দীর্ঘ ১৫ বছর পর আবারও পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। আগামী বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার, বাণিজ্য, পর্যটন, রোহিঙ্গা সংকট, সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এ বৈঠকটি ইসলামাবাদের আগ্রহে আয়োজিত
ফেরত যাওয়ার যোগ্য ১ লাখ ৮০ হাজার জন রোহিঙ্গা আগামী বছরের মধ্যে নিজেদের দেশে যেতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার নিশ্চিত নয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেসবুক পোস্টে এই সংশয়ের কথা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রত্যাবাসন যোগ্যতা যাচাই শুরু করেছে মিয়ানমার। প্রথম ধাপে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা দেশে ফেরত যাওয়ার যোগ্য বলে চিহ্নিত করেছে দেশটির সরকার।
চলতি বছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রোহিঙ্গা সংকট, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা সম্প্রদায় ও আশ্রয়দাতা স্থানীয় কমিউনিটি এবং মিয়ানমারের সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৬৮ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেবে। বিশেষ করে, মিয়ানমারের পশ্চিম রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার শিকার মানুষের জন্য এ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ দখল নিয়ে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) লড়াই তীব্র হয়ে উঠেছে। এতে রোহিঙ্গাদের জীবন আবারও হুমকির মুখে পড়েছে। গত কয়েক দিনে ভিটেমাটি ফেলে মংডু ও আশপাশের এলাকা থেকে দলে দলে রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে।
কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীতে কাঁকড়া শিকারে গিয়ে মিয়ানমার অভ্যন্তরে বিস্ফোরণে মো. জোবায়ের (১৯) নামের এক রোহিঙ্গা তরুণ নিহত হয়েছেন। এ সময় দুজন আহত হয়েছেন। বিস্ফোরিত বস্তুটি মাইন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। গতকাল রোববার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় নাফ নদীর ওপারে লালদিয়া চরে এই
বিশ্ব শরণার্থী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে কক্সবাজার সংস্কৃতিকেন্দ্রে শুরু হয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ‘রেজিলিয়েন্স-সক্ষমতা’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার আর্ট ক্লাবের সহযোগিতায় জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী সাড়াদানে কর্মরত মানবিক সহযোগিতা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর স
এক সপ্তাহের ব্যবধানে কক্সবাজারে উখিয়া রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে ফের আগুন লেগেছে। আজ শনিবার বেলা ১টার দিকে উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ১৩ নম্বর তানজিমারখোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক ও রোহিঙ্গারা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে আছে। তাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। কিন্তু এই সাত বছরে একজন লোকও নেয়নি দেশটি। উল্টো নতুন করে আরও কয়েক হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ
রোহিঙ্গা সমস্যার উত্তরণের উপায় খুঁজতে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। আজ রোববার সকালে কমিটির সভাপতি এ কে আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন করেন। বিকেলে কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের সে
ইন্দোনেশিয়ার একটি অস্থায়ী শিবিরে অবস্থান করছেন রোহিঙ্গা মোহাম্মদ রিদয়। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী—অপহরণ, চাঁদাবাজি এবং হত্যার হুমকি থেকে বাঁচতে বাংলাদেশের শরণার্থী ক্যাম্প থেকে পালিয়েছিলেন তিনি। পরে ১২ দিনের বিপজ্জনক এক সমুদ্রযাত্রা শেষে ইন্দোনেশিয়ার মাটিতে পা রেখেছেন।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষদের ফেরত নিতে ছয় বছর আগে একটি চুক্তি সই করেছিল মিয়ানমার। ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর সই করা ওই চুক্তি অনুযায়ী দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়া শুরু করার কথা ছিল। চুক্তিটি সইয়ের ষষ্ঠবার্ষিকী পার হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার। কিন্তু চুক্তির আওতায় এখন পর্যন্ত
স্বদেশে প্রত্যাবাসন নিয়ে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধিদল কক্সবাজারের টেকনাফে এসেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মিয়ানমারের ইমিগ্রেশন বিভাগের ৩৪ সদস্যের এই প্রতিনিধিদল রাখাইন স্টেটের মংডু টাউনশিপ থেকে স্পিডবোটে করে টেকনাফের ট্রানজিট ঘাটে এসে পৌঁছায়।
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার রক্ষায় জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব উনাইসি লুতু ভুনিওয়াকা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এই আহ্বান জানান।
সরকার আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের অন্তত ২ হাজার মানুষকে সে দেশে ফেরত পাঠাতে চায়। আজ সোমবার দেশটির প্রশাসনিক রাজধানী নেপিডোয় দ্বিপক্ষীয় এক বৈঠকে এ কথা বলেছে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার উইংয়ের মহাপরিচালক মিয়া মো. মইনুল ক
ছয় বছর হয়ে গেল, বাংলাদেশে আশ্রয়ে আছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রায় ১০ লাখ মানুষ। তাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার বাংলাদেশের সঙ্গে তিনটি চুক্তি করেছে, তা-ও প্রায় ছয় বছর আগে। কিন্তু দ্বিপক্ষীয় ব্যবস্থার আওতায় এই সময়ে একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরানো যায়নি। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কবে শুরু হবে, সে বিষয়েও নিশ্চি
মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ধনী দাতা দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অর্থ মিলছে না। তহবিল সংকটের কারণে চলতি মাস থেকে মাসিক খাদ্যসহায়তা জনপ্রতি ১০ ডলার থেকে কমিয়ে ৮ ডলার করেছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।