বিরাট কোহলি

ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ডে শচীন টেন্ডুলকারকে ছোয়ার অপেক্ষা বেড়েই চলেছে বিরাট কোহলির। ধর্মশালায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ রানের জন্য তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি কোহলি। ভাগ্যকে সঙ্গে পাওয়া ভারতীয় এই ব্যাটার আজ মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন। তবে শ্রীলঙ্কা কোহলিকে

বিশ্বকাপ শুরুর আগে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন বাবর আজম। তাঁকে নিয়ে তাই এবারের বিশ্বকাপে অনেকেই বাজি ধরেছিলেন। ভারতের সাবেক ওপেনার গৌতম গম্ভীর তো জানিয়েছিলেন, এই বিশ্বকাপে আগুন লাগিয়ে দিতে পারেন বাবর। পাকিস্তানের হয়ে ৩–৪টি সেঞ্চুরি করতে পারেন।

২০২৩ বিশ্বকাপটা বিরাট কোহলির কাছে কাটছে অসাধারণ। এরই মধ্যে করে ফেলেছেন ১ সেঞ্চুরি ও ২ ফিফটি। ছন্দে থাকা কোহলিকে আজ লক্ষ্ণৌর শ্রী অটল বিহারি বাজপেয়ি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হতাশা প্রকাশ করতে দেখা গেছে। কারণ কোহলি তো কোহলি। রানের জন্য যে তাঁর তীব্র ক্ষুধা। 

চাপ সামলে ব্যাটিং করতেই যেন বেশি পছন্দ বিরাট কোহলির। বিশেষ করে, রান তাড়া করে ম্যাচ জেতানোয় তিনি যেন সিদ্ধহস্ত। ধর্মশালায় গতকাল কোহলির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটের দুর্দান্ত জয় পেয়েছে ভারত। ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলার পর কোহলিকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। 

চলতি বিশ্বকাপে চার ম্যাচ পর্যন্ত অপরাজিত ছিল ভারত ও নিউজিল্যান্ড। নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে কোনো এক দলের হার ছিল অবধারিত। আজ ধর্মশালায় কিউইদেরকে সেই হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা দিয়ে অপরাজিত থাকল ভারত। 

বিরাট কোহলির ব্যাটিং দেখলে মনে হয় ক্রিকেট খেলা খুবই সহজ। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী কখন কোনো শট খেলতে হবে তা তাঁর ভালোই জানা। বাংলাদেশের বিপক্ষে যেমন সর্বশেষ ম্যাচে তার প্রমাণ আরেকবার দিয়েছেন ভারতীয় ব্যাটার। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে ভারতকে ৭ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন তিনি।

রেকর্ড গড়া যেন বিরাট কোহলির কাছে ডালভাত। আর বাংলাদেশ যে কোহলির ‘প্রিয়’ প্রতিপক্ষ, তা গতকাল দেখা গেছে পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমসিএ) স্টেডিয়ামে। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে ভারতীয় ব্যাটার করেছেন বেশ কিছু রেকর্ড। 

জেতার জন্য ভারতের ২ রান আর সেঞ্চুরির করতে বিরাট কোহলির প্রয়োজন ছিল ৩ রান। কিন্তু নাসুম আহমেদের বলে ছক্কা মেরে দুই কাজ একসঙ্গে সেরেছেন কোহলি। তবে এর একটু আগেই ঘটে গেছে নাটকীয়তা। 

ভারতের জিততে ২ রান আর সেঞ্চুরির জন্য বিরাট কোহলির প্রয়োজন ছিল ৩ রান। কিন্তু বাংলাদেশের বিপক্ষে ছক্কা মেরে এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন কোহলি। ম্যাচ-সেরার পুরস্কারও উঠেছে তাঁর হাতে। 

ব্যাটিং, ফিল্ডিংয়ে বিরাট কোহলি কতটা দুর্দান্ত, সেটা তো সকলেরই জানা। ব্যাট হাতে ছোটান রানের ফুলঝুরি। পাশাপাশি ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরে ম্যাচের গতিপথ পাল্টাতেও তাঁর জুরি মেলা ভার। সেই তুলনায় বোলার কোহলিকে তেমন একটা দেখা যায় না বললেই চলে। পুনের মহারাস্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমসিএ) স্টেডিয়ামে আজ

মাঠের লড়াইয়ে ভারত-পাকিস্তান চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সব সময়ই। বিরাট কোহলি-বাবর আজম, শাহিন শাহ আফ্রিদি-জসপ্রীত বুমরা—এমন বেশ কিছু দ্বৈত লড়াই নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে যেমন আলাপ-আলোচনা হয়, তেমনি মাঠের লড়াইয়ে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেন না।

সবকিছুর একটা শেষ থাকে। বিরাট কোহলি ও নাভিন-উল-হকও তাঁদের শত্রুতার শেষটা টানলেন। শত্রুতা ভুলে গতকাল বিশ্বকাপের ম্যাচে বন্ধু হলেন। ম্যাচ চলাকালীন এক অপরে হাত ও বুকে বুক মিলিয়ে যেন হৃদয়ের কথা শুনলেন। 

এবারের বিশ্বকাপে ব্যাটিং-বোলিংয়ে ভিন্ন পারফরম্যান্স দেখা যাচ্ছে সাকিব আল হাসানের। বোলিংয়ে দারুণ ছন্দে আছেন ঠিকই। অন্যদিকে ব্যাটিংয়ে বড্ড অচেনা লাগছে সাকিবকে। তবু অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার। অন্যদিকে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন মুশফিকুর র

চেন্নাইয়ের চিদম্বরম স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষ। লোকেশ রাহুলের ছক্কাতেই অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপে শুভসূচনা করেছে ভারত। তবে ম্যাচ শেষে উইকেটে বসে পড়ছিলেন রাহুল। রাহুলের বসে পড়ার কারণ যে সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ, সেটা আর হয়তো না বললেও চলবে। যেখানে শেষ ৯ ওভারে ভারতের জিততে দরকার ৫ রান, আর রাহুলের স

‘চেজ মাস্টার’ উপাধি তো বিরাট কোহলি এমনি এমনি পাননি। রান তাড়ায় ভারতকে জিতিয়েছেন অসংখ্য ম্যাচই। সেই কোহলিকেই আজ জীবন দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সুযোগের সদ্ব্যবহার ভারতীয় এই ব্যাটার করেছেন বেশ ভালোভাবেই। চেন্নাইয়ের চিদম্বরম স্টেডিয়ামে কোহলির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপে শুভসূচন

কঠিন সময় পেছনে ফেলে দুর্দান্ত ছন্দে ফিরেছেন বিরাট কোহলি। দীর্ঘ তিন বছর সেঞ্চুরি না পাওয়া কোহলি গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত সব সংস্করণ মিলিয়ে ৭ সেঞ্চুরি করেছেন। 

গুয়াহাটি থেকে তিরুবনন্তপুরম-গুগল ম্যাপস বলছে ভারতের এই দুই শহরের দূরত্ব ৩৩৬৭ কিলোমিটার। প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটারের দূরত্ব বিমানে চার ঘণ্টায় পাড়ি দিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট দল গতকাল সন্ধ্যায় পৌঁছেছে তিরুবনন্তপুরমে। তবে দলের সঙ্গে আসেননি বিরাট কোহলি।