২০০৯ সালে সংঘটিত পিলখানা (বিডিআর) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তাগিদ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের জন্য গঠিত কমিশনকে আজ বুধবার তিনি এ তাগিদ দেন।
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে চলছে জানিয়ে প্রতিবেদন আগামী জুনের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে সংঘটিত ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত হওয়া সদস্যরা ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানীতে সড়ক অবরোধ করেছেন। আজ সোমবার দুপুর ১টায় শিক্ষা ভবন মোড়ে অবস্থান নেন তাঁরা...
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাবেক বিডিআর সদস্যরা জড়ো হয়ে অবস্থান নিতে শুরু করলে পিলখানার চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়। জলকামানসহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা হয়।
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের দায়ে শেখ হাসিনার ৫৭ বার ফাঁসি হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোরে একটি হোটেলে খুলনা বিভাগের ছয় জেলার সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি মন্তব্য
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী বিডিআর বিদ্রোহ মামলার আসামি শেখ জোবায়ের হোসেনের (৬৫) মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ৩টার দিকে কারারক্ষীরা মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত সেনাসদস্যদের এবার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্মরণ করা হয়েছে। ১৬ বছর পর সরকার দিনটিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার এক দিন পর গতকাল মঙ্গলবার নিহত ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্মরণ করা হয়।
বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি, প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস। ২০০৯ সালের এই দিনে পিলখানায় সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার সকল শহীদের স্মরণে এখন থেকে প্রতিবছর এই দিনটিকে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।’
বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম শোকাবহ এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের ঘোষণা দিয়েছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক পরিপত্রে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
নিরাপত্তাব্যবস্থার মেরুদণ্ড ভেঙে দিতেই এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে মতামত ব্যক্ত করেছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও সিভিল সোসাইটির সদস্যরা। তাঁরা বলছেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের নিরাপত্তা চরমভাবে হুমকির সম্মুখীন হয়েছে।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিস্তারিত জানতে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদকে খুব প্রয়োজন। মইন হাসিনাসহ যারা বিদেশে রয়েছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ইতিমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দূতাবাসগুলোতে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন...
বিডিআরের চাকরিচ্যুত সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল, বন্দীদের মুক্তিসহ আট দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসের পর সড়ক ছেড়েছে আন্দোলনকারী সাবেক বিডিআর সদস্য ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি নিয়ে আগামী সোমবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
চাকরিচ্যুত বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) সদস্যদের পুনর্বহালসহ ছয় দফা দাবিতে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে বৈঠকের আশ্বাস দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তবে তাঁর আশ্বাসের পরও চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা সড়কে আন্দোলন
বিডিআর বিদ্রোহে সাজাপ্রাপ্ত বিডিআরদের মুক্তি এবং চাকরি ফেরতের দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও করেছেন আন্দোলনকারীরা। আজ বুধবার দুপুর ১টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয় ঘেরাও করেন তাঁরা। এর আগে সাড়ে ১২টার দিকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সদস্য ও সাবেক সমন্বয়ক মাহিন সরকার।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় কারাবন্দী বিডিআর সদস্যদের মুক্তি, হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার ও চাকরি ফিরিয়ে দেওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিডিআর পরিবারের সদস্যরা। ‘জাস্টিস ফর বিডিআর’ ব্যানারে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে সংহতি সমাবেশ কর্মসূচির প্রথম দিনে আজ
বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি এনামুল হক (৬৫) ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান তিনি। এর আগে গত ১২ জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন এনামুল হক।
রবিউল জানান, ১৭ বছর বয়সে বিডিআরে চাকরি পান। প্রশিক্ষণ শেষে সদর দপ্তর পিলখানায় যোগদানের ১৯ দিনের মাথায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তাঁর চোখের সামনে। চাকরির এই ১৯ দিনে সদর দপ্তরের সবকিছুই তাঁর কাছে অচেনা ছিল। ঘটনার দিন বিডিআর সদর দপ্তরে একটি অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে তিনিও যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।