শ্রদ্ধাঞ্জলি

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান মারা গেছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সোহানুর রহমানের মৃত্যুতে শোবিজে শোক নেমেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারকারা স্মরণ করছেন তাঁর সঙ্গে নানান স্মৃতি। সোহানুর রহমানকে নিয়ে আজকের পত্রিকার

কথাসাহিত্যিক ও কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের (৭ সেপ্টেম্বর ১৯৩৪-২৩ অক্টোবর ২০১২) জন্মদিন আজ। প্রথিতযশা এই সাহিত্যিক একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, সম্পাদক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট। তাঁর লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস দুই বাংলার পাঠকদের ছুঁয়েছে বহতা নদীর মতো। তাঁর জন্মদিনে আজকের পত্রিকার শ্রদ্ধাঞ্জলি।

নিউইয়র্কের পারসন্স বুলভার্ড দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় একটি অ্যাপার্টমেন্ট হাউস দেখিয়ে আমার নিউইয়র্কপ্রবাসী ভাই বলেছিলেন, ‘এইখানে কবি শহীদ কাদরী থাকতেন।’

হ্যাঁ, কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন সাম্য ও সম্প্রীতি চেতনার কবি। কিন্তু তাঁকে ‘ইসলামী কবি’ হিসেবে প্রমাণের একটি চেষ্টা পাকিস্তানি শাসকদের যেমন ছিল, তেমনি পঁচাত্তর-পরবর্তী বাংলাদেশের শাসকদেরও ছিল। এখনো নজরুলকে সাম্প্রদায়িক লেবাস পরানোর অপচেষ্টা শেষ হয়নি।

জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আওয়ামী লীগ।

সেদিন (১৭ জুলাই) শহীদ মিনার থেকে বিদায় দিয়ে এলাম এক গানের পাখিকে, আমাদের মুক্তিসংগ্রামের এক বীর যোদ্ধাকে। শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ফুলের বেদনায় বিদায় জানালাম বাংলার সেই সাহসী সন্তানকে, যিনি শৈশব উত্তীর্ণ সময়ে দেশের মুক্তির জন্য কণ্ঠের অস্ত্রে যুদ্ধ করেছেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কনিষ্ঠ কণ্ঠযোদ্ধা

বছর পাঁচ-ছয়েক ধরে এম এ কুদ্দুস ভাইয়ের সঙ্গে আমার সখ্য। কিন্তু চেনা-জানা অনেক পুরোনো। ছাত্র অবস্থায় ফিচার পাতার লেখক হিসেবে যখন সংবাদে যাতায়াত, তখন থেকে। ঢাকায় আসার পর যখন নিয়মিত হলাম, তখন আরও যোগাযোগ বাড়ল। ফিচার বিভাগের ছোট্ট ঘেরার মধ্যে কাজের ফাঁকে চলে কমলেশদার অনির্ধারিত আড্ডা।

২০১৯ সালে বিখ্যাত এক নিউজ পোর্টালে আমার একটি আর্টিকেল প্রকাশিত হয়। যেটি আসলে সেই সময় ভাইরাল হয়েছিল। দেশবাসী একজন মেধাবী কবি আফতাব আহমেদকে গুলতেকিন আহমেদের দ্বিতীয় স্বামী হিসেবে চিনেছিল। গতানুগতিক সামাজিক সমালোচনায় নয়, গ্রহণ করেছিল পরম মমতায়।

বাংলাদেশের বিপ্লবী সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ কামাল লোহানী। কিছু সময়ের জন্য বিপ্লবী বা হঠাৎ হঠাৎ বিপ্লবীর সন্ধান হয়তো অনেক মিলবে, কিন্তু জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বিপ্লবের প্রতি আস্থা রেখে লড়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা বিরল।

রবীন্দ্রনাথ সেই কত আগে, ফাল্গুন ১২৮৯ বঙ্গাব্দে বলেছিলেন, ‘আজকাল সকলেই সকল বিষয়েই চেঁচিয়ে কথা কয়। আস্তে বলা একেবারে উঠিয়া গিয়াছে। চেঁচিয়ে দান করে, চেঁচিয়ে সমাজসংস্কার করে, চেঁচিয়ে খবরের কাগজ চালায়, এমন-কি গোল থামাইতে গোল করে।’ মানুষের কখন চেঁচিয়ে কথা বলার প্রয়োজন হয় না?

খুলনার লোকশিল্পী গুরুপদ গুপ্ত গেয়েছেন, ‘ও মানুষ, তোমার দুডো কান আর দুডো চোক, দ্যাকবা আর শ্যুইনবা/ কিন্তু একটা মুক তো, ইট্টু কতা কম কবা!’ গুরুপদ আমাদের বাঙালির চরিত্রের একটি বিশেষ দিক নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে এই সত্য সরল গানটি গেয়েছেন।

দ্বিজেন শর্মা (২৯ মে ১৯২৯-১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭) ব্যক্তিজীবন নিবেদন করেছেন প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণে। এ জন্য তাঁকে বলা হয় নিসর্গসখা ও প্রকৃতিপুত্র। পিতা চন্দ্রকান্ত শর্মার কবিরাজি ও মা মগ্নময়ী দেবীর নিসর্গ এবং গ্রন্থপ্রেম তাঁর জীবনকে প্রভাবিত করে। ভেষজ চিকিৎসার প্রয়োজনে চন্দ্রকান্ত বাড়িতে ঔষধি বৃক্ষের

আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে ‘গাফ্ফার ভাই’ বলেই ডাকতাম। বয়সে অনেক ছোট যারা, তারাও তাঁকে ‘গাফ্ফার ভাই’ বলে সম্বোধন করত। তিনিও এটা আনন্দের সঙ্গে নিতেন। উদারমনা মানুষ ছিলেন তিনি। আমি তাঁর চেয়ে প্রায় ১০ বছরের ছোট। তা সত্ত্বেও তাঁর সঙ্গে গড়ে

চলে গেলেন অর্থনীতিবিদ নুরুল ইসলাম। তাঁকে অর্থনীতিবিদদের অর্থনীতিবিদ কিংবা শিক্ষকদের শিক্ষক বলা হতো। রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ছয় দফা আন্দোলন।

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত সচিব মো. খলিল আহমদ। আজ সোমবার তিনি সমাধি সৌধে পৌঁছে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সরদার ফজলুল করিম (১ মে, ১৯২৫-১৫ জুন, ২০১৪) ছিলেন নিরন্তর সংগ্রামী। যিনি স্বাধীনতা, সমাজতন্ত্র-শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে নিবেদন করেছেন তাঁর ব্যক্তিজীবন। অবশেষে তাঁর ব্যক্তি-‘আমি’ রূপান্তরিত হয় সামষ্টিক ‘আমি’তে। একালে এসে সাধারণ একটি