেবেশির ভাগ বিড়ালপ্রেমীই আতঙ্কে থাকেন, কখন তাদের পোষা বিড়াল কোনো ইঁদুর বা পাখি শিকার করে বাসায় নিয়ে আসে। তবে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহরের এক পরিবারের বিড়ালের কর্মকাণ্ড এই সাধারণ দুশ্চিন্তার চেয়েও ভয়াবহ। কারণ, তাদের ১৫ মাস বয়সী বিড়ালটি একা পুরো এলাকায় চুরির রাজত্ব কায়েম করেছে। পুরো এলাকার অপরাধ জগতে
২১ ঘণ্টা আগেভারতের মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে এক নাটকীয় দৃশ্যের অবতারণা হয়েছিল। মাঝ রাস্তায় দুই ঘোড়ার লড়াইয়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি হয়। এই তাণ্ডবের মধ্যে একটি ঘোড়া একটি অটো রিকশার ওপর লাফিয়ে পড়ে। এতে দুজন গুরুতর আহত হন। এরপর ঘোড়াটি প্রায় ২০ মিনিট রিকশার ভেতরে আটকে ছিল।
৩ দিন আগে