স্বাস্থ্যবিধি

কয়েক দিন ধরেই এ দুই চিকিৎসকের জ্বর ছিল। চিকিৎসক সংকট হাওয়ায় উপসর্গ নিয়েও তাঁরা রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছেন। পরবর্তীতে অবস্থা সন্দেহজনক হলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তার পরামর্শে পরীক্ষা করিয়ে হোম কোয়ারেন্টিনে যান। এই পরীক্ষায় তাঁদের করোনা শনাক্ত হয়। 

শরীয়তপুরের মাঝিরঘাট লঞ্চঘাটে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। মাঝিরঘাট থেকে শিমুলিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি লঞ্চে থাকে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী। অধিকাংশ যাত্রীর মুখেই নেই মাস্ক। ঘাটে বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা, নৌ-পুলিশ ও ঘাট ইজারাদারের জনবল থাকলেও বিষয়টি দেখার কেউ নেই। যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীদের এমন

স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। গতকাল শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার কালিরবাজার, আনন্দ বাজার, মদনেরপাড়া, একাডেমি, বালাসীঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ভ্রাম্যম

ঝিকরগাছায় তিন মাস পর ফের করোনাভাইরাসে আক্রান্তের তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবারও ২০ জনের শরীরে এ ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে।

এখন প্রতিটা ঘরে ঘরে জ্বর সর্দির রোগী। ক্যাম্পাসেও হলে হলে শিক্ষার্থীরা জ্বর-সর্দিতে ভুগছেন। গত এক সপ্তাহে আমি শতাধিক জ্বর-সর্দির রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছি। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন বলে ফোনে জানাচ্ছেন। যদিও তাঁদের তেমন কোনো উপসর্গ নেই।

দেশে করোনা মহামারির তৃতীয় ঢেউ চলছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ১০ দিনব্যাপী মাস্ক বিতরণের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। শনিবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় মাস্ক বিতরণ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেখা গেছে শতাধিক মানুষের জটলা

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের (মসিক) উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে। গতকাল শুক্রবার ময়মনসিংহ নগরীর জয়নুল আবেদিন পার্কে আসা দর্শনার্থীদের

ঝিনাইদহে বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঝিনাইদহকে মধ্যম ঝুঁকির জেলা হিসাবে চিহ্নিত করেছে। ইতিমধ্যেই এক নারী ওমিক্রণে আক্রান্ত হয়ে মারাও গেছেন। তবুও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে যেমন প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না তেমনি স্বাস্থ্যবিধি মানতেও মানুষের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না সচেতনতা।

সাতক্ষীরায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। তবে সেই বিধিনিষেধ আরোপিত হলেও বাস্তবে কোথাও তা মানা হচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যবিদরা।

করোনার সংক্রমণ রোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দেওয়া ১১ দফা নির্দেশনা ও বিধিনিষেধ জারি করা হলেও মানা হচ্ছে না লঞ্চে। পটুয়াখালী থেকে ঢাকাগামী ডাবল ডেকার লঞ্চগুলো বিধি উপেক্ষা করে অনেকটা স্বাভাবিক সময়ের মতো চলছে। তৃতীয় শ্রেণির যাত্রীরা লঞ্চে আসন নেওয়া কিংবা ওঠানামায় স্বাস্থ্যবিধি কেউ মানছেন না। এ ছাড়া এ-

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর খাগড়াছড়িসহ ১৩ জেলাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কিন্তু রেড জোন ঘোষণা করলেও খাগড়াছড়িতে স্বাস্থ্যবিধি মানার তেমন কোনো প্রবণতা নেই। জেলার পর্যটনকেন্দ্র থেকে শুরু করে হাট-বাজারে কোথাও কোনো স্বাস্থ্যবিধি নেই। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, এখনই সচেতন না হলে খাগড়াছড়িতে সংক্রমণের হার আরও বাড়বে