চলাফেরা করতেন বিলাসবহুল গাড়িতে। ভাব দেখাতেন মস্ত ধনী তিনি। এভাবে প্রতারণা করে ৪০ নারীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেন ২০ লাখ ইউয়ান বা ২ লাখ ৮০ হাজার ডলার। অবশেষে তিনি ধরা পড়েন। এই জালিয়াতির অভিযোগে ১৩ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে তাঁর।
দরিদ্র এক পরিবারের সন্তান এই যুবক নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিতেন ধনী ব্যবসায়ী হিসেবে।
রেড স্টার নিউজ জানিয়েছে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিষয়টি প্রথম ফাঁস হয়। এ সময় দক্ষিণ-পশ্চিম সিচুয়ান প্রদেশের এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ এনে মারধর করেন ওই প্রতারককে। জানা যায়, তাঁর ডাক নাম ‘চেইও’। পুলিশ আবিষ্কার করে যে ওই নারী চেইওর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রচুর পরিমাণে টাকা স্থানান্তর করেছেন।
পরে আরও বেশ কয়েকজন নারী পুলিশকে জানান, তাঁরা ওই ব্যক্তির প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
তদন্তকারীরা আবিষ্কার করেছেন, চেইও তাঁর পরিচয় জাল করে মোটামুটি একই সময়ে একাধিক নারীর সঙ্গে ডেট করেছেন এবং কৌশলে প্রতারণা করে তাঁদের থেকে টাকা ধার নিয়েছেন।
যখন একটি প্রদেশে তাঁর বান্ধবীরা সন্দেহ করা শুরু করে, তখন চেইও প্রতারণার নতুন ফাঁদ পাতার জন্য অন্য জায়গায় চলে যান। কমপক্ষে ৪০ জান নারীর সঙ্গে এ রকম প্রতারণা করেন এবং এভাবে ২০ লাখ ইউয়ান হাতিয়ে নেন বলে সিচুয়ানের পুলিশ সূত্রে জানিয়েছে চীনা সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
৩৩ বছর বয়স্ক চেইওর পূর্ব জিয়াংসু প্রদেশের এক অজপাড়াগাঁয়ে জন্ম। দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়া অবস্থাতেই প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়েন। পরে বিয়ে করলেও কয়েক বছর আগে বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
জালিয়াতির অনুষঙ্গ হিসেবে একটি নির্মাণ সংস্থার প্রধান হিসেবে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া, ধার করা টাকা দিয়ে বিলাসবহুল গাড়ি ভাড়া করা, সম্পত্তির জাল কাগজপত্র দেখানো এমনকি গাড়ি চালানোর জন্য একজন কেতাদুরস্ত চালক নিয়োগ করা ইত্যাদি।
আর তাঁর এই বিলাসবহুল চলাফেরা ও ডেটিং ওয়েবসাইটের কল্যাণে ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী অনেক অবিবাহিত নারীই আকৃষ্ট হন।
তিনি এই বান্ধবীদের কাছ থেকে অর্থ ধার নিতে কৌশলের আশ্রয় নিতেন। বলতেন যে তাঁর কোম্পানির হঠাৎ নগদ অর্থের প্রয়োজন পড়েছে কিংবা অন্য কোনো কিছুতে সবেমাত্র বিনিয়োগ করেছেন। আদপে ওই রকম কোনো প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্বই ছিল না।
এদিকে অন্য নারীদের কাছ থেকে নেওয়া অর্থে ধনীদের মতোই চলাফেরা করায় নতুন ফাঁদে পড়া নারীরা ধরে নিতেন তিনি নিশ্চয় খুব ধনী ব্যবসায়ী। ২০২২ সালে কিছু বান্ধবী অর্থ ফেরত না পেয়ে সন্দেহগ্রস্ত হয়ে পড়লে জিয়াংসু ছাড়েন চেইও।
এবার দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের প্রদেশে সিচুয়ানে হাজির হলেন এই প্রতারক। সেখানকার সবাই জানল জিয়াংসুতে তাঁর একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানি আছে। সম্প্রতি স্ত্রী বিয়োগ হওয়ায় বিয়ের উপযুক্ত নারী খুঁজছেন।
নারীদের আকৃষ্ট করার জন্য চেইও তাঁদের বাড়ি ও গাড়ি কিনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এমনকি তাঁদের মা-বাবার সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন, যাতে তিনি যে সম্পর্কের প্রতি আন্তরিক তা নিয়ে কারও মনে সন্দেহ না হয়। তবে এত কিছুতেও শেষ রক্ষা হলো না। শেষ পর্যন্ত বিবাহিত এক নারীকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে নিজেই ধরা খেয়ে যান।
গত মাসে মানে জানুয়ারিতে সিচুয়ানের তংজাং কাউন্টির একটি আদালত চেইওকে ১৩ বছরের জেল এবং জালিয়াতির জন্য ২ লাখ ইউয়ান বা ২৮ হাজার ডলার জরিমানা করেন।
চীনে এ ধরনের জালিয়াতির আরেকটি সাম্প্রতিক ঘটনা সাংহাইতে ঘটেছে। আদালত এক নারী এবং তার মা-বাবার কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ২ কোটি ইউয়ান বা ২৮ লাখ ডলার হাতিয়ে নেওয়ায় এক ব্যক্তিকে ১৩ বছর ১০ মাস কারাদণ্ড দেন।
আদালত জানান, নিজেকে ধনী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে ওই ব্যক্তি এক নারীর সঙ্গে ডেট করেছিলেন এবং তাঁর মা-বাবাকে ফ্ল্যাট বিক্রি করতে রাজি করান। ওই টাকা আবার বুঝিয়ে-শুনিয়ে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করান।
চলাফেরা করতেন বিলাসবহুল গাড়িতে। ভাব দেখাতেন মস্ত ধনী তিনি। এভাবে প্রতারণা করে ৪০ নারীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেন ২০ লাখ ইউয়ান বা ২ লাখ ৮০ হাজার ডলার। অবশেষে তিনি ধরা পড়েন। এই জালিয়াতির অভিযোগে ১৩ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে তাঁর।
দরিদ্র এক পরিবারের সন্তান এই যুবক নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিতেন ধনী ব্যবসায়ী হিসেবে।
রেড স্টার নিউজ জানিয়েছে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিষয়টি প্রথম ফাঁস হয়। এ সময় দক্ষিণ-পশ্চিম সিচুয়ান প্রদেশের এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ এনে মারধর করেন ওই প্রতারককে। জানা যায়, তাঁর ডাক নাম ‘চেইও’। পুলিশ আবিষ্কার করে যে ওই নারী চেইওর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রচুর পরিমাণে টাকা স্থানান্তর করেছেন।
পরে আরও বেশ কয়েকজন নারী পুলিশকে জানান, তাঁরা ওই ব্যক্তির প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
তদন্তকারীরা আবিষ্কার করেছেন, চেইও তাঁর পরিচয় জাল করে মোটামুটি একই সময়ে একাধিক নারীর সঙ্গে ডেট করেছেন এবং কৌশলে প্রতারণা করে তাঁদের থেকে টাকা ধার নিয়েছেন।
যখন একটি প্রদেশে তাঁর বান্ধবীরা সন্দেহ করা শুরু করে, তখন চেইও প্রতারণার নতুন ফাঁদ পাতার জন্য অন্য জায়গায় চলে যান। কমপক্ষে ৪০ জান নারীর সঙ্গে এ রকম প্রতারণা করেন এবং এভাবে ২০ লাখ ইউয়ান হাতিয়ে নেন বলে সিচুয়ানের পুলিশ সূত্রে জানিয়েছে চীনা সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
৩৩ বছর বয়স্ক চেইওর পূর্ব জিয়াংসু প্রদেশের এক অজপাড়াগাঁয়ে জন্ম। দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়া অবস্থাতেই প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়েন। পরে বিয়ে করলেও কয়েক বছর আগে বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
জালিয়াতির অনুষঙ্গ হিসেবে একটি নির্মাণ সংস্থার প্রধান হিসেবে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া, ধার করা টাকা দিয়ে বিলাসবহুল গাড়ি ভাড়া করা, সম্পত্তির জাল কাগজপত্র দেখানো এমনকি গাড়ি চালানোর জন্য একজন কেতাদুরস্ত চালক নিয়োগ করা ইত্যাদি।
আর তাঁর এই বিলাসবহুল চলাফেরা ও ডেটিং ওয়েবসাইটের কল্যাণে ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী অনেক অবিবাহিত নারীই আকৃষ্ট হন।
তিনি এই বান্ধবীদের কাছ থেকে অর্থ ধার নিতে কৌশলের আশ্রয় নিতেন। বলতেন যে তাঁর কোম্পানির হঠাৎ নগদ অর্থের প্রয়োজন পড়েছে কিংবা অন্য কোনো কিছুতে সবেমাত্র বিনিয়োগ করেছেন। আদপে ওই রকম কোনো প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্বই ছিল না।
এদিকে অন্য নারীদের কাছ থেকে নেওয়া অর্থে ধনীদের মতোই চলাফেরা করায় নতুন ফাঁদে পড়া নারীরা ধরে নিতেন তিনি নিশ্চয় খুব ধনী ব্যবসায়ী। ২০২২ সালে কিছু বান্ধবী অর্থ ফেরত না পেয়ে সন্দেহগ্রস্ত হয়ে পড়লে জিয়াংসু ছাড়েন চেইও।
এবার দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের প্রদেশে সিচুয়ানে হাজির হলেন এই প্রতারক। সেখানকার সবাই জানল জিয়াংসুতে তাঁর একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানি আছে। সম্প্রতি স্ত্রী বিয়োগ হওয়ায় বিয়ের উপযুক্ত নারী খুঁজছেন।
নারীদের আকৃষ্ট করার জন্য চেইও তাঁদের বাড়ি ও গাড়ি কিনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এমনকি তাঁদের মা-বাবার সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন, যাতে তিনি যে সম্পর্কের প্রতি আন্তরিক তা নিয়ে কারও মনে সন্দেহ না হয়। তবে এত কিছুতেও শেষ রক্ষা হলো না। শেষ পর্যন্ত বিবাহিত এক নারীকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে নিজেই ধরা খেয়ে যান।
গত মাসে মানে জানুয়ারিতে সিচুয়ানের তংজাং কাউন্টির একটি আদালত চেইওকে ১৩ বছরের জেল এবং জালিয়াতির জন্য ২ লাখ ইউয়ান বা ২৮ হাজার ডলার জরিমানা করেন।
চীনে এ ধরনের জালিয়াতির আরেকটি সাম্প্রতিক ঘটনা সাংহাইতে ঘটেছে। আদালত এক নারী এবং তার মা-বাবার কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ২ কোটি ইউয়ান বা ২৮ লাখ ডলার হাতিয়ে নেওয়ায় এক ব্যক্তিকে ১৩ বছর ১০ মাস কারাদণ্ড দেন।
আদালত জানান, নিজেকে ধনী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে ওই ব্যক্তি এক নারীর সঙ্গে ডেট করেছিলেন এবং তাঁর মা-বাবাকে ফ্ল্যাট বিক্রি করতে রাজি করান। ওই টাকা আবার বুঝিয়ে-শুনিয়ে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করান।
হিমাচল প্রদেশের সিরমৌর জেলার শিল্লাই গ্রামের ট্রান্স-গিরি অঞ্চলে প্রাচীন রীতিনীতির অনুসরণে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক ব্যতিক্রমী বিবাহ অনুষ্ঠান—এক নারী বিয়ে করেছেন দুই ভাইকে। হাট্টি সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী পলিয়ান্ড্রি বিয়েতে শত শত অতিথি অংশ নেন।
১৭ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্রেডিট তথা পরীক্ষার খাতায় বেশি নম্বর দেওয়ার বিনিময়ে রক্ত দান করতে বাধ্য করেছেন এক ফুটবল কোচ। তাইওয়ানের একটি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ফুটবল কোচ এমনই অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে...
১ দিন আগেআজকের ডিজিটাল দুনিয়ায় আমাদের দৈনন্দিন যোগাযোগের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে ইমোজি। ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আমরা মনের ভাব প্রকাশে ইমোজি ব্যবহার করি। ভাষার সীমা পেরিয়ে এই ছোট ছোট ডিজিটাল চিহ্নগুলো আবেগ প্রকাশের কার্যকর মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আনন্দ থেকে শুরু করে দুঃখ—সব অনুভূতিই এখন বোঝ
৪ দিন আগেপরিত্যক্ত একটি নকিয়া ফোনের সূত্র ধরে পরিচয় পাওয়া গেছে ১০ বছর আগে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির। ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদে আমির খান নামের ওই ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার হয়। মরদেহের পাশে থাকা ফোনটির সূত্র ধরেই তাঁর পরিচয় উদ্ধার করা হয়। খবর এনডিটিভির।
৬ দিন আগে