হযরত মুহাম্মদ (স.)

বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘জনগণের শাসক তাদের তত্ত্বাবধায়ক, তাদের সার্বিক বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে।’ (বুখারি) এই হাদিসের আলোকে ইসলামি স্কলারগণ বলেন, জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।

উদাসীন অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন ইসলামের শিক্ষা নয়। দৈহিক পরিচ্ছন্নতার যে শিষ্টাচারগুলো রয়েছে, সেগুলোকে হাদিসে নবী ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত এবং মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে। 

চালচলন, কথাবার্তা, খাওয়া-দাওয়াসহ জীবনের সব ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) উম্মতকে উত্তম শিষ্টাচার শিখিয়েছেন। আর প্রকৃত মুসলিমরা যুগ যুগ ধরে তা মান্য করে আসছে।

সুনির্দিষ্ট কারণ ও শরিয়ত অনুমোদিত অপারগতা ছাড়া নিয়মিত জামাতে নামাজ ছেড়ে দেওয়া গুনাহের কাজ। যেসব অপারগতা ও অসুবিধার কারণে ইসলামি শরিয়ত জামাতে নামাজ না পড়ার অনুমতি দেয়...

অনেকের ধারণা, অজু করার সময় প্রতিটি অঙ্গ ধোয়ার সময় বিসমিল্লাহ, কালিমায়ে শাহাদত এবং দরুদ শরিফ পড়া মুস্তাহাব। এ ছাড়া অনেকে প্রতিটি অঙ্গের জন্য আলাদা দোয়ার কথাও বলে থাকেন। এসব ভিত্তিহীন...

অনেকেই মসজিদে গিয়ে এমন সব ভুল ও অসংলগ্ন আচরণ করে বসে, যা অন্য মুসল্লিদের ভোগান্তির কারণ হয় অথবা মহানবী (সা.)-এর নির্দেশনার বিপরীত হয়। মসজিদে ধীরে সুস্থে আদব বজায় রেখে প্রশান্ত চিত্তে ইবাদত করা উচিত। 

মনের আকাশে দুশ্চিন্তার মেঘ জমলে কিংবা মানসিক চাপে থাকলে মহানবী (সা.) একটি বিশেষ দোয়া পড়তেন। সাহাবায়ে কেরামকেও দুশ্চিন্তা মুক্তির দোয়া শিখিয়েছেন তিনি।

মানুষের সামগ্রিক কল্যাণে মহান আল্লাহ তাআলা বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন। তিনি পরিবার, সমাজ ও দেশের সর্বস্তরে শান্তি, কল্যাণ ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। পুরুষের অধিকারের পাশাপাশি নারীর অধিকারের বিষয়টিও সুস্পষ্ট করেছেন। ইসলাম নারীর মানবিক মর্যাদার স্বীকৃতি দিয়েছে।

পৃথিবীতে নবুওয়াতের পবিত্র ধারা শুরু হয়েছে হজরত আদম (আ.)-এর মাধ্যমে। আর এই ধারা শেষ হয়েছে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মাধ্যমে। তিনিই শেষ নবী, তাঁর পরে এই পৃথিবীতে আর কোনো নবী আসবেন না। প্রত্যেক মুসলমানের এ বিশ্বাস রাখা অতি জরুরি। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘মুহাম্মদ তোমাদের কারও বাবা নন; বরং তিনি আ

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রবিউল আউয়াল মাসে জন্মগ্রহণ করে পৃথিবী আলোকিত করেন। আবার এ মাসেই মহান রবের সান্নিধ্যে চলে যান। তিনি উম্মাহর জন্য এক অনন্য আদর্শ রেখে যান

দরুদ অত্যন্ত বরকতময় ও ফজিলতপূর্ণ আমল। রাসুল (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠকারীদের আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত করেন এবং তাদের ওপর অগণিত রহমত বর্ষণ করেন। রাসুল (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠ করা প্রত্যেক মুমিনের জন্য আবশ্যক। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর জীবনে একবার দরুদ পাঠ করা ফরজ। এতে কারও দ্বিমত নেই। (তাফসিরে

হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আনুগত্য, অনুসরণ ও অনুকরণ করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ। তা না করে কেউ প্রকৃত মুমিন হতে পারে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বলুন, আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য করো। বস্তুত যদি তারা বিমুখ হয়, তাহলে আল্লাহ কাফিরদের ভালোবাসেন না।’ (সুরা আলে ইমরান: ৩২) অন্য আয়াতে বলেন, ‘কেউ রাসুলের অনুসরণ কর

কোরবানি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘কোরবানির দিনে কোরবানি করাই সবচেয়ে বড় ইবাদত।’ (তিরমিজি) সামর্থ্যবান মুসলমানদের জন্য কোরবানি করা আবশ্যক।

ইসলামের ইতিহাসে বিদায় হজের ভাষণ এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। মানুষের অধিকার ও মুক্তি নিশ্চিত করতে এবং সমাজে শান্তি, সম্প্রীতি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠায় এই ভাষণের তাৎপর্য অনস্বীকার্য।

পবিত্র কোরআনে মহানবী (সা.)-এর পরিচয় দিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের নিজেদের মধ্য থেকেই তোমাদের কাছে এক রাসুল এসেছে। তোমাদের যেকোনো কষ্ট তার জন্য অতি পীড়াদায়ক। সে তোমাদের কল্যাণকামী। মুমিনদের প্রতি অত্যন্ত সদয়, পরম দয়ালু।’ (সুরা তওবা: ১২৮) অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘নবী মুমিনদের জন্য তাদের নিজেদের চেয়েও অধি

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন সব নবী-রাসুলের নেতা ও সর্দার। সারা বিশ্বের মুমিন মুসলমানরা তাঁর উম্মত। উম্মত হিসেবে আমাদের তাঁর জীবনাদর্শ অনুসরণ করতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’

মুমিনের জীবনে মহানবী (সা.)-এর ভালোবাসার গুরুত্ব অপরিসীম। বরং এ ভালোবাসাই ইমানের প্রাণ। এ ভালোবাসা ছাড়া না ইমানের পূর্ণতা আসে, না ইমানের স্বাদ অনুভূত হয়। আবার নিছক ভালোবাসাই যথেষ্ট নয়, বরং পার্থিব সব...