আজকের পত্রিকা ডেস্ক
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় কারাবন্দী বিডিআর সদস্যদের মুক্তি, হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার ও চাকরি ফিরিয়ে দেওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিডিআর পরিবারের সদস্যরা। ‘জাস্টিস ফর বিডিআর’ ব্যানারে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে সংহতি সমাবেশ কর্মসূচির প্রথম দিনে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন তাঁরা।
বিডিআর পরিবারের সদস্যরা বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে বিডিআর বিদ্রোহ বলে গত ১৬ বছর ধরে চালানো হয়েছে। এটি কোনো বিদ্রোহ ছিল না বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল। পিলখানায় ভারতীয় বাহিনী ঢুকে এই হত্যাকাণ্ড চালায়। বিডিআররা কোনো উপায় না পেয়ে কেবল প্রতিরোধ করেছে। এই প্রতিরোধকে তৎকালীন সরকার বিদ্রোহ বলে চালিয়ে ৯ হাজারেরও বেশি বিডিআরকে চাকরিচ্যুত করেছে এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে। এই অন্যায়ের বিপক্ষে ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
দাবিগুলো হলো—
১. পিলখানার ভেতরে ও বাইরে ১৮টি বিশেষ আদালত ও অধিনায়কের সামারি কোর্ট গঠন করে যেসব বিডিআর সদস্যদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের সবাইকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা এবং ক্ষতিপূরণ ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।
২. ইতিমধ্যে হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত ও সাজা শেষ হওয়া জেল বন্দী বিডিআর সদস্যদের মুক্তি এবং বিস্ফোরক মামলা প্রত্যাহার।
৩. গঠিত কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত ’ব্যতীত’ শব্দ এবং কার্যপরিধি ২ এর (ঙ) নম্বর ধারা বাদ দেওয়া। সর্বপ্রকার নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দেওয়া এবং পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ উদ্ঘাটন, মূল ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা।
৪. পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ হওয়া ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, ১০ বিডিআর সদস্যসহ সর্বমোট ৭৪ জনের হত্যাকারীর বিচার নিশ্চিত করা। জেলের ভেতর মারা যাওয়া প্রত্যেক বিডিআর সদস্যের মৃত্যুর সঠিক কারণ উন্মোচন করা। অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়ে থাকলে দায়ী সবাইকে বিচারের আওতায় আনা।
৫. স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী বিডিআর নাম ফিরিয়ে আনা।
৬. পিলখানার হত্যাকাণ্ডের শহীদের স্মরণে জাতীয় দিবস ঘোষণা করা এবং শহীদ পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
বিডিআর সদস্য বিএম কামরুজ্জামান বলেন, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান শেখ হাসিনা তাঁর ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য এবং ভারতকে খুশি করার জন্য চৌকস বিডিআর বাহিনীকে ধ্বংস করে দিয়ে গঠন করেছে বিজিবি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দাবি বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে আবারও পুনর্বহাল করতে হবে এবং আমাদের যেসব ভাইয়েরা জেল খানায় কষ্টের জীবন-যাপন করছে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লাগাতার কর্মসূচি চলমান থাকবে।’
বিডিআর সন্তান আল-আমিন বলেন, ‘বিনা অপরাধে আমার বাবাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পরেও কিছুদিন আমার বাবা ডিউটি করেছিল। পরবর্তীতে ছুটিতে থাকাকালীন আমার বাবাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে তাকে এই মিথ্যা সাজার সম্মুখীন করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘সরকারকে বলব অবিলম্বে বিডিআরদের চাকরিতে পুনর্বহাল করুন। এই দাবি আদায়ে আমরা জীবন দিতেও প্রস্তুত আছি।’
কর্মসূচিতে বিভিন্ন জেলা থেকে নানা ব্যানার নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন বিডিআর সদস্যরা। তাদের ‘বিজিবি না বিডিআর-বিডিআর বিডিআর’, ‘দেশপ্রেমিক বিডিআর-সীমান্তে যাবে আরেকবার’, ‘বিডিআরের ঠিকানা-পিলখানা পিলখানা’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় কারাবন্দী বিডিআর সদস্যদের মুক্তি, হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার ও চাকরি ফিরিয়ে দেওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিডিআর পরিবারের সদস্যরা। ‘জাস্টিস ফর বিডিআর’ ব্যানারে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে সংহতি সমাবেশ কর্মসূচির প্রথম দিনে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন তাঁরা।
বিডিআর পরিবারের সদস্যরা বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে বিডিআর বিদ্রোহ বলে গত ১৬ বছর ধরে চালানো হয়েছে। এটি কোনো বিদ্রোহ ছিল না বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল। পিলখানায় ভারতীয় বাহিনী ঢুকে এই হত্যাকাণ্ড চালায়। বিডিআররা কোনো উপায় না পেয়ে কেবল প্রতিরোধ করেছে। এই প্রতিরোধকে তৎকালীন সরকার বিদ্রোহ বলে চালিয়ে ৯ হাজারেরও বেশি বিডিআরকে চাকরিচ্যুত করেছে এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে। এই অন্যায়ের বিপক্ষে ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
দাবিগুলো হলো—
১. পিলখানার ভেতরে ও বাইরে ১৮টি বিশেষ আদালত ও অধিনায়কের সামারি কোর্ট গঠন করে যেসব বিডিআর সদস্যদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের সবাইকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা এবং ক্ষতিপূরণ ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।
২. ইতিমধ্যে হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত ও সাজা শেষ হওয়া জেল বন্দী বিডিআর সদস্যদের মুক্তি এবং বিস্ফোরক মামলা প্রত্যাহার।
৩. গঠিত কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত ’ব্যতীত’ শব্দ এবং কার্যপরিধি ২ এর (ঙ) নম্বর ধারা বাদ দেওয়া। সর্বপ্রকার নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দেওয়া এবং পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ উদ্ঘাটন, মূল ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা।
৪. পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ হওয়া ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, ১০ বিডিআর সদস্যসহ সর্বমোট ৭৪ জনের হত্যাকারীর বিচার নিশ্চিত করা। জেলের ভেতর মারা যাওয়া প্রত্যেক বিডিআর সদস্যের মৃত্যুর সঠিক কারণ উন্মোচন করা। অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়ে থাকলে দায়ী সবাইকে বিচারের আওতায় আনা।
৫. স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী বিডিআর নাম ফিরিয়ে আনা।
৬. পিলখানার হত্যাকাণ্ডের শহীদের স্মরণে জাতীয় দিবস ঘোষণা করা এবং শহীদ পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
বিডিআর সদস্য বিএম কামরুজ্জামান বলেন, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান শেখ হাসিনা তাঁর ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য এবং ভারতকে খুশি করার জন্য চৌকস বিডিআর বাহিনীকে ধ্বংস করে দিয়ে গঠন করেছে বিজিবি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দাবি বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে আবারও পুনর্বহাল করতে হবে এবং আমাদের যেসব ভাইয়েরা জেল খানায় কষ্টের জীবন-যাপন করছে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লাগাতার কর্মসূচি চলমান থাকবে।’
বিডিআর সন্তান আল-আমিন বলেন, ‘বিনা অপরাধে আমার বাবাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পরেও কিছুদিন আমার বাবা ডিউটি করেছিল। পরবর্তীতে ছুটিতে থাকাকালীন আমার বাবাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে তাকে এই মিথ্যা সাজার সম্মুখীন করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘সরকারকে বলব অবিলম্বে বিডিআরদের চাকরিতে পুনর্বহাল করুন। এই দাবি আদায়ে আমরা জীবন দিতেও প্রস্তুত আছি।’
কর্মসূচিতে বিভিন্ন জেলা থেকে নানা ব্যানার নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন বিডিআর সদস্যরা। তাদের ‘বিজিবি না বিডিআর-বিডিআর বিডিআর’, ‘দেশপ্রেমিক বিডিআর-সীমান্তে যাবে আরেকবার’, ‘বিডিআরের ঠিকানা-পিলখানা পিলখানা’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় কারাবন্দী বিডিআর সদস্যদের মুক্তি, হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার ও চাকরি ফিরিয়ে দেওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিডিআর পরিবারের সদস্যরা। ‘জাস্টিস ফর বিডিআর’ ব্যানারে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে সংহতি সমাবেশ কর্মসূচির প্রথম দিনে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন তাঁরা।
বিডিআর পরিবারের সদস্যরা বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে বিডিআর বিদ্রোহ বলে গত ১৬ বছর ধরে চালানো হয়েছে। এটি কোনো বিদ্রোহ ছিল না বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল। পিলখানায় ভারতীয় বাহিনী ঢুকে এই হত্যাকাণ্ড চালায়। বিডিআররা কোনো উপায় না পেয়ে কেবল প্রতিরোধ করেছে। এই প্রতিরোধকে তৎকালীন সরকার বিদ্রোহ বলে চালিয়ে ৯ হাজারেরও বেশি বিডিআরকে চাকরিচ্যুত করেছে এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে। এই অন্যায়ের বিপক্ষে ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
দাবিগুলো হলো—
১. পিলখানার ভেতরে ও বাইরে ১৮টি বিশেষ আদালত ও অধিনায়কের সামারি কোর্ট গঠন করে যেসব বিডিআর সদস্যদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের সবাইকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা এবং ক্ষতিপূরণ ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।
২. ইতিমধ্যে হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত ও সাজা শেষ হওয়া জেল বন্দী বিডিআর সদস্যদের মুক্তি এবং বিস্ফোরক মামলা প্রত্যাহার।
৩. গঠিত কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত ’ব্যতীত’ শব্দ এবং কার্যপরিধি ২ এর (ঙ) নম্বর ধারা বাদ দেওয়া। সর্বপ্রকার নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দেওয়া এবং পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ উদ্ঘাটন, মূল ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা।
৪. পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ হওয়া ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, ১০ বিডিআর সদস্যসহ সর্বমোট ৭৪ জনের হত্যাকারীর বিচার নিশ্চিত করা। জেলের ভেতর মারা যাওয়া প্রত্যেক বিডিআর সদস্যের মৃত্যুর সঠিক কারণ উন্মোচন করা। অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়ে থাকলে দায়ী সবাইকে বিচারের আওতায় আনা।
৫. স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী বিডিআর নাম ফিরিয়ে আনা।
৬. পিলখানার হত্যাকাণ্ডের শহীদের স্মরণে জাতীয় দিবস ঘোষণা করা এবং শহীদ পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
বিডিআর সদস্য বিএম কামরুজ্জামান বলেন, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান শেখ হাসিনা তাঁর ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য এবং ভারতকে খুশি করার জন্য চৌকস বিডিআর বাহিনীকে ধ্বংস করে দিয়ে গঠন করেছে বিজিবি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দাবি বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে আবারও পুনর্বহাল করতে হবে এবং আমাদের যেসব ভাইয়েরা জেল খানায় কষ্টের জীবন-যাপন করছে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লাগাতার কর্মসূচি চলমান থাকবে।’
বিডিআর সন্তান আল-আমিন বলেন, ‘বিনা অপরাধে আমার বাবাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পরেও কিছুদিন আমার বাবা ডিউটি করেছিল। পরবর্তীতে ছুটিতে থাকাকালীন আমার বাবাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে তাকে এই মিথ্যা সাজার সম্মুখীন করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘সরকারকে বলব অবিলম্বে বিডিআরদের চাকরিতে পুনর্বহাল করুন। এই দাবি আদায়ে আমরা জীবন দিতেও প্রস্তুত আছি।’
কর্মসূচিতে বিভিন্ন জেলা থেকে নানা ব্যানার নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন বিডিআর সদস্যরা। তাদের ‘বিজিবি না বিডিআর-বিডিআর বিডিআর’, ‘দেশপ্রেমিক বিডিআর-সীমান্তে যাবে আরেকবার’, ‘বিডিআরের ঠিকানা-পিলখানা পিলখানা’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় কারাবন্দী বিডিআর সদস্যদের মুক্তি, হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার ও চাকরি ফিরিয়ে দেওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিডিআর পরিবারের সদস্যরা। ‘জাস্টিস ফর বিডিআর’ ব্যানারে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে সংহতি সমাবেশ কর্মসূচির প্রথম দিনে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন তাঁরা।
বিডিআর পরিবারের সদস্যরা বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে বিডিআর বিদ্রোহ বলে গত ১৬ বছর ধরে চালানো হয়েছে। এটি কোনো বিদ্রোহ ছিল না বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল। পিলখানায় ভারতীয় বাহিনী ঢুকে এই হত্যাকাণ্ড চালায়। বিডিআররা কোনো উপায় না পেয়ে কেবল প্রতিরোধ করেছে। এই প্রতিরোধকে তৎকালীন সরকার বিদ্রোহ বলে চালিয়ে ৯ হাজারেরও বেশি বিডিআরকে চাকরিচ্যুত করেছে এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে। এই অন্যায়ের বিপক্ষে ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
দাবিগুলো হলো—
১. পিলখানার ভেতরে ও বাইরে ১৮টি বিশেষ আদালত ও অধিনায়কের সামারি কোর্ট গঠন করে যেসব বিডিআর সদস্যদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের সবাইকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা এবং ক্ষতিপূরণ ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।
২. ইতিমধ্যে হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত ও সাজা শেষ হওয়া জেল বন্দী বিডিআর সদস্যদের মুক্তি এবং বিস্ফোরক মামলা প্রত্যাহার।
৩. গঠিত কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত ’ব্যতীত’ শব্দ এবং কার্যপরিধি ২ এর (ঙ) নম্বর ধারা বাদ দেওয়া। সর্বপ্রকার নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দেওয়া এবং পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ উদ্ঘাটন, মূল ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা।
৪. পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ হওয়া ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, ১০ বিডিআর সদস্যসহ সর্বমোট ৭৪ জনের হত্যাকারীর বিচার নিশ্চিত করা। জেলের ভেতর মারা যাওয়া প্রত্যেক বিডিআর সদস্যের মৃত্যুর সঠিক কারণ উন্মোচন করা। অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়ে থাকলে দায়ী সবাইকে বিচারের আওতায় আনা।
৫. স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী বিডিআর নাম ফিরিয়ে আনা।
৬. পিলখানার হত্যাকাণ্ডের শহীদের স্মরণে জাতীয় দিবস ঘোষণা করা এবং শহীদ পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
বিডিআর সদস্য বিএম কামরুজ্জামান বলেন, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান শেখ হাসিনা তাঁর ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য এবং ভারতকে খুশি করার জন্য চৌকস বিডিআর বাহিনীকে ধ্বংস করে দিয়ে গঠন করেছে বিজিবি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দাবি বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে আবারও পুনর্বহাল করতে হবে এবং আমাদের যেসব ভাইয়েরা জেল খানায় কষ্টের জীবন-যাপন করছে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লাগাতার কর্মসূচি চলমান থাকবে।’
বিডিআর সন্তান আল-আমিন বলেন, ‘বিনা অপরাধে আমার বাবাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পরেও কিছুদিন আমার বাবা ডিউটি করেছিল। পরবর্তীতে ছুটিতে থাকাকালীন আমার বাবাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে তাকে এই মিথ্যা সাজার সম্মুখীন করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘সরকারকে বলব অবিলম্বে বিডিআরদের চাকরিতে পুনর্বহাল করুন। এই দাবি আদায়ে আমরা জীবন দিতেও প্রস্তুত আছি।’
কর্মসূচিতে বিভিন্ন জেলা থেকে নানা ব্যানার নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন বিডিআর সদস্যরা। তাদের ‘বিজিবি না বিডিআর-বিডিআর বিডিআর’, ‘দেশপ্রেমিক বিডিআর-সীমান্তে যাবে আরেকবার’, ‘বিডিআরের ঠিকানা-পিলখানা পিলখানা’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
আসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ
২ ঘণ্টা আগেঅ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন
৩ ঘণ্টা আগেগত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা...
৪ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় এ কথা বলেন তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, সবকিছু অকাট্যভাবে প্রমাণ করা হয়েছে। পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এগুলো অকাট্য হিসেবে প্রমাণিত হবে। যাঁদের এখানে আসামি করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা হয়নি। উল্টো কদিন আগে সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে। তবে সেনাবাহিনী সে ফাঁদে পা দেয়নি।
আইনের প্রসঙ্গে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এটি বিশেষ আইন। এটাকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে সংবিধান দ্বারা। আন্তর্জাতিক আদালতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই আইন সংশোধন করা হয়েছে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ভবিষ্যতে কোনো শাসক যদি জনগণকে হত্যা করার চেষ্টা করে; এই বিচার তাঁদের জন্য প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ছাড়া এই মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মামলায় আজকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এ ছাড়া শেষ দিনে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে যাননি। তাঁকে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। আর সাবেক আইজিপি নিজে বাঁচার জন্য অন্যের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছেন। তাঁর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।’
আমির হোসেন মনে করেন, ন্যায়বিচার হলে আসামিরা খালাস পাবেন।
আরও খবর পড়ুন:
আসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় এ কথা বলেন তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, সবকিছু অকাট্যভাবে প্রমাণ করা হয়েছে। পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এগুলো অকাট্য হিসেবে প্রমাণিত হবে। যাঁদের এখানে আসামি করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা হয়নি। উল্টো কদিন আগে সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে। তবে সেনাবাহিনী সে ফাঁদে পা দেয়নি।
আইনের প্রসঙ্গে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এটি বিশেষ আইন। এটাকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে সংবিধান দ্বারা। আন্তর্জাতিক আদালতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই আইন সংশোধন করা হয়েছে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ভবিষ্যতে কোনো শাসক যদি জনগণকে হত্যা করার চেষ্টা করে; এই বিচার তাঁদের জন্য প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ছাড়া এই মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মামলায় আজকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এ ছাড়া শেষ দিনে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে যাননি। তাঁকে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। আর সাবেক আইজিপি নিজে বাঁচার জন্য অন্যের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছেন। তাঁর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।’
আমির হোসেন মনে করেন, ন্যায়বিচার হলে আসামিরা খালাস পাবেন।
আরও খবর পড়ুন:
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় কারাবন্দী বিডিআর সদস্যদের মুক্তি, হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার ও চাকরি ফিরিয়ে দেওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিডিআর পরিবারের সদস্যরা। ‘জাস্টিস ফর বিডিআর’ ব্যানারে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে সংহতি সমাবেশ কর্মসূচির প্রথম দিনে আজ
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন
৩ ঘণ্টা আগেগত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা...
৪ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ‘এই আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা না হলে তাদের হাতে বাংলাদেশের নিরপরাধ মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাবে, পাঁচ বছরের শিশু মারা যাবে, আনাসরা মারা যাবে, পানি বিতরণ করতে গিয়ে মুগ্ধ মারা যাবে, বুক চিতিয়ে আবার রাজপথে দাঁড়িয়ে আবু সাঈদরা মারা যাবে। আমরা যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে না পারি, এই দুজনের বিচার যদি ব্যাহত হয়, এই দুজনের যদি শাস্তি না হয়, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ভীরু-কাপুরুষের উপমা হয়ে রয়ে যাবে। সে কারণে আমরা মনে করি, আমরা যা উপস্থাপন করেছি, তা সন্দেহাতীত।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তি উপস্থাপনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়া এই মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপনকালে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন। এই আসামিদের যদি শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারি, তাহলে তাদের হাতে বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন হবে।’
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ন্যায়বিচারের সাক্ষী হতে এসেছি। ১ হাজার ৪০০ লোক মারা গেছে। ৩০ হাজার পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। রাষ্ট্রপক্ষ দেখিয়েছে—কে নির্দেশ দিয়েছে, কাকে দিয়েছে, কে পালন করেছে, কীভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। এই খুনের পর গোটা জাতি জেগে উঠেছে। অপরাধীরা পালিয়ে গেছে। তারা বিচারকাজ প্রতিহত করতে নানা রকম নির্দেশনা দিচ্ছে। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, প্রসিকিউশন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। যে সাক্ষ্যপ্রমাণ এসেছে, তা যেকোনো দেশে, যেকোনো আদালতে উপস্থাপন করলে আসামিদের সাজা ছাড়া বিকল্প কিছু হবে না।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের উদাহরণ এ সময় তুলে ধরেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
তিনি বলেন, ‘এটা দিবালোকের ন্যায় সত্য, এখানে গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে। এখানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। কারা ঘটিয়েছে, কীভাবে ঘটিয়েছে, তা আমরা প্রমাণ করেছি। আমরা মনে করি, এই আদালতে যদি আসামিদের শাস্তি না হয়, তাহলে এ দেশের খুন হওয়া মানুষ, পঙ্গুত্ব বরণ করা মানুষ, এই রাষ্ট্র অবিচারের শিকার হবে। আমরা দাঁড়িয়েছি ইতিহাসের দায় পরিশোধ করার জন্য। আপনারা ন্যায়বিচার করলে গোটা বিশ্ব দেখবে—এই দেশে ন্যায়বিচার হয়।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ‘এই আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা না হলে তাদের হাতে বাংলাদেশের নিরপরাধ মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাবে, পাঁচ বছরের শিশু মারা যাবে, আনাসরা মারা যাবে, পানি বিতরণ করতে গিয়ে মুগ্ধ মারা যাবে, বুক চিতিয়ে আবার রাজপথে দাঁড়িয়ে আবু সাঈদরা মারা যাবে। আমরা যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে না পারি, এই দুজনের বিচার যদি ব্যাহত হয়, এই দুজনের যদি শাস্তি না হয়, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ভীরু-কাপুরুষের উপমা হয়ে রয়ে যাবে। সে কারণে আমরা মনে করি, আমরা যা উপস্থাপন করেছি, তা সন্দেহাতীত।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তি উপস্থাপনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়া এই মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপনকালে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন। এই আসামিদের যদি শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারি, তাহলে তাদের হাতে বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন হবে।’
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ন্যায়বিচারের সাক্ষী হতে এসেছি। ১ হাজার ৪০০ লোক মারা গেছে। ৩০ হাজার পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। রাষ্ট্রপক্ষ দেখিয়েছে—কে নির্দেশ দিয়েছে, কাকে দিয়েছে, কে পালন করেছে, কীভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। এই খুনের পর গোটা জাতি জেগে উঠেছে। অপরাধীরা পালিয়ে গেছে। তারা বিচারকাজ প্রতিহত করতে নানা রকম নির্দেশনা দিচ্ছে। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, প্রসিকিউশন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। যে সাক্ষ্যপ্রমাণ এসেছে, তা যেকোনো দেশে, যেকোনো আদালতে উপস্থাপন করলে আসামিদের সাজা ছাড়া বিকল্প কিছু হবে না।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের উদাহরণ এ সময় তুলে ধরেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
তিনি বলেন, ‘এটা দিবালোকের ন্যায় সত্য, এখানে গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে। এখানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। কারা ঘটিয়েছে, কীভাবে ঘটিয়েছে, তা আমরা প্রমাণ করেছি। আমরা মনে করি, এই আদালতে যদি আসামিদের শাস্তি না হয়, তাহলে এ দেশের খুন হওয়া মানুষ, পঙ্গুত্ব বরণ করা মানুষ, এই রাষ্ট্র অবিচারের শিকার হবে। আমরা দাঁড়িয়েছি ইতিহাসের দায় পরিশোধ করার জন্য। আপনারা ন্যায়বিচার করলে গোটা বিশ্ব দেখবে—এই দেশে ন্যায়বিচার হয়।’
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় কারাবন্দী বিডিআর সদস্যদের মুক্তি, হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার ও চাকরি ফিরিয়ে দেওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিডিআর পরিবারের সদস্যরা। ‘জাস্টিস ফর বিডিআর’ ব্যানারে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে সংহতি সমাবেশ কর্মসূচির প্রথম দিনে আজ
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ
২ ঘণ্টা আগেগত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা...
৪ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগ ব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে থালাবাটি নিয়ে যমুনা অভিমুখে ভুখা মিছিল করেছেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা। যমুনায় পৌঁছার আগেই অবশ্য তাঁদের মিছিল শাহবাগ মোড়ে আটকে দেওয়া হয়। .
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। যমুনার দিকে অগ্রসর হলে শাহবাগ মোড়ে পুলিশ তা আটকে দেয়। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা পরে শাহবাগ থানার সামনে বিক্ষোভ করলে পুলিশ সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেয়।
গত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতি লেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবে, এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে ।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগ ব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে থালাবাটি নিয়ে যমুনা অভিমুখে ভুখা মিছিল করেছেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা। যমুনায় পৌঁছার আগেই অবশ্য তাঁদের মিছিল শাহবাগ মোড়ে আটকে দেওয়া হয়। .
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। যমুনার দিকে অগ্রসর হলে শাহবাগ মোড়ে পুলিশ তা আটকে দেয়। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা পরে শাহবাগ থানার সামনে বিক্ষোভ করলে পুলিশ সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেয়।
গত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতি লেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবে, এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে ।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় কারাবন্দী বিডিআর সদস্যদের মুক্তি, হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার ও চাকরি ফিরিয়ে দেওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিডিআর পরিবারের সদস্যরা। ‘জাস্টিস ফর বিডিআর’ ব্যানারে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে সংহতি সমাবেশ কর্মসূচির প্রথম দিনে আজ
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ
২ ঘণ্টা আগেঅ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন
৩ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
৫ ঘণ্টা আগেমানবতাবিরোধী অপরাধ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টায় বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন।
আজ আসামিদের সাজা চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষে শেষবারের মতো যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের খালাস চেয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন তাঁদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে তিনি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বুধবার বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শেষে রায়ের দিন জানাতে পারেন আদালত। অথবা পরেও জানানো হতে পারেন।
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টায় বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন।
আজ আসামিদের সাজা চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষে শেষবারের মতো যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের খালাস চেয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন তাঁদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে তিনি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বুধবার বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শেষে রায়ের দিন জানাতে পারেন আদালত। অথবা পরেও জানানো হতে পারেন।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় কারাবন্দী বিডিআর সদস্যদের মুক্তি, হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার ও চাকরি ফিরিয়ে দেওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিডিআর পরিবারের সদস্যরা। ‘জাস্টিস ফর বিডিআর’ ব্যানারে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে সংহতি সমাবেশ কর্মসূচির প্রথম দিনে আজ
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ
২ ঘণ্টা আগেঅ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন
৩ ঘণ্টা আগেগত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা...
৪ ঘণ্টা আগে